ইশতিয়াক
৭ টি আজইরা ভাদাইম্মা পোস্টের ২য় পোস্ট
সে কোন এক দিনের কথা
যখন আমি বেকার জীবনের সবচেয়ে আরামদায়ক সকালগুলা পার করতেছি
আর সাথে চলতেছিল চলে যাওয়া প্রেয়সীর সাথে ডিসটিং ডিসটিং
এমন সময় চলে যাওয়া প্রেয়সীর কল
টুকটাক কথা বার্তা হওয়ার পরে
সে আমাকে হঠাৎই জিজ্ঞেস করে বসলো
“আচ্ছা, তোমরা কি আলু পরোটা খাও?”
যারা আলু পরোটা খান, তাদের কাছে এটা হয়তো কোন ব্যাপার ই না
কিন্তু আমরা এক বছর আগেও আলু পরোটা খেতাম না
সব ফ্যামিলিতে তো আর সব চলে না
তো যাই হোক
আমি আবার এদিকে আলু পরোটা জিনিস টা খাই তো নাই ই, নামও শুনি নাই
তাই একটু বেক্কল এর মতো ভাব নিতে গেলাম
“আলু দিয়ে পরোটা কেম্নে খায়? (বিশাল ভাব :p :p :p )
আমি খাই না, মাঝে মধ্যে টেবিলে আলু ভর্তা থাকলে খাই, নাইলে না”
প্রেয়সী তো আমারে দিলো ঝাড়ি,
“আরে বোকা, আলু দিয়ে পরোটা না, আলু পরোটা, আলু পরোটা”
আমি তো রীতিমতো আকাশ থেকে পরলাম
“আলু পরোটা, সেইটা আবার কি জিনিস??”
তো সে আমাকে তখন সেটার রেসিপি দিলো
আম্মুও ভালো মতো বানায়ে দিলো
খেতে তো বেশ ভালই
সেই থেকে শুরু খাওয়া
শুধু আমরা না,
আমার ছোট খালা, বড় খালা দুই জনই শুরু করলো এই সকাল বেলা আলু পরোটা খাওয়া
কিন্তু কাহিনী কিন্তু এইটা না
কাহিনী অন্য জায়গায়
আলু পরোটা বানাতে গিয়ে আপনি যদি মশলা বেশি দিয়ে ফেলেন
তাহলেই কেবল কাহিনী শুরু
২-৩ ঘন্টা পরে আপনি একটা টেম্পোরারি প্রাকৃতিক গ্যাস ক্ষেত্রে পরিণীত হয়ে যাবেন
পিছন দিয়ে ফুস ফুস ই গ্যাস বের হবে
আর যখন আপনি সেটা কমোডে ফেলতে যাবেন
ফেলার পরে মনে হবে আপনার পিছনে কেও আগুন লাগায়ে দিছে
আপনি এখন মুহূর্তের মধ্যে রকেটের মতো উড়ে যাবেন
আর আপনি যখন টাট্টি খানা থেকে বের হবেন, তখন আপনি চেগায়ে হাটতে বাধ্য
আম্মু একটু মশলা কম দেয়াতে আমরা টেম্পোরারি প্রাকৃতিক গ্যাস ক্ষেত্রে পরিণীত হইছি কমই
কিন্তু আমার ২ খালাই স্বাদ বাড়াতে গিয়ে পরিবারের সবাইকে টেম্পোরারি প্রাকৃতিক গ্যাস ক্ষেত্রে পরিণীত করে ফেলছিল
টেম্পোরারি প্রাকৃতিক গ্যাস ক্ষেত্র কিভাবে হয় সেটা বড় খালা আবিস্কার করার পরে সেই আলু পরোটা এখন তার পরিবারে বন্ধ
কিন্তু ছোট খালার পরিবারে এখনো সেটা বন্ধ হয় নাই
এখন এই যে আমি ছোট খালার বাসায় এসে থাকি
আমাকেও মাঝে মধ্যে সকাল বেলা
এই আলু পরোটা খেতে হয়
খেয়ে অফিসে যাওয়ার পরেই শুরু হয়ে যায় টেম্পোরারি প্রাকৃতিক গ্যাস ক্ষেত্র থেকে গ্যাস নির্গমন
ভাগ্য ভালো রুমে একটা এয়ার ফ্রেশনার আছে
তার পরেও প্রতিবার গ্যাস নির্গমন হওয়ার পরে এমন একটা ভাব নিয়ে চেয়ারে বসে থাকতে হয় যেন
ককটেল ফাটছে তো কি হইছে, আমারে গায়ে তো আর স্প্লিনটার লাগে নাই
এই আলু পরোটা শেষ পর্যন্ত একটা কঠিন অস্ত্রে পরিণীত হইছে
এখন ডি এম পি ইচ্ছা করলেই এই আলু পরোটা কে বিরোধী দল দমনে ব্যাবহার করতে পারে
কিভাবে??
মনে করেন বিরোধী দলের নেতা কর্মীদের সকাল বেলা ডি এম পি নিজেদের খরচে আলু পরোটা দিয়ে নাস্তা করাবে
তাহলে ১-২ ঘণ্টা পরেই যখন তারা মিছিল নিয়ে বের হবে
এর একটু পরেই তাদের কে দাবড়ানি দেয়ার আগেই তারা দৌড় দিয়ে তাদের কার্যালয়ে ফেরত চলে আসবে
কারন, আগে তো টেম্পোরারি প্রাকৃতিক গ্যাস ক্ষেত্র থেকে মুক্তি
পরে না আন্দোলন
এরকম একটা যুগান্তকারী আবিস্কারের জন্য চলে যাওয়া প্রেয়সীকে মেডেল অফ অনার দেয়া উচিৎ
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।