০। জীবনের অনেকগুলো সময় পার করেও আপনি হয়তো এখনো ধর্মীয় অনুশাসনগুলো মেনে চলছেননা, জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময়গুলো অপ্রয়োজনীয় কাজে নষ্ট করে ফেলছেন প্রতিনিয়ত, ভুলে গেছেন সৃষ্টিকর্তার প্রতি শুকরিয়া জ্ঞাপন কিংবা পরকালের দীর্ঘস্থায়ী জীবনের কথা ।
১। প্রতিদিনের কর্মব্যস্ততার মাঝেও আপনি নিশ্চয়ই ব্যস্ত থাকেন কখন ফেসবুকের নোটিফিকেশন চেক করবেন, কখন একটা স্ট্যাটাস দিবেন, স্ট্যাটাস না দিলেও অন্যের দেয়া স্ট্যাটাস বা ফটোতে লাইক, কমেন্টস কিংবা শেয়ার করবেন ।
২।
প্রতিদিনের অবসরে আপনি নিশ্চয়ই ভালো সময় কাটান ডেস্কটপ কিংবা ল্যাপটপে মুভি দেখা, গান শোনা কিংবা গেইম নিয়ে মিশন কমপ্লিট করার অবিরাম ব্যর্থ চেষ্টা নিয়ে ।
৩। সবসময়ে কাজের ফাকেও আপনি নিশ্চয়ই বন্ধুবান্ধবদের সাথে আড্ডা দেয়া, গল্প করা কিংবা ফোনে কথা বলার মাঝে সর্বোচ্চ সময় ব্যয় করেন ।
৪। সারাদিন ক্লাশ, পরীক্ষা আর কোচিং শেষ করে আপনি হয়তো হারিয়ে যান টেলিভিশনের বিভিন্ন চ্যানেলের হিন্দী বা ভারতীয় বাংলা সিরিয়ালে কিংবা ছবি, নাটক বা গানে ।
এবার আসুন একটু পর্যালোচনা করে দেখি...
জীবনের অনেকগুলো সময় পার করেও আপনি ধর্মীয় অনুশাসনগুলো মেনে চলছেননা, জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময়গুলো নষ্ট করে ফেলছেন প্রতিনিয়ত যে সময়গুলো আপনি আর ফিরে পাবেননা, আর প্রত্যেকটি কাজের জন্যই আপনাকে জবাবদিহি করতে হবে । আপনার উচিত ধর্মীয় অনুশাসনগুলো মেনে চলে পৃথিবীর ক্ষণস্থায়ী এ জীবনের চেয়ে পরকালের চিরস্থায়ী জীবনেকও প্রাধান্য দেয়া । যার প্রভাবে আপনার সকল কাজে অশান্তির পরিবর্তে প্রশান্তি ফিরে আসতো, সর্বোপরি হতাশাকে শক্তিতে, ব্যর্থতাকে সাফল্যে আর অভাবকে প্রাচুর্য্যে পরিণত করার সুযোগ পেতেন ।
ফেসবুকে অযথা সময় কাটানো, নোটিফিকেশন চেক, স্ট্যাটাস আপডেট এবং কমেন্টস এর মাধ্যমে আপনি যেটুকু সময় বিনোদন উপভোগ করছেন আপনার কর্মদক্ষতা, আপনার সৃজনশীলতা তার চেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে । আপনি যদি অযথা বাড়তি সময় কাটানোকে কমিয়ে কিঞ্চিৎ সময় আপনি নতুন কিছু করতে পারেন তবে মাত্র এক মাসেই আপনি অনেক দুর এগিয়ে যাবেন, নয়তো পিছিয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকবে ৬ মাস, ১ বছর কিংবা তার চাইতেও বেশী ।
নেশায় পরিণত হওয়ার আগেই একটু পর্যালোচনা করে দেখুন ।
প্রতিদিনের অবসরে আপনি যেটুকু সময় কাটান
সবসময়ে কাজের ফাকে আপনি বন্ধুবান্ধবদের সাথে আড্ডা, গল্প করা কিংবা ফোনে কথা বলার মাঝে সর্বোচ্চ যে সময় ব্যয় করেন সে সময় যদি আপনি সামাজিক কিছু কর্মকান্ড কিংবা জনসচেতনতা মূলক কাজে ব্যয় করেন তবে আপনি, আপনার দেশ তথা প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেত ।
সারাদিন ক্লাশ, পরীক্ষা আর কোচিং শেষ করে আপনি হারিয়ে যান টেলিভিশনের বিভিন্ন চ্যানেলের হিন্দী বা ভারতীয় বাংলা সিরিয়ালে কিংবা ছবি, নাটক বা গানে । আপনি যদি এ সময়টাকে পড়াশোনার মাঝে ব্যয় করেন তবে আপনাকে আর পরীক্ষার আগে পড়তে পড়তে খুন হতে হয় না ।
এবার আসুন, পর্যালোচনা করে দেখি কেন আমাদের দ্বারা অনেক কাজই সম্ভব হয়না...
