আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সাতক্ষীরায় চলছে খুন,ধর্ষণ..৭১ এর পাকিদের তাণ্ডবকে ও হার মানাচ্ছে পুলিশ ও আওয়ামীলীগ

কোনো বাধাই আমাদের রুখতে পারবেনা
সাতক্ষীরায় যৌথবাহিনীর ৩ দিনের অভিযানে সাতক্ষীরা বলতে গেলে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। পরিস্থিতি এমনই যে, দেখলে মনে হয় কোন ভয়াবহ ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত জনপদ। স্বচক্ষে এ দৃশ্য না দেখলে বিশ্বাস হওয়ার নয়। এখানে-ওখানে জ্বলছে আগুন। বাতাসে বইছে কান্নার শব্দ।

চারদিকে চিৎকার আর হাহাকার। সহায়-সম্বল হারিয়ে মানুষ পাগলপ্রায়। তাদের আর্তনাদে ভারি হয়ে উঠেছে গোটা জেলার পরিবেশ। আশ্রয় ও গৃহহীন হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার মানুষ। যৌথবাহিনীকে দেখলেই মানুষ পালাচ্ছে।

রক্ষা পায়নি নারী-শিশু ও বৃদ্ধরাও। রাত শুরু হলেই আতঙ্কে বিভিন্ন স্থানে চলে যাচ্ছে বাড়ির পুরুষ ও যুবক ছেলেরা। প্রতি রাতেই ঘটছে অগ্নিসংযোগের ঘটনা। জেলার কোথাও না কোথাও ঘটছে ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট। বিপদ আছে আরও।

বর্তমান সরকারের আমলে বিভিন্ন সময় জামায়াত-ছাত্রশিবির, বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে ২১৬টি মামলা। এসব মামলায় ৪৫০০ নেতাকর্মীকে এজহারভুক্ত আসামি করা হয়েছে। এছাড়া ৭৩,৯৭৭ জনকে করা হয়েছে অজ্ঞাতনামা আসামি। এসব মামলায় বিভিন্ন সময় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১,৪৪৯ জন নেতাকর্মীকে। গত ১৬ই ডিসেম্বর থেকে ১৯শে ডিসেম্বর পর্যন্ত সাতক্ষীরায় যৌথবাহিনী ও আওয়ামী কর্মী-সমর্থকদের তাণ্ডবে মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকু হারিয়ে সাতক্ষীরা অঞ্চলের মানুষ দিশাহারা হয়ে পড়েছেন।

একদিকে নিজেরা থাকছেন পালিয়ে, অন্যদিকে বিন্দু বিন্দু করে উপার্জিত অর্থ দিয়ে গড়ে তোলা বাড়িঘর, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান হারিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে খোলা আকাশের নিচে প্রচণ্ড শীতে মধ্যে চরম নিরাপত্তাহীনতায় মধ্যে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে। এদের কোন আত্মীয়স্বজন পর্যন্ত দেখা করতে যেতে পারছে না। দিতে পারছে না খাবারও। স্বজনদের সন্ধান নিতে গিয়ে পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের রোষানলে পড়তে হয়েছে বহু নারী ও শিশুকে। সবমিলিয়ে দেশের সীমান্তবর্তী এ জেলায় আইনের রক্ষকরাই ভক্ষকের ভূমিকায় ব্যস্ত রয়েছে।

দেশের মানবাধিকার কর্মীরাও এ নির্যাতন ও নিপীড়নের চিত্র ধারণ করতে পারছেন না। আর সাংবাাদিকরাও জীবনের নিরাপত্তার অভাবে সঠিক তথ্য তুলে ধরছেন না। গত ১৫ই ডিসেম্বর রাত থেকে এ পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন উপজেলায় অভিযান চালিয়ে বিএনপি ও জামায়াত-ছাত্রশিবিরের ৫৭ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় তাদের হাতে নিহত হয়েছেন জামায়াতের জাহাঙ্গীর মোড়ল, সাহেব বাবুসহ ৭ জন। এছাড়া সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের আমীর সাবেক এমপি অধ্যক্ষ মাওলানা আবদুল খালেক, নায়েবে আমীর রফিকুল ইসলাম, বিএনপি নেতা ও আগড়দাঁড়ি ইউপি চেয়ারম্যান আনারুল ইসলামসহ শতাধিক নেতাকর্মীর বাড়িঘর, দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বুলডোজার দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে এবং আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে।

