দেশে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সহিংসতা দেশের অর্থনীতিকে গলা টিপে ধরেছে। এ সহিংসতা থেকে কোনো শিল্পই রক্ষা পাচ্ছে না। এ সহিংসতার কারণে গত চার মাসে দেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়কারী খাত হিসেবে পাট শিল্পের রফতানি কমেছে ১৮ শতাংশ।
বাংলাদেশ রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১২-১৩ অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবর মাসের তুলনায় চলতি বছর পাট রফতানি কমেছে ২০ দশমিক ৬৬ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে পাট রফতানি লক্ষ্যমাত্রা থেকে পিছিয়ে আছে ২৭ দশমিক ৯৭ শতাংশ।
ইপিবি সূত্রে জানা গেছে, ২০১২-১৩ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে পাট রফতানির পরিমাণ ছিল ৩৩০ দশমিক ৪১ মিলিয়ন ডলার। এ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে এ রফতানির পরিমাণ কমে দাঁড়িয়েছে ২৬২ দশমিক ১৪ মিলিয়ন ডলারে।
রাজনৈতিক সহিংসতার কারণেই চলতি বছরে পাটশিল্পের রফতানি কমছে উল্লেখযোগ্য হারে। শত চেষ্টা করেও এর সমাধান করতে পারছেনা সংশ্লিষ্টরা, শুধুমাত্র দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক সমস্যার কারণে। আর তাই পাট রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও তা অর্জন করা সম্ভব হচ্ছে না।
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুসারে, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে পাটজাত দ্রব্য রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৬৩ দশমিক ৯৩ মিলিয়ন ডলার। এ লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে অক্টোবর মাস পর্যন্ত আয় হয়েছে ২৬২ দশমিক ১৪ মিলিয়ন ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ২৭ দশমিক ৯৭ শতাংশ কম।
গত অর্থবছরের চলতি সময়ের তুলনায় চলতি বছরের প্রথম চার মাসে পাটজাত দ্রব্যের প্রায় প্রতিটি পণ্যের ক্ষেত্রেই রফতানি কমেছে। ইপিবি থেকে জানা গেছে, কাঁচামাল হিসেবে পাটের রফতানি কমেছে প্রায় ৬১ শতাংশ, ইয়ার্ন পাটের রফতানি কমেছে ১৮ শতাংশ ও পাটের ব্যাগ জাতীয় পণ্যের রফতানি কমেছে ৪১ শতাংশ।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।