স্বভাবতই বাঙ্গালী অলস জাতি হিসেবে পরিচিত ।
অল্প পরিশ্রমে অনেক বেশী ফলাফল পাওয়ার প্রবণতা বাঙ্গালীর মধ্যে সবচেয়ে বেশী কাজ করে । আমরা যদি অনেক বেশী উদ্যোমী আর পরিশ্রমী হই, তবে আমাদের দ্বারা ব্যক্তি, পরিবার, আর্থ সামাজিক, রাষ্ট্রীয় এবং আন্তর্জাতিক অনেক উন্নয়ন সম্ভব ছিলো । একটু চিন্তা ভাবনা, একটু পর্যালোচনা যদি আমাদের মনের মধ্যে ক্ষুদ্র পরিবর্তন আনতে পারে, তবে সে ক্ষুদ্র পরিবর্তনই একটি বৃহদাকার কল্যাণের জন্য যথেষ্ট হতে পারে । উন্নত বিশ্বে যারা পরিশ্রমী তারাই সফল, তারা কারো কাছে মুখাপেক্ষীও নয় । তবে আমরা কেন মুখাপেক্ষী হতে যাবো, পরিশ্রমী হয়ে, আরো উদ্যোগী ও আতœবিশ্বাসী হয়ে আমরা কেন সামনে এগিয়ে যেতে পারি না।
আমাদের সামনে অনেক সময় । এখনই সিদ্ধান্ত নিলে সামনের সময় গুলোকে কাজে লাগাতে পারবো ইনশাআল্লাহ ।
বাঙ্গালী জাতি অলস জাতি, এ কথা যেন আমাদেরকে আর শুনতে না হয় ।
আমরা যারা ফ্রিলেন্সিং এর জগতে নতুন, অবহেলা করে, আড্ডা দিয়ে, গেইম খেলে, ফেসবুকে অযথা সময় কাটিয়ে যে সময়টা নষ্ট করি সে সময়টা আমরা যদি ধরুন এইচটিএমএল, সিএসএস, পিএইচপি এর পিছনে ব্যয় করতে পারি হতে পারি আমরাও এসব বিষয়ে ভালো দক্ষতা অর্জন করতে পারি । সবার সব বিষয়ে আগ্রহ থাকে না, না থাকুক, আপনি এ সময়টা ওডেস্ক, ফ্রীল্যান্সার, ইল্যান্স এ ব্যয় করতে পারলে, এতদিন ধরে ঘাটাঘাটি করে বিড করলে হয়তো এখন সবার আগে আপনিই কাজ পেতেন ।
যাক বাবা ধরলাম, তাও আপনার পছন্দ না । আপনি ইমেইল মার্কেটিং, এফিলিয়েট মার্কেটিং কিংবা ফরেক্স ট্রেডিং নিয়েও গবেষণা করতে পারেন । নতুবা আপনি করতে পারেন নতুন কিছু শেখার অভিযান, যেটাতে আপনার ভালো আগ্রহ রয়েছে । অনলাইন এ আয়ের আমার ধারাবাহিক চেইন টিউন দেখতে পারেন যা দেখেও আপনি অনলাইনে কাজ শেখা, বুঝা ও করার কিঞ্চিৎ প্রয়াস পাবেন ।
এবার একটা ঘটনা বলি ।
আজ সকালে একটা ছোটখাট অঘটন ঘটে গেলো । সকাল বেলা গোসল করে বারান্দায় যাচ্ছিলাম কাপড় শুকাতে । থাই গ্লাস এর দরজা খুব বেশী ফ্রী ছিলো, খেয়াল করা হয়ে উঠেনি । জোর করে খুলতে গিয়ে সজোরে এসে চাপ লাগলো আঙ্গুলে, সাথে সাথে আঙ্গুল ফেটে রক্ত ঝরছিলো । আমি খেয়ালই করলাম না ।
ব্যাথা পেয়েই চুপচাপ ছিলাম । পরে দেখি আঙ্গুল ফেটে রক্ত ঝরছে । বাসার কোথাও টিস্যু সেভলন খুজে পেলাম না । এদিকে অফিসেরও দেরী হয়ে যাচ্ছিল । অবশেষে একটি টিস্যু পেলাম, তুলা দিয়ে টিস্যু লাগিয়ে স্ক্রচ টেপ দিয়ে ব্যান্ডেজ করলাম।
এদিকে বেচারা রুমমেট এহসান ভাই, সকাল থেকেই ভারপ্রাপ্ত বুয়ার অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করলেন । রান্না বান্না শেষে অফিস চলে গেলেন । এত কষ্ট করে রান্না করলেন, না খেয়ে গেলে কি হয়! কিন্তু কি করে খাবো, আমার হাতেতো ব্যান্ডেজ । জীবনে কখনো বাম হাত দিয়ে ভাত খাইনি, আজ সকালে তাই করলাম, একটু অস্বস্তি মনে হলেও ভালোই লাগলো । আসলে অসম্ভব বলে কিছু নেই, আল্লাহ ২টি হাত দিয়েছেন, শরীরের সকল অঙ্গ প্রত্যঙ্গও ভালো আছে ।
আর যাদের একটি বা ২টি হাত নেই, পা নেই কিংবা চক্ষু নেই, কত কষ্টেই না তাদের জীবন চলছে । মহান আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করে শেষ করা যাবে না...
আমার সাইট
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।