আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কড়াকড়ি, উৎকণ্ঠা

উত্তরা, গাবতলী, যাত্রাবাড়ী, কেরানীগঞ্জ- রাজধানীতে প্রবেশের সবগুলো পথেই পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবির কড়াকড়ির মধ্যে যান চলাচল বন্ধ।  
রোববার সকাল থেকে সদরঘাটে কোনো লঞ্চ ভেড়েনি, ছেড়েও যায়নি। বুড়িগঙ্গায় খেয়া নৌকা পারাপরও বন্ধ।
রেল কর্তৃপক্ষের ভাষ্য অনুযায়ী, সময়সূচির গড়বড়ে শনিবার থেকে ট্রেন চলাচলও কার্যত বন্ধ।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কার‌্যালয় ঘিরে ফকিরাপুল থেকে কাকরাইল পর‌্যন্ত এক কিলোমিটার সড়ক কার্য অবরুদ্ধ।

ওই সড়কে সাধারণ যানবাহনও চলাচল করছে না। পায়ে হেঁটে চলাচলও সীমিত করা হয়েছে।
‘ঢাকামুখী অভিযাত্রা’ শেষে নয়াপল্টনে বিএনপি কার‌্যালয়ের সামনেই সকাল ১০টায় সমাবেশ শুরুর ঘোষণা থাকলেও সেখানে বিএনপি বা ১৮ দলীয় জোটের কাউকে দেখা যাচ্ছে না। পুলিশ সমাবেশের অনুমতি না দেয়ায় মঞ্চও তৈরি করা হয়নি।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, নয়া পল্টন ছাড়াও মগবাজার, মালিবাগ, শান্তিনগর, কাকরাইল, বিজয়নগর, জাতীয় প্রেসক্লাব, ফকিরাপুল, রাজারবাগ, আরামবাগ, রাজউক এভিনিউসহ পুরো এলাকায় আইন শৃংখলাবাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।


বিএনপির কেন্দ্রীয় কার‌্যালয়ের সামনে রয়েছে জলকামান, টহল দিচ্ছে পুলিশের সাঁজোয়া যান।  
প্রতিটি রাস্তায় সন্দেহ হলেই যানবাহন ও পথচারীদের তল্লাশি চালানো হচ্ছে। পোশাক খাতের নারী কর্মীদেরও কর্মস্থলে যেতে পরিচয়পত্র দেখাতে হচ্ছে।   
পুলিশ বলছে, নিরাপত্তার স্বার্থেই যানবাহন ও পথচারী চলাচল সীমিত করা হয়েছে।
বিএনপির কার‌্যালয়ের সামনের সড়কের দুই পাশের উঁচু ভবনগুলোতেও আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন।

ওই সড়কের অধিকাংশ দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও বন্ধ।
সকাল থেকে রাজধানীতে গণপরিবহন চলছে না। অটোরিকশা ও টেম্পো চলাচল করলেও সংখ্যায় খুবই কম। ফলে বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে কর্মজীবী মানুষকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় যানবাহনের আশায়।  
টানা পাঁচ দফা অবরোধে দেশজুড়ে ব্যাপক সহিংসতা ও শতাধিক লোকের মৃত্যুর পর বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়া সবাইকে ঢাকায় জড়ো করার এই কর্মসূচি দেয়ার পর এমনিতেই জনমনে তৈরি হয়েছিল উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা।

তাদের এই কর্মসূচি ঘিরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কড়াকড়ি ও যানবাহন চলাচল সীমিত করায় সাধারণ মানুষের উদ্বেগের সঙ্গে যোগ হয় দুর্ভোগ।
গত মঙ্গলবার ‘ঢাকামুখী কর্মসূচি’ ঘোষণার পরপরই গুলশানে খালেদা জিয়ার বাড়ির পাহারায় পুলিশ বাড়ানো হয়। শনিবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সহসভাপতি হাফিজ উদ্দিন আহমেদ জানান, পুলিশের অনুমতি না মিললেও রোববার দলীয় প্রধান খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতেই পল্টনে সমাবেশ হবে।
এর পরপরই বিরোধীদলীয় নেতার গুলশানের বাড়িতে পুলিশ পাহারা জোরদার করা হয়। ঢাকা মহানগর পুলিশের গুলশান জোনের সহকারী কমিশনার নুরুল আলম বলেন, বিরোধী দলের নেত্রীর ‘অধিকতর নিরাপত্তার জন্যই’ এ ব্যবস্থা।


খালেদা জিয়ার ব্যাক্তিগত প্রটোকলের গাড়ি সরিয়ে দেয়া হয়েছে বলে বিএনপি নেতারা অভিযোগ করলেও তা অস্বীকার করেন নুরুল আলম।
এদিকে সরকারের একাধিক মন্ত্রী এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারাও বিরোধী দলের এই কর্মসূচি প্রতিরোধের ঘোষণা দিয়ে নেতাকর্মীদের মাঠে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। শনিবার রাজধানীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে মিছিলও করেছে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ।

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।