২০১৩ সালে বেশ কয়েকটি ব্যাংকের মুনাফা আগের বছরের চেয়ে বেড়েছে। কয়েকটি ব্যাংকের মুনাফা আগের বছরের চেয়ে কিছুটা কমলেও কোনোই লোকসানে পড়েনি।
মঙ্গলবার বছরের শেষ দিনে ব্যাংকগুলোর বাৎসরিক হিসাবের দিনে কোনো কোনো ব্যাংক হিসাব শেষ করতে না পারলেও পুরো খাতের মুনাফার একটি ইতিবাচক ধারণা পাওয়া গেছে।
তবে নিরীক্ষার আগে ব্যাংকগুলোর পরিচালন মুনাফা জানানোর বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিষেধাজ্ঞা থাকায় কোন ব্যাংক কত টাকা মুনাফা করেছে তা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেননি ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীরা।
বিভিন্ন ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে আলাপ করে মুনাফার তথ্য অনানুষ্ঠানিকভাবে জানা গেছে।
দেশের সবচেয়ে বড় ব্যাংক রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা বের করতে বুধবারও লাগতে পারে বলে অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা গেছে। রাষ্ট্রখাতের অন্যান্য বাণিজ্যিক ব্যাংকেরও একই অবস্থা।
তবে রূপালী ব্যাংক হিসাব শেষ করতে পেরেছে। ২০১৩ সালে এই ব্যাংকটির পরিচালন মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৩১০ কোটি টাকা, যা আগের বছর ছিল ৩৬৫ কোটি টাকা।
বেসিক ব্যাংকের মুনাফাও গতবছরের ২৮৫ কোটি টাকা থেকে দাঁড়িয়েছে ১৭৮ কোটি টাকায়।
বেসরকারি খাতের বেশকিছু ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা কমেছে।
এর মধ্যে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের পরিচালন মুনাফা আগের বছরের চেয়ে কমেছে ২৩০ কোটি টাকা। ২০১৩ সালে ব্যাংকটি মুনাফা করেছে ১৬০০ কোটি টাকা।
প্রাইম ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৮৫০ কোটি টাকায়, যা আগের বছর ছিল ৯৭০ কোটি টাকা।
ন্যাশনাল ক্রেডিট অ্যান্ড কমার্স (এনসিসি) ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৪১০ কোটি টাকা থেকে কমে ৪০৫ কোটি টাকায় নেমেছে।
এক্সিম ব্যাংক, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, মিউচুয়্যাল ট্রাস্ট ব্যাংক ও এসআইবিএলের মুনাফাও আগের বছরের চেয়ে কমেছে বলে জানা গেছে।
তবে মুনাফা বাড়ার তালিকাও ছোট নয়, যাতে রয়েছে পূবালী, সাউথইস্ট, ইউসিবিএল, মার্কেন্টাইল, আইএফআইসি, ফার্স্ট সিকিউরিটি, মিউচুয়াল ট্রাস্ট, আল আরাফাহ, ব্যাংক এশিয়া, ইস্টার্ন ও বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক।
বেসরকারি খাতের পূবালী ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা বেশ খানিকটা বেড়েছে। ২০১৩ সালে এই ব্যাংকটির পরিচালন মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৮১৫ কোটি টাকায়, যা এর আগের বছর ছিল ৬৫০ কোটি টাকা।
এছাড়া আইএফআইসি ব্যাংকের মুনাফাও কিছুটা বেড়েছে।
বছর শেষে ব্যাংকটির পরিচালন মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৩৯০ কোটি টাকায়, যা এর আগের বছর ছিল ৩৪৬ কোটি টাকা।
এবিবির ভাইস চেয়ারম্যান ও পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হেলাল আহমদ চৌধুরী বলেন, “দেশের ব্যাংকখাত একটি চ্যালেঞ্জিং বছর পার করলো। গত কয়েক মাস ধরে দফায় দফায় হরতাল-অবরোধ থাকায় ব্যাংকগুরো ঠিকমতো ব্যবসা করতে পারেনি। এর মধ্যে আমাদের ব্যাংকের মুনাফা ধারা আগের মতোই রয়েছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।