চীনে মার্চে এইচ৭এন৯ ফ্লুতে প্রথম মানুষের মৃত্যুর খবর আসার পর থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে এ ভাইরাস আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০৯ জনে।
ভাইরাসটি মানুষ থেকে মানুষে ছড়ানোর কোনো আলামত এখন পর্যন্ত পাওয়া না গেলেও এটি মারাত্মক ধরনের ভাইরাস এবং এইচ৫এন১ ফ্লুর চেয়ে সহজে ছড়ায় বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা(ডব্লিউএইচও)। এইচ৫এন১ বার্ড ফ্লু তে ২০০৩ সালে বিশ্বজুড়ে মারা যায় শত শত মানুষ।
নতুন ভাইরাসটি গত বুধবার প্রথম চীনের বাইরে তাইওয়ানে ৫৩ বছর বয়স্ক এক ব্যবসায়ীর দেহে ধরা পড়ে। ওই ব্যবসায়ী চীন ভ্রমণ করার সময় এ ভাইরাস আক্রান্ত হয় বলে জানায় তাইওয়ানের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
আর সে কারণেই বিমানে ভ্রমণকারীদের মধ্যে সন্দেহজনক কোনো লক্ষণ দেখা গেলেই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দেখা হবে বলে জানিয়েছে তাইওয়ান।
ওদিকে, ভিয়েতনাম ইতোমধ্যেই বিমানবন্দরের সব দর্শণার্থীর দেহের তাপমাত্রা পরীক্ষা করে দেখতে শুরু করেছে বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
জাপানও তাদের বিভিন্ন বিমানবন্দর ও সমুদ্রবন্দরগুলোতে একই ধরনের ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছে। বিশেষ করে চীন থেকে আসা লোকজনদের ক্ষেত্রে দেহের তাপমাত্রা মেপে দেখার এ প্রক্রিয়া মে থেকেই শুরু হবে বলে জানায় তারা।
ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে থাইল্যান্ডও পূর্বসতর্কতামূলক ব্যবস্থা জোরদার করছে।
খুব শিগগিরিই কিছু পদক্ষেপ নেয়ার পরিকল্পনা তাদের রয়েছে বলে জানিয়েছেন থাই স্বাস্থ্যমন্ত্রী সিনতাওয়ানারঙ। ওদিকে, সিঙ্গাপুরও স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রেখেছে।
এশিয়াজুড়ে চীনের সঙ্গে কাজ করা বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রেখেছে। জাপানের শার্প করপোরেশন তাদের কর্মীদের চীন ভ্রমণের ব্যাপারে সতর্ক করেছে। কয়েকটি দেশ চীন থেকে আমদানি করা পাখি, মুরগির ভালোভাবে পরীক্ষা করে দেখছে।
ভিয়েতনাম এপ্রিলের শুরুতেই চীন থেকে হাস-মুরগি আমদানি বন্ধ করেছে। ২০০৪ সালে চীন থেকে পোল্ট্রি আমদানি বন্ধ করা ফিলিপাইন এখন এ জাতীয় অন্যান্য পন্যের ক্ষেত্রেও আরো কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।