তবে তার শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
গ্লিটজকে এ খবর জানিয়েছেন অসুস্থ অভিনেতার ভাগ্নী অভিনেত্রী রুনা খান।
অসুস্থতার খবর পেয়ে হাসপাতালে তাকে দেখতে এসেছেন অভিনয়শিল্পী আতাউর রহমান, লাকী ইনাম, তারিক আনাম খান, আজাদ আবুল কালাম, ফারাহানা মিঠু, আফরোজা বানু, নাসিরুদ্দিন ইউসুফ, ঝুনা চোধুরী, অমৃতা খান, ব্যান্ড শিল্পী আইয়ুব বাচ্চু, সাংবাদিক আবেদ খান এবং নাগরিক নাট্যাঙ্গন ও সুবচন নাট্য সংসদের বেশ কজন কর্মীসহ সংস্কৃতি অঙ্গনের বিশিষ্টজনেরা।
১৯৭৮ সালে নাগরিক নাট্যদলের হয়ে দেওয়ান গাজীর ‘কিসসা’ নাটকের মাধ্যমে অভিনয় জীবন শুরু করেন খালেদ খান। নাগরিক নাট্যসম্প্রদায়ের হয়ে তিনি ৩০টির বেশি নাটকে অভিনয় করেছেন।
তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য মঞ্চ নাটকগুলো হচ্ছে দেওয়ান গাজীর কিস্সা, নুরল দীনের সারাজীবন, গ্যালিলিও, রক্তকরবী, দর্পণ। তার নির্দেশিত আলোচিত মঞ্চ নাটকগুলো হচ্ছে ‘মুক্তধারা’, ‘পুতুল খেলা’, ‘কাল সন্ধ্যায়’, ‘মাস্টার বিল্ডার’, ‘ক্ষুধিত পাষাণ’। তার নির্দেশিত প্রতিটি নাটকই ব্যাপক দর্শকপ্রিয়তা পায়। সর্বশেষ তিনি সুবচনের ‘রূপবতী’ নাটকটির নির্দেশনা দেন।
অসুস্থ হওয়ার আগে তিনি নাগরিক নাট্যাঙ্গনের 'রক্ত করবী' নাটকের বিশু পাগল চরিত্রে অভিনয় করেন।
তিনি হুমায়ূন আহমেদের ধারাবাহিক 'এইসব দিনরাত্রি' ও ইমদাদুল হক মিলনের 'রূপনগর' নাটকে অভিনয় করেন। ‘এইসব দিনরাত্রি’ নাটকে ‘আনিস’ চরিত্র ও ‘রুপনগর’- এর হেলাল মাস্তানের চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকের মন জয় করে নেন এই অভিনেতা। অভিনেতা খালেদ খানের ঝুলিতে রয়েছে মোহাম্মদ জাকারিয়া পদক, নুরুন্নাহার স্মৃতি পদক, সিজেএফবি এ্যাওয়ার্ড, ইমপ্রেস অন্যদিন এ্যাওয়ার্ড ইত্যাদি।
অসুস্থ হবার পর অভিনয় ছেড়ে তিনি যোগ দিয়েছিলেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টসে(ইউল্যাব)-এ। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।
রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী মিতা হক তার স্ত্রী। তাদের সন্তান কণ্ঠশিল্পী ফারহিন খান জয়িতা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।