অবরোধের কারণে রংপুরে ধান-চালের বাজারে ধস নেমেছে। বাইরের জেলায় চাল পাঠাতে পারছেন না আড়তদাররা। চাল বিক্রি করতে না পেরে ধান কিনছেন না চাতাল ব্যবসায়ীরা। ক্রেতা না থাকায় চালের দাম মণ প্রতি ২০০-২৫০ টাকা কমে গেছে। এদিকে ধান বিক্রি করতে না পেরে বোরো ও আলু আবাদ নিয়ে দিশাহারা হয়ে পড়েছেন কৃষক। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে ধান-চালের বাজার আরও পড়ে যাবে। রংপুরে চালের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার মাহিগঞ্জে রয়েছে দুটি অটোমেটিকসহ ৯০টি চালকল। এখান থেকে প্রতিদিন ১০০-১৫০ ট্রাক চাল দেশের বিভিন্ন জেলায় যায়। অবরোধের কারণে তা বন্ধ হয়ে গেছে। ৬ হাজার টন চাল নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। চাল ব্যবসায়ী আবুবক্কর সিদ্দিক সেলিম বলেন, এক সপ্তাহ আগে ৮৪ কেজি ওজনের প্রতি বস্তা মোটা চাল ২ হাজার ৪০০ ও চিকন চাল ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হতো। ক্রেতা না থাকায় এখন মোটা চাল ২ হাজার ও চিকন চাল ২ হাজার ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চাল বিক্রি করতে না পারায় ধান কেনাও বন্ধ রয়েছে। চালকল মালিক আবুল কাশেম বলেন, ক্রেতা না থাকায় ৮৫০ টাকা মণের ধান এখন ৬৮০ টাকায় নেমে এসেছে। চালের ক্রেতা না থাকায় চাতালে ধান সিদ্ধ-শুকনার কাজও বন্ধ। ফলে চাতাল শ্রমিকরা বেকার হয়ে পড়েছেন। রংপুর সিটি করপোরেশনের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের রাজুখাঁ গ্রামের কৃষক আবুজার রহমান বলেন, 'এ্যালা আলু আর বোরো আবাদের ভরা মৌসুম। ধানের দাম কমি গেইচে। কম দামেও ধান ব্যাচপার না পায়া সার, ডিজেল ও বীজ কিনব্যার পারতুচি না।'
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।