প্রবেশকার্ড ইস্যুতে মানা হয়নি নিয়মনীতি
বাংলাদেশের জনপ্রিয় খেলা ক্রিকেট। আর তাই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের অহমিকাটাও আকাশচুম্বী! বিশেষ করে কোনও আন্তর্জাতিক সিরিজ শুরু হলেই বিসিবি হর্তাকর্তারা ‘ডুমুরের ফুল’ বনে যান। সাংবাদিকদের প্রবেশ কার্ড (মিডিয়া অ্যাক্রিডিটেশন) নিয়ে শুরু হয় টালবাহানা। অতীতের মতো আজ থেকে শুরু হওয়া বাংলাদেশ-শ্রীলংকা সিরিজেও সাংবাদিকদের প্রবেশকার্ড নিয়ে বিসিবির টালবাহানা ছিল চোখে পড়ার মতো।
সাংবাদিকদের প্রবেশকার্ড বিতরণে বিসিবির মিডিয়া কমিটির অ-ব্যবস্থাপনা দেখা গেছে।
প্রবেশকার্ড ইস্যুর ক্ষেত্রে মানা হয়নি কোনও নিয়মনীতি। প্রিন্ট সংবাদপত্রের কোনও কোনও হাউজের জন্যে ২-এর অধিক প্রতিবেদক প্রবেশকার্ড ইস্যু করা হয়েছে। আবার কোনও কোনও জনপ্রিয় সংবাদপত্র হাউজের জন্যে ১টি প্রবেশ কার্ড ইস্যু করা হয়েছে। তাও নানা রকম গড়িমসির পর। এমনও অভিযোগ উঠেছে, একটি প্রবেশকার্ড বিতরণের সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কার্ড বিতরণের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের অসদাচরণ।
আর ২-১টি ছাড়া অধিকাংশ অনলাইন সংবাদপত্রের প্রতিবেদকেরই জোটেনি প্রেসবক্সের টিকিট (অ্যাক্রিডিটেশন)।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সাংবাদিক বলেন, নিয়মিত মাঠে আসলেও আন্তর্জাতিক সিরিজে আমাদের কার্ড হয় না। অথচ অনেকেই আছেন যারা মাঠে না আসলেও আন্তর্জাতিক সিরিজের সময় ঠিকই কার্ড পান। আবার অনেক সময় সম্পর্কের ওপর বিবেচনা করেও কার্ড ইস্যু করা হয়। কার্ড ইস্যুর ব্যাপারে বিসিবির মিডিয়া কমিটির ব্যাপক অনিয়ম আর অব্যবস্থাপনা দেখা যায়।
অথচ এর কোনও সমাধান নেই। কেননা যারা সমাধান করবেন তারাই তো সমস্যার স্রষ্টা।
সোনার হরিণ প্রবেশকার্ড পেলেও ঝামেলা থেকে নিস্তার নেই। প্রেসবক্সে প্রবেশের ক্ষেত্রেও এবার এসেছে নতুন নিয়ম। এতদিন শুধুমাত্র প্রবেশকার্ড থাকলেই প্রেসবক্সে প্রবেশ করা যেত।
তবে এবার থেকে শুধুমাত্র প্রবেশকার্ড থাকলেই হবে না, এর সঙ্গে যোগ করতে হবে অতিরিক্ত ওয়ার্কিং কার্ড। এক্ষেত্রে চরম অব্যবস্থাপনা চোখে পড়েছে। বিশেষ করে কয়েকটি মিডিয়া হাউজের জন্যে ইস্যুকৃত প্রতিবেদক কার্ডধারী সবাইকেই ওয়ার্কিং কার্ড দেওয়া হলেও বেশ কয়েকটি হাউজকে ১টির বেশি ওয়ার্কিং কার্ড দেওয়া হয়নি। নিয়মটা এমন-কোনও হাউজের জন্যে ২জন প্রতিবেদকের প্রবেশকার্ড ইস্যু করা হলেও তাদেরকে ১টি করে ওয়ার্কিং কার্ড দেওয়া হয়েছে। এর স্বপক্ষে বিসিবির এক চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ‘অব দ্য রেকর্ড’ বলেন, অধিকাংশ সাংবাদিকই কাজ করেন না।
তারা শুধুমাত্র দুপুরের খাবার এবং বিকালের নাস্তা খেয়ে চলে যান। এজন্যেই এবার নতুন এ পদ্ধতি চালু হয়েছে।
অথচ বিসিবির সৃষ্ট এ নতুন নিয়মের কারণে অনেক নিয়মিত সাংবাদিকই বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছেন। এমন অবস্থায় অনেকেই আবার ‘ক্রিকেট বিট’ করা থেকে বিরত থাকারও চিন্তা করছেন।
সাংবাদিকদের প্রবেশকার্ড নিয়ে গড়িমসি করা হলেও নীরব দর্শকের ভূমিকায় বিসিবির কর্তাব্যক্তিরা।
এ বিষয়ে বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস ও মিডিয়া কমিটির ম্যানেজার রাবীদ ইমামের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কেউই ফোন ধরেননি।
জানা গেছে, নিরাপত্তা শঙ্কার কারণেই নাকি সাংবাদিকদের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড দেওয়া নিয়ে বিসিবির এমন গড়িমসি।
বিসিবির মিডিয়া কমিটির টনক কি এবার নড়বে, নাকি এখনও পর্দার আড়ালে থেকেই সাংবাদিকদের সঙ্গে খেলবেন লুকোচুরি?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।