আওয়ামী লীগকেই আবার ভোট দিতে কয়েকটি কারণ
১,জননিরাপত্তা! আওয়ামী লীগের আমলে সবার প্রাণ হাতের মুঠোয় থাকে ৷ যে কোন সময় হাত ফসকে পড়ে যেতে পারে ৷ ছাত্রলীগের চাঁদাবাজী টেণ্ডারবাজী অতিষ্ঠ করে তুলেছে জনজীবন ৷ প্রশাসনের অবহেলার সুযোগে ছিন্তাই চুরি যে কোন সময়ের তুলনায় অনেক বেশী ৷ একজন মানুষ ঘর থেকে বেরিয়ে আবার নিরাপদে ঘরে ফেরাটা ছিল কিছুটা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল ৷
শুধু ছাত্রলীগ নয়, এ দলের কয়েকজন এমপি স্পষ্ট খুনি হিসেবে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে ৷ এমনকি নিজ এলাকার মানুষের উপর গুলি চালানোর দৃষ্টান্ত ও স্থাপন করেছে এ দলের এক অহংকারী এমপি ৷
জননিরাপত্তার জন্য হুমকি সন্ত্রাসীদের সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা এবারই ছিল সবচেয়ে বেশি ৷ শীর্ষ সন্ত্রাসী বিকাশকে ছুটির দিনে জরুরীভিত্তিতে মুক্তিদান,ওসির মাধ্যমে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া, হাজার ও মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী কাজকাম ফ্যাশনের মালিক দেলোয়ার কে দলীয় বিবেচনায় গ্রেফতার না করা ও রানা প্লাজার মালিক যুবলীগের সভাপতি রানা কে গ্রেফতার করে ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দেয়া কি এদেশের শ্রমিকদের সাথে চরম উপহাস নয়?
এ ছাড়া বিরোধী দলের উপর,মতের উপর নির্যাতন যে কোন সময় থেকে সীমা অতিক্রম করেছে! বিরোধী দলকে মোকাবেলা করতে যে মর্মে এ দলের এমপি মন্ত্রীরা হুমকি দেন যেন এ দেশের বৈধ নাগরিক এবং মানুষ শুধু তারাই!
২,দুর্নীতি এই সরকারের আমলে দুর্নীতি শুধু বাংলাদেশ নয় বিশ্বের অনেকদেশের হিসেবে ও নজীরবিহীন ৷ বিএনপি ও দুর্নীতি করেছে কিন্তু সেটাকে কয়েকসংখ্যা দিয়ে গুণ করলে আওয়ামী সরকারের কাছাকাছি আসতে পারে ৷
শুধু পদ্মাসেতুর নকশা করতে গিয়ে ৫০০ কোটি টাকা হজম করেছে জনৈক আওয়ামী লীগ "দেশপ্রেমিক "এমপি! এছাড়া হলমার্কের ২ হাজার ছয়শ কোটি টাকা দুর্নীতিতে এ সরকারের বেশ কিছু কর্মকর্তার স্পষ্ট হাত রয়েছে ৷ যদি ও নিরপেক্ষ (?)দুর্নীতি দমন কমিশন তাদের নাম বাদ দিয়েছে ৷ এছাড়া বিসমিল্লাহ গ্রুপের ১৩ শ কোটি টাকা দুর্নীতি,রেলের কালো বিড়ালের দুর্নীতি, দলীয় বিভিন্ন দরবেশ সহ ক্ষমতাসীন দলের কয়েকজন এমপির শেয়ার বাজার থেকে নজীরবিহীনভাবে টাকা উত্তোলন অসংখ্য বিনিয়োগ কারীকে পথে বসিয়েছে ৷ আত্মহত্যাকারীর সংখ্যা ও কম নয় ৷ এছাড়া সোনার ছেলেদের ক্ষমতার দাপটে কোটি কোটি টাকার টেণ্ডার ছিন্তাই তো কোন বিষয় নয়! কারণ এ সরকারের জনৈক তালুধোলার কাছে তো চার হাজার কোটি টাকা ও কোন ব্যাপার নয় যদি ও হেফাজতের কথিত ৮৫ কোটি টাকা তাদের কাছে অনেক বেশী!
৩, সংবিধানের অপব্যবহার : যাদের চোখ আছে তারা স্বীকার করতে বাধ্য হবেন যে এ সরকারের আমলে সংবিধানের দোহাই দিয়ে সংবিধান এবং ক্ষমতায় অপব্যবহার হয়েছে সবচে বেশী ৷ রাষ্ট্রপতি কর্তৃক স্পষ্ট খুনি ফাঁসীর আসামী কে দলীয় বিবেচনায় ক্ষমা করার ঘটনা ২৫ জনের মধ্যে এ সরকারের আমলেই ঘটেছে সবচে বেশী ২১ টি! নিজেদের ইচ্ছামত সংবিধানে কাটছাঁট করে সংবিধান কে দলীয় সংবিধানে পরিণত করেছে বলা যায়!
৪,ক্ষমতাসীনদের অসংযত বাক্যালাপ! যারা লীগরোগে আক্রান্ত নন তারা অনেক আগেই বুঝে থাকবেন আশা করি, বিরোধী দল,বিরোধী মত,বিরোধী ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে এ সরকারের প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে কতিপয় " এমপি মন্ত্রী প্রচুর পরিমাণ অসংযত বাক্য ব্যবহার করেছেন ৷ জনগণ কে স্টুপিড, রাবিশ, নসেন্স বলা, নিজে নারী হয়ে ও আরেকজন নারীকে জড়ইয়ে যে রসময় আসার প্রধানমন্ত্রী করেছে তা খুবই লজ্জ্বাজনক!
উপরের প্রত্যেকটা ক্যাটাগরিতে বিএনপির কমতি যে নেই তা বলছিনা, কিন্তু যাদের চোখ আছে কিন্তু চোখে রঙিন চশমা নেই অথবা মহিষের চামড়া না যাদের তারা স্বীকার করবেন যে আওয়ামী লীগের তুলনায় বিএনপি অনেক কম ছিল ৷
লিখলে শেষ বে না তাই ক্ষান্ত দিলাম ৷
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।