জীবনটা আসলেই বিচিত্র। অঞ্চলভেদে এই বিচিত্র বিচিত্রতা আমাকে হতবিহ্বল করেছে....
সকালে টিচার দুইটা কাগজ হাতে ধরায়া দিলো। সব চীনা ভাষায় লেখা। কোন রকমে ইংরেজিতে বললো, এটা সেফটি টিপস। আরেকটা শীতের ছুটিতে কবে কোথায় যাবো, কবে ক্যাম্পাসে ফিরবো, যোগাযোগের নাম্বার...ইত্যাদি।
কথা হইলো, সেফটি টিপস যদি চীনা ভাষায়ই হয় তাহলে লাভ লেটার আর সেফটি টিপস তো আমার কাছে একই কথা। কোনটাই পাঠোদ্ধার করা আমার পক্ষে সম্ভব না।
কালকে সকালে পরীক্ষা শেষ হচ্ছে। বিকালেই গ্র্যাজুয়েশন সেরিমনি। রোববার সবাই মিলে শহরের বাইরে ঘুরতে যাওয়া।
এরপর কিছু শিক্ষার্থী দেশে ফিরে যাবে। আমাদের শুরু হবে শীত নিদ্রা। কোথায় যাবো, কবে যাবো.... কোন কিছুই এখনো ঠিক করিনি। অনেক যায়গায় যাওয়ার প্ল্যান থাকলেও পকেটে মালপানি নাই।
প্রথম কাগজে চীনা ভাষায় নাম ধাম লিখে দিয়েছি।
ইচ্ছা করেই তারিখ লিখেছি ইংরেজি স্টাইলে। চাইনিজরা বছর মাস দিন লিখে, আমি লিখেছি দিন মাস বছর। এরা আবার বিটলামি করলে মনে রাখে। রাখুক মনে!
কি করে দ্বিতীয় ফর্ম পূরণ করব। ফেরত দিয়ে দিলাম।
বাংলায় বললাম, যদি ভালোবাসো তবে মুখে বলো। কাগজে লেখার দরকার নাই। সমবয়সী সুন্দরী তো, মাইন্ড করে নাই!
বাংলাদেশে মোবাইল সিম কেনার সময় উল্টা দিকের পাতায় একটা সিগনেচার দিতে হয়, উপরে বিন্দু বিন্দু কিছু লেখা থাকে যা আমরা কখনো পাঠোদ্ধার করি না বা করতে পারি না। ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে গেলেও একই অবস্থা। আপনাকে মাইনকা চিপায় ফালায়া ভাইগা যাওয়ার রাস্তা আপনিই তৈরী করে দিতেছেন।
আমিও অনেক করেছি, করছি। এ থেকে কবে যে মুক্তি পাবো!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।