আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কাদের মোল্লার ফাসীঁ নিয়ে কুয়েতে বাংলাদেশ ও পাকিস্থানী প্রবাসীর মাঝে র্তক বির্তক, ঝগড়া, বাকবিতন্ড।

আসুন উষ্কানী মূলক রাজনৈতিক বক্তব্য পরিহার করি।

মাঝে মাঝে এমন কিছু ঘটনা ঘটে যায় যা নিজে দেখারপরও তার নিদিষ্ট উপযুক্ত প্রমাণ, ছবি, তথ্যউপাত্তের অভাবে তা ব্লগে প্রকাশ করতে পারিনা, তাছাড়া প্রতিদিন ডিউটির ব্যাস্ততার কারণে নেটে বসা হয়না, ডিউটি হতে প্রতিদিন যখন বাসায় ফিরে আসি তখন রাত ৯ টা ৩০ মিনিট মত হয়ে যায়, রান্নবান্ন, খাওয়ার পর গভীর রাত্রে নেটে বসে ব্লগিং করা খুবই কষ্টকর ও কঠিন হয়ে পড়ে, তারপরও মাঝে মাঝে আমার প্রিয় ব্লগাসাইটে ছুটে আসি মনের ব্যাথা বেদনা, হাসি, কান্না ও মনের মাঝে লুকিয়ে থাকা কথা গুলো সবার সাথে শেয়ার করতে। গত ২০শে ডিসেম্বর শুক্রবার কুয়েতের আব্বাসীয় টুরিষ্ট র্পাকে বাংলাদেশ স্বাধীনতার দিবস উপলক্ষে বিকালে একটি অনুষ্টান হবার কথা ছিল, এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আমার বন্ধু র্মোশেদ আমাকে ফোনকরে বলেন, চল আগমীকাল বিকালে আব্বাসীয়া টুরিষ্ট পার্কে অনুষ্টানে যায়, আমিও রাজী হলাম, কারণ শুক্রবার আমার ছুটি, কথা মত জুম্মার নামাজ পড়ে দুপুর খানা খেয়ে দেরটার দিকে রওনা হলাম আমার বন্ধু র্মোশেদের বাসার উদ্দেশ্যে, আমি থাকি খাইতানে আর আমার বন্ধু হাসাবিয়া নামক স্থানে, বাসে গেলে মাত্র ২০ মিনিট মত সময় লাগে, চলে আসলাম আমার বন্ধু র্মোশেদের বাসায়। র্মোশেদের বাসায় চা, নাস্তা খেয়ে আমি , র্মোশেদ, ইউসুফ, সাঈদ চারজনে মিলে রওনা দিলাম আব্বাসীয়া টুরিষ্টর্পাকের উদ্দেশ্যে, হাসাবিয়া হতে যাব আব্বাসীয়া টুরিষ্ট পার্কে যাবার জন্য আমারা চারজন মিলে একটি বাসে উঠলাম, বাসে উঠতে দেখি র্মোশেদের এক পাকিস্থানী বন্ধু, নাম নেওয়াজ তারাও ছিল ৫/৬ জন মত পাকিস্তানী, র্মোশেদকে দেখে হঠাৎ পাকিস্থানী নেওয়াজ সরাসরি চলে গেল কাদের মোল্লার ফাসীঁর বিষয়ে, কাদের মোল্লার ফাসী নিয়ে পাকিস্থানী নেওয়াজ তাদের পাকিস্থানী টিভি নিউজে কি কি দেখেছে ও শুনেছে তা র্মোশের সাথে গুণ গুণ করে বলতেছে, তাদের পার্শ্বের সিটে বসা ছিল আমাদের বন্ধু বাংলাদেশী সাঈদ, কথাবার্তার এক পর্যায়ে দেখি উচ্চ স্বরে চলন্ত বাসের ভিতর বাক বিতন্ড শুরু হয় , বাংলাদেশী সাঈদের সাথে পাকিস্থানী নেওয়াজের সাথে। এক পর্যায়ে দেখি পাকিস্থানী নেওয়াজের সাথে যোগ দেন বাসে বসে থাকা ৫/৬ জন অন্যপাকিস্থানীরাও , আমার সিট ছিল একটি দুরে, দেখলাম অবস্থা ভালনয় ঝগড়া বিবাদ সৃষ্টি হতে পারে, আমি পেচন সিট হতে দৌড়ে এস তাদের মাঝে বাকবির্তন্ড থামাবার চেষ্ট করলাম, আমি পাকিস্থানীদের কয়েটি কথা যুক্তি দিয়ে বুঝাতে চেষ্টা করলাম, যাক শেষ পর্যন্ত বেশী কিছু হয়নি, আমাদের গন্তব্য চলে আসায় আমারা বাস হতে নেমে পড়ি।

কিন্তু খুবই অবাক হলাম আমার অন্য দুই বন্ধু র্মোশেদ ও ইউসুফের কান্ড দেখে, কাদের মোল্লার ফাসীঁ নিয়ে ঝগড়া বির্তক হচ্ছে বাংলাদেশী ও পাকিস্থানীদের মাঝে, সেই ঝগড়া আর বির্তকে পাকিস্থানীরা সাবই একজোট একতা বন্ধ হয়ে র্তক বির্তক অংশ নিল , কিন্তু আমরা চারজন বন্ধুদের মাঝে আমি আর সাঈদ পাকিস্থানীদের সাথে র্তক বির্তকে জড়িয়ে পড়লেও বির্তক হতে দুরে থাকেন ইউসুফ আর র্মোশেদ , এখানে আরো অবাক করার মত কান্ড ঘটে আমার বন্ধু র্মোশেদ তার পাকিস্থানী বন্ধু নেওয়াজের পক্ষ নিয়ে কথা যখন আমাদের বিরুদ্ধে বির্তক করেন। খুবই দুঃখের বিষয় আমরা চার বন্ধু একই দেশের একই জেলার বাসিন্দা হয়েও একজোট হয়ে পাকিস্থানীদের সাথে চারজন এক সাথে মিলে সামান্য যুক্তি র্তকে দিয়ে পাকিস্থানীদের ঘায়েল করতে পারলাম না। কিন্তু পাকিস্থানীরা সাবই একজোট ও একতা বন্ধ হযে আমাদের সাথে র্তক বির্তকে অংশ নিল। বাস হতে নামার পর ইউসুফকে জিজ্ঞসা করেছিলাম কেন তুই চুপ করে বসে থাকলি, আর র্মোশেদ তুই কেন আমাদের সাথে যোগ না দিয়ে তোর পাকিস্থানী বন্ধু নেওয়াজকে সমর্তন করলি। সামান্য র্তকে কেন আমরা চার জন এক হয়ে জোট বন্ধ হতে পারিনি।

খুবই মর্মাহত আর ব্যাতীত হলাম , মনে মনে খুবই কষ্ট পেলাম, আমারা নিজেরাই এক বন্ধু হয়ে, এক দেশের ও এক জেলার বাসিন্ধা হয়ে একজোট হতে পারলাম না । আমাদের জাতীয় ও রাষ্ট্রীয় একটি বিষয় নিয়ে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.