আশাশুনির বাটরা গ্রামের বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া ছাত্রী শেফালী বেগম জানান, যৌথবাহিনী ও আওয়ামী লীগের লোকজন অভিনব কায়দায় ‘নারায়ে তাকবির-আল্লাহু আকবার’ ধ্বনি দিয়ে লোকালয়ে ঢোকে। তাদের আওয়াজ শুনে মুসল্লিরা বেরিয়ে আসলে তাদের চতুর্দিক থেকে ঘেরাও করে কখনও লাঠিচার্জ আবার কখনও গুলি করে ফেলে রেখে হচ্ছে। কাউকে কাউকে চোখ মুখ বেঁধে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। জানি না তাদের ভাগ্যে শেষ পর্যন্ত কি ঘটে। আবার আহত অনেকে গ্রেপ্তারের ভয়ে হাসপাতালে যাচ্ছেন না।

উঠতি বয়সী মেয়েরা নিজেদের সম্ভ্রম রক্ষার্থে গ্রাম ছেড়ে শহরে আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। আর যাদের কোন আশ্রয় নেই তারা জীবন বাঁচাতে দেহ বিলিয়ে দিচ্ছে ওইসব নরপশুদের। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, একাত্তরে পাক-হানাদার বাহিনীর নির্যাতনের কাহিনী শুনেছি। আর এবার দেখছি নিজ দেশের সরকারি বাহিনী আর সরকারি দলের লোকেরা সাধারণ মানুষের উপর কিভাবে পৈশাচিক নির্যাতন চালায়। আমরা আগামী প্রজন্মের কাছে এ নির্যাতনের চিত্র যখন তুলে ধরবো তখন তারাই বলবে, তোমরা বর্বর যুগের বাসিন্দা ছিলে।

সূত্র : Click This Link এইদিকে মেহেরপুরে ও চলছে সমানতালে আওয়ামীলীগ ও যৌথবাহিনীর তান্ডব। হার মানাচ্ছে রক্ষীবাহিনীর বর্বরতাকে ও। ভোরের আলো ফুটতে আরও অন্তত ঘণ্টা দুয়েক বাকি। । মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক মহাসড়কের পার্শ্ববর্তী নিরিবিলি গ্রাম রাজনগরের বেশির ভাগ মানুষ তখনও গভীর ঘুমে।

হঠাৎ দুনিয়া কাঁপানো আওয়াজ। বিস্ফোরণের এমন ভয়ঙ্কর আওয়াজের সঙ্গে একেবারেই অপরিচিত গ্রামটির বাসিন্দারা। মুহুর্মুহু সেই আওয়াজ যেন কিছুতেই থামতে চায় না। ক্রমশ কাছাকাছি আসতে থাকে বিকট সেই শব্দ। এভাবেই একটানা গুলি করতে করতে রাজনগর গ্রামের ভেতরে প্রবেশ করে যৌথবাহিনীর সদস্যরা।

শুরু হয় ঘরে ঘরে তল্লাশি। কিন্তু বেশির ভাগ বাড়িতেই পাওয়া যায়নি পুরুষ তথা কর্তাব্যক্তিদেরকে। তাতে আরও বেশি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে যৌথবাহিনীর সদস্যরা। তারা ঘরের আসবাবপত্র টেনেহিঁচড়ে বাড়ির উঠানে জড়ো করে তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়। বেদম পিটুনি দেয় নারী ও শিশুদেরকে।

৭০ বছরের বৃদ্ধও বাদ যায়নি তাদের অত্যাচার থেকে। এভাবেই চলে সকাল ৮টা পর্যন্ত। বিস্তারিত এখানে : Click This Link দেশের সব চ্যানেল বিটিভি হয়ে যাওয়ার কারণে এই সব তান্ডবের খবর প্রচার করছে না কেউ। সুলতানা কামালদের চোখ এখন অন্ধ হয়ে গেছে। সুশীলরা এখন সুশীলতার ভান ধরে আওয়ামী পৈশাচিকতাকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে।

আর কত তান্ডব বাংলাদশের মানুষদের সইতে হবে ??
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.