দিন দিন জটিল হয়ে উঠছে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি। দেশের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তিত ১৬ কোটি জনগণ। শঙ্কিত ক্রিকেটপ্রেমীরাও। আগামী জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশের ক্রিকেটাঙ্গন পার করবে এক ব্যস্ত সময়। এ সময়ে শ্রীলঙ্কা আসবে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে।
এরপর এশিয়া কাপ এবং তারপর আইসিসির সবচেয়ে বড় ইভেন্ট টি-২০ বিশ্বকাপ। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এতটাই জটিল যে, ক্রিকেটপ্রেমীরা আশ্বস্ত হতে পারছেন না, তিনটি আসরের আয়োজন নিয়ে। যদিও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন নিশ্চয়তা দিয়েছেন তিনটি আসর আয়োজনের। জানিয়েছেন দেশের অবস্থা এমন পর্যায়ে পেঁৗছায়নি যে, টুর্নামেন্টগুলো স্থানান্তরিত হবে। বিসিবি সভাপতি কয়েকদিন আগে জানান, আইসিসি, এসিসি এবং অংশগ্রহণকারী সবগুলো দেশকে নিরাপত্তার পরিকল্পনা পাঠানো হবে ৩০ ডিসেম্বর।
আজ সেই পরিকল্পনা পাঠানোর কথা বিসিবির। তিনটি আসরকে কেন্দ্র করে প্রায় শতাধিক পাতার একটি পরিকল্পনা করেছে বিসিবি। দলগুলোকে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা দেওয়ার কথা থাকছে পরিকল্পনায়।
জানুয়ারিতে দুই টেস্ট, তিনটি ওয়ানডে ও দুটি টি-২০ ম্যাচ খেলতে ঢাকায় আসার কথা শ্রীলঙ্কার। খেলাগুলো হবে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়াম, চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম ও সিলেট বিভাগীয় স্টেডিয়ামে।
২৪ ফেব্রুয়ারি-৭ মার্চ পর্যন্ত এশিয়া কাপের আসর বসবে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে। ১৬ মার্চ-৬ এপ্রিল টি-২০ বিশ্বকাপের ৬০ খেলা হবে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে। এশিয়া কাপে চারটি দেশ এবং টি-২০ বিশ্বকাপে পুরুষ বিভাগে ১৬টি এবং মহিলা বিভাগে ৮টি দেশ অংশ নিবে। টুর্নামেন্টগুলো নিয়ে প্রথম পরোক্ষভাবে প্রশ্ন তুলেছে ভারত। ভারতীয় মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে নিরাপত্তাহীনতার কথা বিবেচনায় পাকিস্তান এশিয়া কাপ ও টি-২০ বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া থেকে বিরত থাকবে।
এছাড়া টি-২০ বিশ্বকাপের দুটি ভেন্যুও নামও প্রকাশ করেছে ভারতীয় মিডিয়া। ভারতীয় মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশের পরই শঙ্কিত হয়ে পড়ে দেশের ক্রীড়ামোদীরা। অবশ্য এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি বিসিবি। তবে বিসিবি সভাপতি জানিয়েছেন, টুর্নামেন্টগুলোকে ঘিরে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়া হবে। বিসিবির ভারপ্রাপ্ত সিইও নিজামুদ্দিন চৌধুরী সুজন বলেন, 'এশিয়া কাপ এসিসির এবং টি-২০ বিশ্বকাপ আইসিসির টুর্নামেন্ট।
আমরা সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়ার কথাই বলছি। দেওয়া হবে ভিভিআইপি নিরাপত্তা। ' নিরাপত্তা পরিকল্পনা নিয়ে বলেন সিইও, 'আমরা কি ধরনের নিরাপত্তা দিব, সেটা জানিয়ে দেওয়া হবে আইসিসি, এসিসি ও অংশগ্রহণকারী দলগুলোকে। কি থাকছে নিরাপত্তা পরিকল্পনায়, নিরাপত্তার স্বার্থে সেগুলো প্রকাশ করা যাবে না। '
সিরিজ এবং টুর্নামেন্টগুলোর জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।
বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করছে বিসিবি। নিরাপত্তা ব্যবস্থায় থাকছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ নৌবাহিনী, বাংলাদেশ বিমানবাহিনী, বাংলাদেশ পুলিশ, র্যাব, ডিজিএফআই, এনএসআই, ডিবি, এসবি, সোয়াত, সিআইডি, র্যাবের গোয়েন্দা বিভাগ, ডিসপোজাল টিম, ডগ স্কোয়াড। নিরাপত্তার জন্য প্রায় হাজার দশেক নিরাপত্তাকর্মী ব্যস্ত থাকবেন সিরিজ, টুর্নামেন্টগুলো চলার সময়। এছাড়া ম্যাচ চলাকালীন স্টেডিয়ামের উপর দিয়ে বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার উড়বে এবং দলগুলোর অবস্থানকালীন হোটেলগুলোতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ এর আগে ১৯৮৮, ২০০২, ২০১২ সালে এশিয়া কাপ, ২০১১ সালে বিশ্বকাপ, ১৯৯৮ সালে আইসিসি নক আউট বিশ্বকাপের আয়োজন করেছে।
২০১১ সালের বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়া হয় দলগুলোকে। তাই বিসিবি আত্মবিশ্বাসী টুর্নামেন্টগুলোর সফল আয়োজনে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।