কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকরের উদ্যোগ নেয়ার প্রতিবাদে গত দুই দিনের মতো বুধবারও সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল করছে জামায়াতে ইসলামী। একইসঙ্গে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার দাবিতে চলছে ১৮ দলীয় জোটের অবরোধ।
এরমধ্যেই বুধবার সকাল ১০টায় প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় পুনর্বিবেচনার আবেদনের গ্রহণযোগ্যতার শুনানি শুরু হয়।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সুপ্রিমকোর্ট বার কাউন্সিলের সহসভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন এবং জামায়াত নেতা ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আসামিপক্ষের প্রধান আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক আসামিপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন।
রাজ্জাক এর আগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, আব্দুল কাদের মোল্লা, মতিউর রহমান নিজামী, বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীসহ অন্যান্য মামলার শুনানি চলাকালে বিরোধী দলের হরতালে শুনানিতে অনুপস্থিত থেকেছেন।
হরতালের অজুহাতে আসামিপক্ষের জ্যেষ্ঠ আইনজীবীরা অনুপস্থিত থাকায় বার বার শুনানি পিছিয়ে দিতে বাধ্য হন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারকরা। বিষয়টি নিয়ে বিচারক বেশ কয়েকবার সতর্ক করলেও তাতে কান দেননি আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। এ নিয়ে বিচারকদের বিরক্তি প্রকাশ করতেও দেখা যায়।
মঙ্গলবার রাত ১২টা ১ মিনিটে যুদ্ধাপরাধী আব্দুল কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে প্রস্তুতি নেয় কর্তৃপক্ষ।
১৮ দলীয় জোটের টানা অবরোধের মধ্যেই ওই রাতে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার জজ সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের কাছে গিয়ে ফাঁসি কার্যকরে স্থগিতাদেশ চান ট্রাইব্যুনালে আসামিপক্ষের কৌসুলি আব্দুর রাজ্জাক।
বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত কাদেরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে স্থগিতাদেশ দেন।
এরপর রাতেই দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কাদের মোল্লার মুক্তি দাবিতে বুধবার সারা দেশে হরতালের ডাক দেয় জামায়াতে ইসলামী।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।