রংপুরে হঠাৎ করেই খুনের ঘটনা বেড়েছে। ২০ দিনের ব্যবধানে ছাত্রদল নেতা, কলেজছাত্র ও স্কুলশিক্ষকসহ আটজন খুন হয়েছেন। এসব ঘটনায় মামলা হলেও কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। গতানুগতিকভাবে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে আসামিরা গাঢাকা দেওয়ায় গ্রেফতার করা সম্ভব হচ্ছে না। পক্ষান্তরে মামলার বাদীরা বলছেন, আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেরালেও অজ্ঞাত কারণে ধরা হয় না।
পুলিশের দেওয়া তথ্যমতে, ১৫ আগস্ট থেকে ৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এসব খুনের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে গতকাল সকালে রংপুর নগরের রবার্টসনগঞ্জে চাচাত ভাইয়ের হাতে খুন হয়েছেন কাঁকন (৫৩)। এর আগে বুধবার রাতে নগরের যুগিপাড়ায় নেশার টাকা না দেওয়ায় স্ত্রী সালমা বেগমকে (২০) কুপিয়ে হত্যা করে মাহমুদ আলী। সোমবার রাতে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গলা কেটে হত্যা করা হয় নগরীর পশ্চিম রাজেন্দ্রপুরের আবদুল মজিদের ছেলে লাল্টুকে (১৬)। তারাগঞ্জ উপজেলার কবলাপাড়া ডাঙ্গীরপাড়ের কলেজছাত্র মঈনুল হকের গলা কাটা লাশ রবিবার মিঠাপুকুর উপজেলার গোপালপুর শালবাগান থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। ৩০ আগস্ট রাতে অটোচালক শহীদুল আলমকে গলা কেটে হত্যার পর অটোরিকশাটি নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। আসামিদের গ্রেফতার দাবিতে অটোচালকরা সোমবার রংপুরে সকাল- সন্ধ্যা ধর্মঘট পালন করেন।
২০ আগস্ট রাতে খুন হন পীরগাছা উপজেলার ছাওলা ইউনিয়নের আদম গ্রামের সাখাওয়াত হোসেন (৫২)। একই রাতে গঙ্গাচড়া উপজেলায় খুন হন স্কুলশিক্ষক এরশাদুল হক এরশাদ (৩৮)। ১৫ আগস্ট নগরের মেডিকেল পূর্বগেট এলাকায় কুপিয়ে নৃশংসভাবে খুন করা হয় জেলা ছাত্রদলের আইনবিষয়ক সম্পাদক শাহীন আলমকে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।