আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রংপুরে হঠাৎ চালের বাজার অস্থির

হঠাৎ করে রংপুরে চালের বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে। গত সাত দিনে পাইকারি বাজারে চিকন ও মোটা চাল বস্তাপ্রতি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা বেড়েছে। ফলে খুচরা বাজারে প্রতিকেজি চিকন চাল ৪৫ থেকে ৪৬ টাকা এবং মোটা চাল ৩১ থেকে ৩৩ টাকায় বেচাকেনা হচ্ছে। চাল ব্যবসায়ীরা বলছেন, হঠাৎ করে ধানের দাম বেড়ে যাওয়ায় চালের বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে। তাদের অভিযোগ, অধিক মুনাফার আশায় মজুদদাররা ধান মজুদ করে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির কারণে হাটবাজারগুলোতে হঠাৎ করে ধানের দাম মণপ্রতি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা বেড়েছে। চালের দাম আকস্মিক বৃদ্ধি পাওয়ায় সাধারণ মানুষ বিশেষ করে খেটেখাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষ দিশাহারা হয়ে পড়েছে।

রংপুরের বৃহৎ চালের মোকাম মাহিগঞ্জ, বদরগঞ্জ ও পীরগঞ্জের ভেণ্ডাবাড়ি এলাকা ঘুরে জানা গেছে, সাত দিন আগে মানভেদে প্রতি বস্তা মোটা চাল বিক্রি হতো ২ হাজার ১০০ থেকে ২ হাজার ২০০ টাকায়। সেই চাল বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৩৫০ থেকে ২ হাজার ৩৮০ টাকায়। মানভেদে প্রতি বস্তা চিকন চাল বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৭০০ থেকে ২ হাজার ৮০০ টাকায়। অথচ এ চাল সাত দিন আগেই বিক্রি হয়েছে ২ হাজার ৫০০ টাকায়। চালের বাজার বৃদ্ধির জন্য খুচরা ব্যবসায়ীরা দায়ী করছেন পাইকারি ব্যবসায়ীদের এবং পাইকারি ব্যবসায়ীরা দায়ী করছেন মজুদদার ও অটো চালকল মালিকদের।

মাহিগঞ্জের চাল ব্যবসায়ী যাদব মুখার্জি বাবুয়া বলেন, এ সময়টাতে হাটবাজারে তেমন ধান পাওয়া যায় না। বড় কৃষক ছাড়া অধিকাংশ কৃষকের ঘরে ধান থাকে না। ধান আছে কেবল মজুদদারদের ঘরে। অধিক মুনাফার আশায় বোরো মৌসুমের শুরু থেকেই মজুদদাররা ধান মজুদ করে রাখে। ভাদ্র-কার্তিক মাসে ধান সংকটের সময় তারা সে ধান ইচ্ছা মতো বেশি দামে বিক্রি করে। তাদের মতে, এ সময়টাতে ধানের বাজার পুরোটাই নিয়ন্ত্রণ করে মজুদদাররা। এক সপ্তাহ আগে প্রতি মণ মোটা ধান ৬৩০-৪০ টাকা এবং চিকন ধান ৬৯০ থেকে ৭০০ টাকায় কেনাবেচা হতো। বর্তমানে চিকন ধান ৮৩০ থেকে ৮৫০ টাকা এবং মোটা ধান ৭৫০ থেকে থেকে ৭৬০ টাকায় কেনাবেচা হচ্ছে। মাহিগঞ্জের চাতাল ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম বলেন, বেশি দামে ধান ক্রয়ের পর পরিবহন, ধান সিদ্ধ-শুকনা থেকে শুরু করে চাল তৈরি পর্যন্ত খরচ এবং মুনাফা মিলে বেশি দামে চাল বিক্রি করতে হচ্ছে। ধান সংকট তীব্র হলে চালের দাম আরও বাড়বে বলে মন্তব্য করেন এই ব্যবসায়ী। জেলা চালকল মালিক সমিতির আহ্বায়ক আলহাজ নজরুল হক বসুনিয়া জানান, রংপুরে ৫০ জন মজুদদার ধানের বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। তার মতে, মজুদকৃত ধান বাজারে ছাড়া হলে চালের দাম কমবে।

আমাদের কুষ্টিয়া প্রতিনিধি জানান, হঠাৎ করে কুষ্টিয়ায় চালের বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে। গত ১ সপ্তাহে প্রায় সব রকম চালে কেজিতে বেড়েছে ৫ থেকে ৭ টাকা। বৈরী আবহাওয়ার কারণে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম চালের মোকাম কুষ্টিয়ার খাজানগরে প্রায় সাড় ৩০০ মিলে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারণে চালের বাজার হঠাৎ অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে।

ঈদের পর থেকেই এখানে চালের বাজার অস্থির হতে শুরু করে। ঈদের আগে মোটা চাল যেখানে ২৬ টাকা কেজিতে বিক্রি হতো, এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ টাকা। আর মিনিকেট চাল ৩৮ টাকা থেকে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪৪ টাকা কেজিতে। এ নিয়ে মিল মালিক ও খুচরা চাল ব্যবসায়ীরা পরস্পরবিরোধী কথা বলছেন।

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.