থেমে যাবো বলে তো পথ চলা শুরু করিনি। যারা সৎ লোকের শাসন কায়েম করতে চায়, তাদের স্বরূপ দেখার জন্যই এই পোস্ট। সৎ লোকদের পক্ষে থাকলে এইটা পড়ার পর গায়ে চুল্কানি আসতে পারে। সামু-তে কাঁঠাল পাতা বিতরনের নিয়ম নাই, না হলে কিছু কাঁঠাল পাতাও পোস্ট করে দিতাম।
এইখানে বড় আল্লামা আর হুজুরদের কথা বলা হচ্ছে না, বলা হচ্ছে সাবেক এক সংসদ সদস্যের কথা।
এই পিশাচের নাম আব্দুল্লাহ তাহের, যার পূর্বের নাম ছিল খন্দকার তাহের। [ অনেকটা দেলু শিকদারের আল্লামা বনে যাবার মত কাহিনী ]
জিহাদের জন্য রিজার্ভ ফোর্স মাঠে নামিয়েছে জামায়াত-শিবির। দেশব্যাপী নাশকতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করে অচল করে দেবে সরকার। রিজার্ভ ফোর্স গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও স্পর্শকাতর স্থানে হামলা চালাবে। এ জন্য তৈরি করা হয়েছে হিটলিস্ট।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য গঠিত ট্রাইব্যুনাল বাতিল, যুদ্ধাপরাধীদের ও নেতাকর্মীদের মুক্ত করার জন্য জিহাদের ডাক দিয়েছে জামায়াতÑশিবির। জামায়াতের সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের জিজ্ঞাসাবাদে এই ধরনের তথ্য দিয়েছেন।
জামায়েতের সাবেক এমপি ডা. আবদুল্লাহ তাহের ২০০৮ সালের আগস্ট মাসে জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত গোল টেবিল বৈঠকে বলেছিলেন, ‘তাদের রিজার্ভ ফোর্স রেডি আছে। যে কোন সময়ে তারা মাঠে নামবে। ’
বুধবার মালিবাগে জামায়াতÑশিবিরের পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়ার ঘটনায় তার নেতৃত্ব দেয়ার সঙ্গে আগের বক্তব্যের সম্পৃক্ততার সাদৃশ্য খুঁজে পেয়েছে পুলিশ।
জামায়াতের সাবেক সাংসদ ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ’০৭ সালের ওয়ান ইলেভেনের সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর তার বিরুদ্ধে জঙ্গী সম্পৃক্ততা, খুন, সন্ত্রাস, টেন্ডার, জমি, বালু, জলমহল দখল, দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগ পায়। তাহের ছিল চৌদ্দগ্রামের ত্রাস। তাহের কিভাবে রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে যাওয়ার ব্যাপারে মামলা ও তদন্ত হয়েছে।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলার সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আওলাদ হোসেন বাদী হয়ে বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করেছেন।
দু’টি মামলাতেই তাহের, তার ভাই সৈয়দ একরামুল হক হারুনসহ ১২ জামায়াতÑশিবির ক্যাডারকে আসামি করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। তদন্ত প্রতিবেদন পাঠানো হয় দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক)।
ডা. তাহেরের বিরুদ্ধে জলমহাল ও বাজার লুটের আরও দু’টি মামলা দায়ের করা হয়। জলমহালে মাছ লুট, জাল লুট ও চাঁদাবাজির মামলায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার পশ্চিম ডেকরা গ্রামের এক দরিদ্র পরিবারে জন্ম তাহেরের। তাহেরের পরিচিতি ছিল খন্দকার। খন্দকার তাহের থেকে হঠাৎ সৈয়দ তাহের বনে যায়। তার বাবা তাবিজ-কবজের ব্যবসা করত।
রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হওয়ার সুবাদে নারায়ণগঞ্জে হায়দারী টেক্সটাইল মিলস্ ও গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠানের মালিক বনে যায়।
তার তিন ভাই সাদেক, হারুন ও সারোয়ার পরিচালনা করছে। কুমিল্লার বেসরকারী সেন্ট্রাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চেয়ারম্যান বনে যায় তাহের।
কুমিল্লার সার্কিট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে দম্ভোক্তি করে সাবেক এমপি তাহের বলেছিলেন, ‘এখন থেকে আমি না বললে চৌদ্দগ্রামের পাতাও নড়বে না। ’
এতো কিছু জানার বা পড়ার পরেও আপনি কি জামাত-শিবিরের উপরে আস্থা রাখতে পারবেন?
বিদ্রঃ দয়া করে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকুন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।