আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কাদের মোল্লা একাই একশ!!!



কাদের মোল্লা একাই একশ!!! ঘোর অমানিশা চারপাশে। সরকারের কোন পরিস্কার বক্তব্য নেই। কোন জায়গাতেই। কাল কাদের মোল্লার ফাঁসি দেয়ার বিষয়টি ঝুলে গেছে। আমরা কেউ বুঝতে পারছি না এমনটি কেন হল।

রায় কার্যকরের সময় সেটি আবার রিভিউ করার বাধ্য বাধকতা থাকে কিনা। থাকলে আগেই মানুষ জানল না কেন? সারাদিন মিডিয়ার দিকে তাকিয়ে তাকলাম কোন বিশেষজ্ঞ মতামতও পেলাম না। এমনই এদেশের মিডিয়া যারা দুঃসময়ে মানুষের প্রশ্নের জবাব দেয়ার সময়টা বোঝে না। এমনি কিন্তু অনেক গুজব ছড়াতে তারা ওস্তাদ। কাদের মোল্লার যে রায়টি ঝুলিয়ে দেয়া হল সেটি কিন্তু সরকারের এটর্নি জেনারেলও জানতেন না।

জানতেন না আইন প্রতিমন্ত্রীও। কি কারণে এমনটি আদেশ হল তা কেউ বুঝতে পারেনি। জামায়াত এতই শক্তিশালি যে তারা মৃত্যু পরোয়ানাও ফিরিয়ে দিতে পারে। কাল সেটাই দেখাল। যেন আজরাইলের মুখ থেকে ফিরিয়ে এনেছে কাদের মোল্লাকে।

এজন্য জামায়াতকে অবশ্যই বাহবা দিতে হয়। রাষ্ট্রে জনগণ যার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে তার কাছ থেকে যখন কোন সহযোগিতা মানে বক্তৃতা-বিবৃতি পায় না তখন জনগণ মনে করে ওই দুর্বৃত্তরাই উত্তম। মানুষ তখন তাদের কালো ছায়ার নীচে আশ্রয় খুঁজে। মনে করে অন্যায়টাই ন্যায়। কাদের মোল্লাই ঈমানদার।

এ কারণে গত ৪২ বছরে এদেশে উগ্র ডান আর জঙ্গীবাদীদের আস্ফালন বেড়েছে। কারণ তারাই মাঠে ছিল। অন্য কেউ নয়। রাষ্ট্রকে আদর্শের ভিত্তিটা তৈরি করে দিতে হয়। সেটা হয়ত সব জনগণ বুঝবে না।

যে জনগণ বুঝবে না তারাও এটার সুফল পাবে। দেখা যাবে প্রকৃত আদর্শের জন্য তাদের বিরোধিতাও ছিল। কিন্তু রাষ্ট্রকে শেষ পর্যন্ত সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। অবশ্যই নিতে হয়। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি সরকারের বিভ্রান্তি মারাত্মক অবস্থায় পৌঁছে গেছে।

হেফাজতের কারণেও সরকার এতটা বেকায়দায় পড়েনি। মনে হচ্ছে সরকারের থিঙ্ক ট্যাঙ্কও কাজ করছে না। কিংবা কিংকর্তব্যবিমূঢ়। এরশাদ যতই ডিগবাজি দিক, হাজারো মিথ্যা কথা বলুক কিন্তু তার একটা কথা সত্য ‘সরকার চারপাশে শত্রু বাড়িয়েছে’। যাদের শত্রু ভাবছি হতে পারে তারা একেবারে সুবিধাবাদী অংশ।

কিন্তু সময়ের কারণে সুবিধাবাদীদেরও পাশে রাখতে হয়। সরকারের শেষ সময়ে এসে কিভাবে হেফাজতের মত এক দঙ্গল মোল্লা রাষ্ট্রকে আদর্শবিরোধী চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয়। এটা হলো কেন। অন্যদিকে যারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি তাদের অনেকেই আওয়ামী লীগের বলয় ছেড়ে সরকারের নীতি-নির্ধারণের বিরুদ্ধে কথা বলছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বাইরে অন্য কোন বিষয়েও যদি নিজেদের লোকজন সরকার বিরোধী অবস্থানে থাকে তাহলে সরকারের মানসিক শক্তি খর্ব হয়।

