ইকোনোমিস্ট
জাতি হতাশায় ডুবে আছে, তারা এ্যাকশনে জেগে উঠে: তাই ফাঁসী বিরাট একটা জাতীয় ইভেন্টে পরিণত হয়েছে; এমন কি ফাঁসী না হলে খালেদা বেগম, জামাত-শিবিরও হতাশ হবে। জাতির আসল সমস্যাকে এড়িয়ে কিছুটা সময় কাটাতে চাচ্ছে!
আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে, ৫৫ হাজার রাজাকার কি ভয়ানক ক্ষতি সাধন করেছে সেদিন জাতির, আজকের জেনারেশনের অনেকের পক্ষে কল্পনা করাও মুশকিল! '৭১ এর জেনারেশনের যে ৩ কোটীর মতো মানুষ এখনো জীবিত আছেন, তাঁরা ফাঁসীর চেয়ে আরো কঠিন শাস্তি চাইতে পারেন জীবিত রাজাকারদের।
ভোট নিয়ে ভয়ানক অবস্হায় থাকা সত্বেও জাতি ফাঁসীতে বেশী উৎসাহী গত কয়েকদিন। এই উৎসাহ সাময়িক: জাতির বড় অংশ স্বাধীনতার সুফল পায়নি, '৭১ এর স্বপ্ন সফল হয়নি, এবং বর্তমান অবস্হায় জাতি নিজকে অসহায় অবস্হায় দেখছে; এখন জাতি কিছু এ্যাকশন দেখতে চায়: এবং তা যদি কোন রাজাকারের ফাঁসী হয়, তা'হলে তো কথা নেই।
যাক, মোল্লার ফাঁসী ঠিক সময়ে হয়ে যাবে; তখন জাতি আবার বাস্তবতায় ফিরে আসবে, আসল সমস্যা তাদের সামনে বড় হয়ে ফুটে উঠবে।
জাতিকে ভুল দিকে নিয়ে এসেছেন জেনারেল জিয়া: এ পথে এ জাতির বৃহদাংশ বন্চিত হয়েছে; জেনারেল এরশাদ, খালেদা বেগম ও শেখ হাসিনা জিয়ার তত্ব চালু রেখেছে; ফলে, শেখ সাহেবের দেয়া 'সোনার বাংলার' স্বপ্ন অংকুরেই হারিয়ে গেছে। জাতির নতুন জেনারেশন এরশাদ, খালেদা বেগম ও হাসিনার চরিত্র পেয়েছে; ফলে, জাতি আসলে এরশাদ, খালেদা বেগম ও হাসিনায় পরিপুর্ণ: এদের চাওয়া পাওয়ায় ফাঁসী ইত্যাদি বড় ফ্যাক্টর হয়ে যাচ্ছে আক।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।