জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী মোস্তফা হাওলাদার চিকিত্সাধীন অবস্থায় গতকাল সোমবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন।
মোস্তফা হাওলাদারের ছেলে হাফিজুল ও হাসপাতাল সূত্র এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছে।
গত শনিবার রাতে মোস্তফাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে দুর্বৃত্তরা। ওই দিন রাতেই তাঁকে খুলনা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিত্সকেরা তাঁকে ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেন।
মোস্তফা হাওলাদারের বাড়ি পিরোজপুরের জিয়ানগর উপজেলার পারেরহাট ইউনিয়নের হোগলাবুনিয়া গ্রামে। মোস্তফার স্ত্রী হাসিনা বেগম জানান, তাঁদের ঘরটি মাটির ভিটির ওপর টিনের ছাউনি ও টিন-কাঠের বেড়ার। শনিবার রাতে তাঁরা ঘুমিয়ে ছিলেন। রাত একটার দিকে একজন লোক তাঁদের ঘরের পশ্চিম দিক থেকে সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে তাঁর স্বামীর মাথার বাম দিকে কোপ দেয়। টের পেয়ে তিনি জেগে উঠলে তাঁর সঙ্গে হামলাকারীর ধস্তাধস্তি হয়।
এ সময় হামলাকারী তাঁকেও আঘাত করে।
মোস্তফা হাওলাদারের ছেলে হাফিজুল দাবি করেছেন, বিএনপি-জামায়াতের লোকজন তাঁর বাবার ওপর হামলা করেছে। হামলাকারীকে তাঁর মা চিনতে পেরেছেন।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন দাবি করেছেন, সাঈদীর বিরুদ্ধে করা মামলার সাক্ষী মোস্তফা হাওলাদারের ওপর হামলার ঘটনায় বিএনপি বা জামায়াতের কেউ জড়িত নন।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।