এটা না বোঝার কিছু নেই। ড. ইউনূসকে ডেকে এনে ঝগড়া বাধানো হল। শুনেছি এটা পূর্ববর্তি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্যক্তিগত লাভ লোকসানের জন্য। তারপরও অনেকটা এগিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু যারা নাশকতা করছে সেই জামায়াত-শিবিরের টিকিটিও ছুঁতে পারেনা।

নাশকতার দায়ে তাদের সাজা হয়েছে - একেবারেই শোনা যায়নি। অথচ বিএনপির তথা ১৮ দলের হরতালে মোবাইল কোর্ট ছিল। কিন্তু যারা গোটা দেশে রেললাইন উপড়ে জানমাল হানি করছে তাদের ব্যাপারে সরকারকে বেশিরভাগ সময় নিরূপায় মনে হয়েছে। ছাত্রলীগ-যুবলীগের যারা টেন্ডারবাজি করত তাদের দিয়েও অন্তত বাংলাদেশের প্রায় হাজার কিমি. রেললাইন পাহাড়া দেয়া যেত না। সরকারের পক্ষে সেটা সম্ভব হয়নি।

ব্যবসায়িরা দিন দিন অস্থির হয়ে উঠছে। সরকারের কাছে তারা নাশকতার বিরুদ্ধে পরিস্কার অবস্থান দেখতে চাই। বাস্তব অ্যাকশন চাই। তাদের মনের কথা সরকার বুঝতে অক্ষম। সরকারের অক্ষমতার কানাঘুষা আরও বেড়ে গেছে গতকাল থেকে।

সাক্ষাত মৃত্যুদূতের হাত থেকে কাদের মোল্লার ফিরে আসার পর। এরকম রেকর্ড আর নেই। হঠাৎ ফাঁসির রায় কার্যকরের খবর শুনে যেমন চারপাশে একটা আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল। একই সাথে শুরু হয়েছিল জামায়াত-শিবিরের তা-ব। তারপর মানুষের মধ্যে চরম আতঙ্ক।

চট্টগ্রামের কোথাও কোথাও জামায়াত-শিবির সশরীরে গিয়ে হুমকি দিয়ে এসেছে। ‘দোকান পাত বন্ধ করে দাও। এক সপ্তাহ খুলতে পারবে না। ’ তারপর জ্বালাও-পোড়াও। সব জায়গার সব খবর মিডিয়ায়ও আসেনি।

সন্ধ্যা নামতে নামতে যে তা-ব শুরু হয়েছিল মানুষ জান নিয়ে ঘরে ফিরতে পারবে কিনা তাও বিশ্বাস ছিলনা। ভয়ঙ্কর একটা রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতি। মাত্র গুটি কয়েক মানুষ সারাদেশের মানুষকে জিম্মি করে ফেলে। এরপর মানুষ শেষ দৃশ্যটা দেখতে চেয়েছিল। শেষ হাসিটা হাসতে চেয়েছিল।

স্বস্তির সুযোগ চেয়েছিল। নিরাপত্তাহীনতা মেনেই যখন জনগণ রাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছিল তখন সরকার গনেশ উল্টে দিল। কাদের মোল্লার ফাঁসি স্থগিত করে দিল। মানুষের এ ত্যাগ-তিতিক্ষা, অপারগতা সত্ত্বেও মানুষের প্রস্তুতি কিছুই পাত্তা দিল না সরকার। মানুষ ধরেই নিয়েছিল যা হবার হবে।

কিন্তু একই প্রস্তুতিটা তো মানুষকে আবার নিতে হবে। মানুষকে আবার সরকার কোন নিরাপত্তা না দিয়েই ঘোর দুযোর্গের আগুনে ছুঁড়ে ফেলবেন। কিন্তু মানুষের মধ্যে এই নিরাপত্তাহীনতার খবর সরকারের কতটুকু কানে গেছে। যে রিকশাচালকের মা তার সন্তান ঘরে ফিরবে কিনা কোন নিশ্চয়তা ছিলনা তার কাছে, তার পরিবারের কাছে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের কি মূল্য আছে। যারা যুদ্ধাপরাধ বিচারে সাক্ষি দিয়েছে তাদের নিরাপত্তা দিতে সরকার ব্যর্থ।

আওয়ামী লীগ-বিএনপির দরকার নেই। যে সরকার সত্যিকার নিরাপত্তাবোধ তৈরি করতে পারবে তারা জনগণের সাপোর্ট পাবে। সরকার এটা নিশ্চিত করতে পারলে যে কোন পন্থা গ্রহণ করলেই সমর্থন পেতে পারে। এটা অনেক দেরি হয়ে গেছে। সরকার চাইলে সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

