সরকারবিরোধী আন্দোলনে নামার জন্য অনেকটাই প্রস্তুত রাজশাহী জেলা ও মহানগর জামায়াত। গোটা অঞ্চলকে তিনটি সাংগঠনিক এলাকায় ভাগ করে সুপরিকল্পিতভাবে তারা কার্যক্রম চালাচ্ছে। কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা পেলেই ঝাঁপিয়ে পড়বে আন্দোলনে। জেলা ও মহানগর জামায়াত নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
রাজশাহী মহানগর জামায়াতের আমির আতাউর রহমান কালের কণ্ঠকে জানান, নেতাকর্মীদের মনোবল এখন আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় অনেক বেশি মজবুত।
তিনি আরো জানান, কেন্দ্র থেকে যেকোনো সিদ্ধান্ত পেলে তা বাস্তবায়নে প্রস্তুত জেলা ও মহানগর জামায়াত। দলের বার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে সব ক'টি শাখা। প্রতিনিয়তই বাড়ছে সদস্য সংখ্যাও।
স্থানীয় নেতারা জানান, রাজশাহীতে জামায়াতের অবস্থান সুসংহত করতে তিনটি সাংগঠনিক এলাকায় ভাগ করে দলের কাজ চালানো হচ্ছে। এলাকাগুলো হচ্ছে রাজশাহী পূর্ব ও পশ্চিম এবং রাজশাহী মহানগর।
রাজশাহী পূর্ব এলাকায় রয়েছে পুঠিয়া, দুর্গাপুর, বাঘা ও চারঘাট উপজেলা। পশ্চিম এলাকার অন্তর্ভুক্ত হলো বাগমারা, মোহনপুর, তানোর, গোদাগাড়ী ও পবা উপজেলা। রাজশাহী মহানগর আলাদা এলাকা। মহানগর জামায়াতের আমির আতাউর রহমান, পশ্চিম জেলা জামায়াতের আমির আমিনুল ইসলাম এবং পূর্ব জেলা জামায়াতের আমির হলেন রেজাউর রহমান। তবে মাঠ পর্যায়ে সাংগঠনিক কাজের গতি বাড়াতে থানা আমির নির্বাচন ও ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে।
গত ডিসেম্বর থেকে এ প্রক্রিয়া শুরু হয়ে তা চলে জানুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত।
মহানগর জামায়াত সূত্র দাবি করেছে, জেলা জামায়াতের তুলনায় রাজশাহী মহানগর জামায়াত বেশি সংগঠিত। তবে সদস্য সংখ্যা বাড়ানোর কাজে এগিয়ে জেলা জামায়াত। মহানগর জামায়াতের মূল শক্তি ছাত্র সংগঠন। ইসলামী ছাত্রশিবির শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে কার্যক্রম দ্রুত গতিতে বাড়িয়ে চলেছে।
বর্তমানে রাজশাহীর প্রায় সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিবিরের অবস্থান মজবুত। এর পেছনে রয়েছে মহানগর জামায়াতের ভূমিকা।
জানা গেছে, সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী বাতিলের রায় অনুযায়ী ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হতে পারে বলে সরকারের বিভিন্ন মহলের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে রাজশাহীতে তৌহিদি জনতার ব্যানারে আন্দোলন করছে জামায়াত। এতে উপজেলা জামায়াত নেতাকর্মীদের উপস্থিতি লক্ষ করার মতো।
মোহনপুর জামায়াতের আমির আবদুল খালেক জানান, আমরা উপজেলা কমিটি গঠন করেছি।
এখন সদস্য সংখ্যা বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দিয়েছি।
পুঠিয়া জামায়াতের আমির ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আহমদুল্লাহ বলেন, 'কমিটি গঠনের পর থেকে উপজেলায় জামায়াতের কর্মী ও জনসমর্থন বাড়ানোর কাজ করে যাচ্ছি। '
রাজশাহী পশ্চিম জেলা জামায়াতের আমির আমিনুল ইসলাম জানান, নানা কারণে ২০০৮ সালে সাংগঠনিক কাজ কিছুটা ঝিমিয়ে পড়েছিল। কিন্তু বর্তমানে জোরেশোরে এগিয়ে চলেছে। ২০০৯ সালে তাঁর এলাকায় ৫২ হাজারের মতো নতুন সমর্থক সদস্য ফরম পূরণ করে দলে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।
এ ছাড়াও বেড়েছে জামায়াতের রুকন ও কর্মীর সংখ্যা।
পূর্ব জেলা জামায়াতের আমির রেজাউর রহমান জানান, তাঁর এলাকায় গত বছর নতুন করে ফরম পূরণ করে দলে যোগ দিয়েছেন প্রায় ৪০ হাজার সদস্য। বেড়েছে রুকন ও কর্মীর সংখ্যা।
--------কালেরকন্ঠ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।