আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মশাল মিছিল



যারা প্রগতীর চাকা আটকে ধরে তারাই প্রতিক্রিয়াশীল । কালে কালে, পরিবেশ পরিস্থিতির সাথে খাপ খাইয়ে এরা রং বদলায়, খোলস বদলায়, এমনকি প্রতিক্রিয়াশীলদের স্থায়ী কোন নামও নেই । কখনো কখনো জাতীয়তার আড়ালে, কখনো ধর্মের আড়ালে, কখনো ইতিহাসের কোন স্বর্নজ্জ্বল অধ্যায় ঘিরেও এরা তৎপর থাকে । কখনো এরা স্বাধীনতাকামীদের গলাচেপে হত্যা করে, কখনো এরা স্বাধীন দেশে ‘গদী’ দখলের জন্য অবাধে সংঘাত চালায় । কোন প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী প্রগতীর দরজায় আসতে পারে কি না, জানিনা ।

তবে সাময়িক প্রগতীর লেবাসধারীরা যে হরহামেশাই চিৎপটাং হয়ে প্রতিক্রিয়াশীল লাইনে পড়ে তার জলজ্যান্ত উদাহরণ বর্তমান পরিস্থিতি : একজন প্রগতিশীল মানুষ, আজীবন প্রগতিশীল নাও হতে পারে বরং কখনো কখনো প্রতিক্রিয়াশীলতার শিরোমনি হয় , ইতিহাসের বাস্তবতা এটাই শেখায় । প্রশ্ন হতে পারে, ‘কি করা উচিৎ অদূর অতীতের প্রগতিশীলদের ?’ কোন দ্বিধা না রেখে তাদের (বর্তমান প্রতিক্রিয়াশীলদের) কে ভাঁগাড়ে নিক্ষেপ করা উচিৎ । প্রতিক্রিয়াশীলদের রক্ষার প্রচেষ্টাও প্রতিক্রিয়াশীলতা । চলছে ডিসেম্বর মাস : বিজয়ের মাস । আমি বলি ‘আত্ম ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর কিছু কাল’ ।

এ মাস আমাদের অধিকার আদায়ের শিক্ষা দেয়, সংগ্রামের আহ্বান জানায়, প্রতিক্রিয়াশীলদের মুখোশ উন্মোচনে তীব্র পদক্ষেপের দীক্ষা দেয় । কতিপয় ভণ্ডরা নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য বায়ান্নোর একুশ, একাত্তরের ১৬ কে স্রেফ চাকচিক্যময় ‘শহীদ দিবস’ বা জমকালো আয়োজনে ‘বিজয় দিবস’ উৎযাপনে উৎসাহিত করে । তারা তরুনদের রাজনীতিতে আসা বন্ধ করতে এনএসফ (পাকিস্থানামলের সরকারি ছাত্র সংগঠন) স্টাইলে ছাত্র রাজনীতি কলঙ্কিত করে । এইসব ভণ্ডরা শহীদ মিনার বা স্মৃতিসৌধের পাদদেশে দাড়িয়ে, লাখ লাখ শহীদের রক্তকে পানির দরে বিক্রি করছে বিশ্ববাজারে । একাত্তরের নরঘাতক ‘কসাই কাদের’র ফাঁসি হয়েছে ।

তার প্রতিক্রিয়ায় ‘জামাতে ইসলামি’ সারাদেশে ত্রাসের রাজত্ব চালাচ্ছে । পুড়ছে ঘরবাড়ি, জ্বলছে মানুষের হাড় । অন্যদিকে,‘ মার্কিন-ভারতের মদদে ‘গদী’ দখল নিয়ে লীগ-বিএনপি’র সংঘাত, সারা দেশকে শ’পাঁচেক লাশ উপহার দিয়েছে। ’ আসুন, এবারের ষোলই ডিসেম্বরকে উপভোগ নয় পালন করি, নিজের প্রয়োজনে, দেশের প্রয়োজনে, প্রগতিশীল এবং প্রতিক্রিয়াশীলদের মধ্যে স্পষ্ট পার্থখ্যরেখা টেনে এগিয়ে যাই ...............মশাল মিছিল

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।