কঠোর-কঠিন সিদ্ধান্ত। কেউ চাই না কোন দলের ক্ষমতায় যাওয়া বা অন্য কোন দলের ক্ষমতায় থাকার জন্য তাদের গাড়ির চালক সন্তানটি অগ্নিদগ্ধ হয়ে যন্ত্রণাকাতর মৃত্যু বরণ করবে। এভাবে অন্য অনেকেই রাজনৈতিক সন্ত্রাসের শিকার হচ্ছে। ইতিমধ্যে বহু মানুষ প্রাণ দিয়েছে। সরকার এসব দায় এড়াতে পারে না।

কারণ সরকারের দরকার ছিল যারা নাশকতা করছে তাদের কঠোরভাবে দমন করা। আমরা শুনেছি সীতাকু-ে যারা নাশকতা চালিয়েছে এদের অনেকে আবার জামিনে বেরিয়ে একই ঘটনা ঘটিয়েছে। গোটা দেশ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে সীতাকু-ের নাশকতায়। যেখানে জামায়াত-শিবির রোহিঙ্গাদেরও ব্যবহার করেছে বলে শোনা গেছে। এভাবে আসলে গোটা দেশটাই যেন পরাজয়ের সামনে দাঁড়িয়ে।

কাদের মোল্লার কালকের বিজয়টা মানুষের মধ্যে এমন ইঙ্গিতই দিয়েছে। এর আগে গলায় ফাঁসির দড়ি দেয়ার পর বেঁচে যাওয়ার দৃশ্য কেবল সিনেমায় দেখেছে মানুষ। বিচার শেষ হবার পর এমন ব্যত্যয় ঘটার খবরও কেউ শুনেনি এর আগে। যা বিচার ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করেছে। মানে জামায়াত-শিবির যা অবশ্যই ঘটবে তাও অসম্ভব করে তুলতে পারে।

যার মৃত্যু পরোয়ানা জারি হয় তাকে মৃত্যুর হাত থেকে ফিরিয়ে আনতে পারে। অন্তত ক্ষনিকের জন্য কিংবা কিছু দিনের জন্য। কিন্তু এটা কি কম শক্তিমত্তা ? ঘোর অমানিশা চারপাশে। সরকারের কোন পরিস্কার বক্তব্য নেই। কোন জায়গাতেই।

কাল কাদের মোল্লার ফাঁসি দেয়ার বিষয়টি ঝুলে গেছে। আমরা কেউ বুঝতে পারছি না এমনটি কেন হল। রায় কার্যকরের সময় সেটি আবার রিভিউ করার বাধ্য বাধকতা থাকে কিনা। থাকলে আগেই মানুষ জানল না কেন? সারাদিন মিডিয়ার দিকে তাকিয়ে তাকলাম কোন বিশেষজ্ঞ মতামতও পেলাম না। এমনই এদেশের মিডিয়া যারা দুঃসময়ে মানুষের প্রশ্নের জবাব দেয়ার সময়টা বোঝে না।

এমনি কিন্তু অনেক গুজব ছড়াতে তারা ওস্তাদ। কাদের মোল্লার যে রায়টি ঝুলিয়ে দেয়া হল সেটি কিন্তু সরকারের এটর্নি জেনারেলও জানতেন না। জানতেন না আইন প্রতিমন্ত্রীও। কি কারণে এমনটি আদেশ হল তা কেউ বুঝতে পারেনি। জামায়াত এতই শক্তিশালি যে তারা মৃত্যু পরোয়ানাও ফিরিয়ে দিতে পারে।

কাল সেটাই দেখাল। যেন আজরাইলের মুখ থেকে ফিরিয়ে এনেছে কাদের মোল্লাকে। এজন্য জামায়াতকে অবশ্যই বাহবা দিতে হয়। রাষ্ট্রে জনগণ যার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে তার কাছ থেকে যখন কোন সহযোগিতা মানে বক্তৃতা-বিবৃতি পায় না তখন জনগণ মনে করে ওই দুর্বৃত্তরাই উত্তম। মানুষ তখন তাদের কালো ছায়ার নীচে আশ্রয় খুঁজে।

মনে করে অন্যায়টাই ন্যায়। কাদের মোল্লাই ঈমানদার। এ কারণে গত ৪২ বছরে এদেশে উগ্র ডান আর জঙ্গীবাদীদের আস্ফালন বেড়েছে। কারণ তারাই মাঠে ছিল। অন্য কেউ নয়।

