বিশালাকৃতির বলয়ের কারণে শনি গ্রহটি মহাকাশ গবেষণার সূচনালগ্ন থেকেই বিজ্ঞানীদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। বরফ আর ধূলাবালিতে পূর্ণ বলয়টি এতটাই বিশাল যে এর ভেতরে অনায়াশে ভরে রাখা যায় এক বিলিয়ন পৃথিবী। জ্যেতিষিদের কাছেও শনি গ্রহ একটি বিষ্ময়কর নেতিবাচক ক্ষমতাধর গ্রহ হিসেবে পরিচিত। কারও দুর্ভাগ্য বোঝাতে 'শনির দশা' বাগধারারাটিও কম প্রচলিত নয়। সম্প্রতি এই গ্রহের বলয়ে এক রহস্যজনক বস্তুর অবস্থান নিশ্চিত করেছে নাসার পাঠানো মহাকাশযান ক্যাসিনি।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের ধারণা- বস্তুটি হতে পারে শনির নতুন কোন উপগ্রহ যা এখনো সৃষ্টির শুরুর দশাতেই রয়েছে।
বৃটিশ জ্যোতির্বিজ্ঞানী কার্ল মুরে সর্বপ্রথম ক্যাসিনির পাঠানো ছবিতে রহস্যজনক বস্তুর স্পট টি শনাক্ত করেন। গত বছর ১৫ এপ্রিল ক্যাসিনি বস্তুটির ছবি তুলে। ১৯ এপ্রিল কার্ল মুরে গ্রহটির ১০৭ টি ছবি বিশ্লেষণ করতে গিয়ে বস্তুটির অস্তিত্ব শনাক্ত করেন। শাশুড়ির নামে বস্তুটির নামকরণ করেন পেগি।
মজার ব্যাপার হচ্ছে, ওইদিন ছিল তার জন্মদিন। শাশুড়ির জন্মদিন কে স্মরণীয় রাখতেই কার্ল বস্তুটির নাম রাখেন পেগি।
মাত্র ০.৬ মাইল বা ১ কিলোমিটার ব্যাসের ক্ষীণ আকৃতির পেগি শনিগ্রহের সামনে কিছুই না। অনেকে এটিকে শনির উপগ্রহ মনে করলেও এ বিতর্কের সমাধানে এখনো পৌঁছতে পারেনি মহাকাশবিদরা। এ বছর জানুয়ারি মাসের পর ক্যাসিনি পেগি’র আরো কাছাকাছি যাবে।
তখন পেগি সম্পর্কে আরও ভাল ধারণা পাওয়া যাবে বলে আশা করছেন জ্যেতির্বিদরা।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।