রাষ্ট্রকে আদর্শের ভিত্তিটা তৈরি করে দিতে হয়। সেটা হয়ত সব জনগণ বুঝবে না। যে জনগণ বুঝবে না তারাও এটার সুফল পাবে। দেখা যাবে প্রকৃত আদর্শের জন্য তাদের বিরোধিতাও ছিল। কিন্তু রাষ্ট্রকে শেষ পর্যন্ত সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

অবশ্যই নিতে হয়। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি সরকারের বিভ্রান্তি মারাত্মক অবস্থায় পৌঁছে গেছে। হেফাজতের কারণেও সরকার এতটা বেকায়দায় পড়েনি। মনে হচ্ছে সরকারের থিঙ্ক ট্যাঙ্কও কাজ করছে না। কিংবা কিংকর্তব্যবিমূঢ়।

এরশাদ যতই ডিগবাজি দিক, হাজারো মিথ্যা কথা বলুক কিন্তু তার একটা কথা সত্য ‘সরকার চারপাশে শত্রু বাড়িয়েছে’। যাদের শত্রু ভাবছি হতে পারে তারা একেবারে সুবিধাবাদী অংশ। কিন্তু সময়ের কারণে সুবিধাবাদীদেরও পাশে রাখতে হয়। সরকারের শেষ সময়ে এসে কিভাবে হেফাজতের মত এক দঙ্গল মোল্লা রাষ্ট্রকে আদর্শবিরোধী চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয়। এটা হলো কেন।

অন্যদিকে যারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি তাদের অনেকেই আওয়ামী লীগের বলয় ছেড়ে সরকারের নীতি-নির্ধারণের বিরুদ্ধে কথা বলছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বাইরে অন্য কোন বিষয়েও যদি নিজেদের লোকজন সরকার বিরোধী অবস্থানে থাকে তাহলে সরকারের মানসিক শক্তি খর্ব হয়। এটা না বোঝার কিছু নেই। ড. ইউনূসকে ডেকে এনে ঝগড়া বাধানো হল। শুনেছি এটা পূর্ববর্তি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্যক্তিগত লাভ লোকসানের জন্য।

তারপরও অনেকটা এগিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু যারা নাশকতা করছে সেই জামায়াত-শিবিরের টিকিটিও ছুঁতে পারেনা। নাশকতার দায়ে তাদের সাজা হয়েছে - একেবারেই শোনা যায়নি। অথচ বিএনপির তথা ১৮ দলের হরতালে মোবাইল কোর্ট ছিল। কিন্তু যারা গোটা দেশে রেললাইন উপড়ে জানমাল হানি করছে তাদের ব্যাপারে সরকারকে বেশিরভাগ সময় নিরূপায় মনে হয়েছে।

ছাত্রলীগ-যুবলীগের যারা টেন্ডারবাজি করত তাদের দিয়েও অন্তত বাংলাদেশের প্রায় হাজার কিমি. রেললাইন পাহাড়া দেয়া যেত না। সরকারের পক্ষে সেটা সম্ভব হয়নি। ব্যবসায়িরা দিন দিন অস্থির হয়ে উঠছে। সরকারের কাছে তারা নাশকতার বিরুদ্ধে পরিস্কার অবস্থান দেখতে চাই। বাস্তব অ্যাকশন চাই।

তাদের মনের কথা সরকার বুঝতে অক্ষম। সরকারের অক্ষমতার কানাঘুষা আরও বেড়ে গেছে গতকাল থেকে। সাক্ষাত মৃত্যুদূতের হাত থেকে কাদের মোল্লার ফিরে আসার পর। এরকম রেকর্ড আর নেই। হঠাৎ ফাঁসির রায় কার্যকরের খবর শুনে যেমন চারপাশে একটা আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল।

একই সাথে শুরু হয়েছিল জামায়াত-শিবিরের তা-ব। তারপর মানুষের মধ্যে চরম আতঙ্ক। চট্টগ্রামের কোথাও কোথাও জামায়াত-শিবির সশরীরে গিয়ে হুমকি দিয়ে এসেছে। ‘দোকান পাত বন্ধ করে দাও। এক সপ্তাহ খুলতে পারবে না।

’ তারপর জ্বালাও-পোড়াও। সব জায়গার সব খবর মিডিয়ায়ও আসেনি। সন্ধ্যা নামতে নামতে যে তা-ব শুরু হয়েছিল মানুষ জান নিয়ে ঘরে ফিরতে পারবে কিনা তাও বিশ্বাস ছিলনা। ভয়ঙ্কর একটা রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতি। মাত্র গুটি কয়েক মানুষ সারাদেশের মানুষকে জিম্মি করে ফেলে।

এরপর মানুষ শেষ দৃশ্যটা দেখতে চেয়েছিল। শেষ হাসিটা হাসতে চেয়েছিল। স্বস্তির সুযোগ চেয়েছিল। নিরাপত্তাহীনতা মেনেই যখন জনগণ রাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছিল তখন সরকার গনেশ উল্টে দিল। কাদের মোল্লার ফাঁসি স্থগিত করে দিল।

মানুষের এ ত্যাগ-তিতিক্ষা, অপারগতা সত্ত্বেও মানুষের প্রস্তুতি কিছুই পাত্তা দিল না সরকার। মানুষ ধরেই নিয়েছিল যা হবার হবে। কিন্তু একই প্রস্তুতিটা তো মানুষকে আবার নিতে হবে। মানুষকে আবার সরকার কোন নিরাপত্তা না দিয়েই ঘোর দুযোর্গের আগুনে ছুঁড়ে ফেলবেন। কিন্তু মানুষের মধ্যে এই নিরাপত্তাহীনতার খবর সরকারের কতটুকু কানে গেছে।

যে রিকশাচালকের মা তার সন্তান ঘরে ফিরবে কিনা কোন নিশ্চয়তা ছিলনা তার কাছে, তার পরিবারের কাছে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের কি মূল্য আছে। যারা যুদ্ধাপরাধ বিচারে সাক্ষি দিয়েছে তাদের নিরাপত্তা দিতে সরকার ব্যর্থ। আওয়ামী লীগ-বিএনপির দরকার নেই। যে সরকার সত্যিকার নিরাপত্তাবোধ তৈরি করতে পারবে তারা জনগণের সাপোর্ট পাবে। সরকার এটা নিশ্চিত করতে পারলে যে কোন পন্থা গ্রহণ করলেই সমর্থন পেতে পারে।

এটা অনেক দেরি হয়ে গেছে। সরকার চাইলে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। কঠোর-কঠিন সিদ্ধান্ত। কেউ চাই না কোন দলের ক্ষমতায় যাওয়া বা অন্য কোন দলের ক্ষমতায় থাকার জন্য তাদের গাড়ির চালক সন্তানটি অগ্নিদগ্ধ হয়ে যন্ত্রণাকাতর মৃত্যু বরণ করবে। এভাবে অন্য অনেকেই রাজনৈতিক সন্ত্রাসের শিকার হচ্ছে।

ইতিমধ্যে বহু মানুষ প্রাণ দিয়েছে। সরকার এসব দায় এড়াতে পারে না। কারণ সরকারের দরকার ছিল যারা নাশকতা করছে তাদের কঠোরভাবে দমন করা। আমরা শুনেছি সীতাকু-ে যারা নাশকতা চালিয়েছে এদের অনেকে আবার জামিনে বেরিয়ে একই ঘটনা ঘটিয়েছে। গোটা দেশ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে সীতাকু-ের নাশকতায়।

যেখানে জামায়াত-শিবির রোহিঙ্গাদেরও ব্যবহার করেছে বলে শোনা গেছে। এভাবে আসলে গোটা দেশটাই যেন পরাজয়ের সামনে দাঁড়িয়ে। কাদের মোল্লার কালকের বিজয়টা মানুষের মধ্যে এমন ইঙ্গিতই দিয়েছে। এর আগে গলায় ফাঁসির দড়ি দেয়ার পর বেঁচে যাওয়ার দৃশ্য কেবল সিনেমায় দেখেছে মানুষ। বিচার শেষ হবার পর এমন ব্যত্যয় ঘটার খবরও কেউ শুনেনি এর আগে।

যা বিচার ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করেছে। মানে জামায়াত-শিবির যা অবশ্যই ঘটবে তাও অসম্ভব করে তুলতে পারে। যার মৃত্যু পরোয়ানা জারি হয় তাকে মৃত্যুর হাত থেকে ফিরিয়ে আনতে পারে। অন্তত ক্ষনিকের জন্য কিংবা কিছু দিনের জন্য। কিন্তু এটা কি কম শক্তিমত্তা ?


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.