আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মানুষ মানুষরে জন্য কি কি করতে পারে ?



আমরা গরিবেরা শুনেছি অনেক রাষ্ট্রে গরিব দুখিদের সকল দায়িত্ব রাষ্ট্র নেয়,কোনো ভিক্ষুক থাকেনা,বেশ্যাবৃত্তি থাকেনা,ফুটপাতে মানুষ ঘুমায়না। কোন সমাজ ভালো,যে সমাাজে গরিব দুখিদের সকল দায়িত্ব রাষ্ট্র নেয়,কোনো ভিক্ষুক থাকেনাা,বেশ্যাবৃত্তি থাকেনা,ফুটপাতে মানুষ ঘুমায়না সেই সমাজ ? নাকি যে সমাজে গরিব দুখিদের সকল দায়িত্ব রাষ্ট্র নেয় না, ভিক্ষুক থাকে,বেশ্যাবৃত্তি থাকে,ফুটপাতে মানুষ ঘুমায়। আমাদের গরিব বুদ্ধি বলে, সেই সমাজ ভালোা,যে সমাাজে গরিব দুখিদের সকল দায়িত্ব রাষ্ট্র নেয়,কোনো ভিক্ষুক থাকেনা,বেশ্যাবৃত্তি থাকেনা,ফুটপাতে মানুষ ঘুমায়না । যে কোন দল এ রকম সমাজ করলে আমরা সেই সমাজের অনুসারী হবো। আমাদের চাওয়া পাওয়া খুবই কম,অঢেল সম্পদ,অপচয় ভোগ বিলাসে মন খুশি হয়না,মন খুশী হয় সকল নাগরিকের দায়িত্ব রাষ্ট্র গ্রহন করবে এ রকম সমাজ ব্যবস্থায়, যে সমাজে সম্পদের বন্টন ও সামাজিক শাসন সম, এ রকম ব্যবস্থা কি ভালো নয় !এ রকম ব্যবস্থা বাস্তবায়ন কি সম্বব নয় অবশ্যই সম্ভব আমরা দেখতে শুনতে জানতে পারি আমাদের দেশে যত রাজনৈতিক দল আছে সকল দলই দেশের উন্নয়ন চায়,কল্যাান চায়।

রাজনৈতিক দলগুলো আর কত আড়াল করবে ? দেশের সকল নাগরিক আমরা দেখতে শুনতে জানতে পারি আমাদের দেশে যত রাজনৈতিক দল আছে সকল দলের সদস্য,আত্মীয় স্বজন বন্ধুবান্ধব শুভাকাংখীদের সম্পদ,খমতা,আরাম আয়েশ ভোগ, আর সাধারন অরাজনৈতক নাগরিকদের সম্পদ,খমতা,আরাম আয়েশ ভোগ পার্থক্য আজ ¯পস্ট দৃশ্যমান,অবশ্যই উন্নয়ন হয়েছে সকল দলের সদস্য,আত্মীয় স্বজন বন্ধুবান্ধব শুভাকাংখীদের সম্পদ,খমতা,আরাম আয়েশ ভোগ। সাধারন অরাজনৈতক নাগরিকদের ফুটপাত বস্তি ওপেন পায়খানা অস্বাস্থ্যকর খাদ্য ও জীবন মানের উন্নয়ন হয়নি। মানুষ মানুষের জন্য কি কি করতে পারে ? মানুষ মানুষের জন্য কি কি করছে ? এই-তো সত্য যে,যা কিছু আমাদের দেশের মানুষেরা করছে তা কারো বেচে থাকার জীবন জীবিকার সংগ্রাম আবার কারো আরো আরো টাকার মালিক হওয়ার সংগ্রাম। কারো আয় ১শো টাকা,কারো আয় কোটি টাকা গড় ধরে যেমন গড় আয় নির্ধারিত হয় তেমনি বিদেশী ঋণের গড় মাথাপিছু কিভাবে নির্ধারিত হয় ? বিদেশী ঋণের সুবিধা ১শো টাকা আয়ের মানুষেরা কতটুকু পাচ্ছে ! কোটিটাকা আয়ের মানুষেরা কতটুকু পাচ্ছে ! বিদেশী ঋণতো কোন একক রাজনৈতিক দলের নামে হিসাব হয়না,রাষ্ট্রের নামে তা সকল মানুষের নামে হয়। প্রাকৃতিক সম্পদও কোন রাজনৈতিক দলের নিজেদের নয়,রাষ্ট্রের সকল মানুষের।

সকল মানুষ ভোটের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলকে দায়িত্ব দেয় সুসম বন্টনের জন্য। রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য,সুসম বন্টনের জন্য ১ আসনে অনেকের মধ্যে নির্বাচিত হয় ১। রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য,সুসম বন্টনের জন্য যারা ভোটে দাড়ায় তাদের এইম ইন লাইফ টাকার মালিক হওয়া। বিদেশী ঋণ যত আসে তত তারা আরো টাকার মালিক হয়। যতজন ভোটে দাড়ায় সবারই এইম ইন লাইফ টাকার মালিক হওয়া।

আমার ভোট আমি দেবো যাকে খুশী তাকে দেবো । যাকে খুশী তাকে বলতে যাদের সবারই এইম ইন লাইফ টাকার মালিক হওয়া। রাষ্ট্রীয় অনিশ্চয়তার জন্য গরীব মানুষ ও টাকার মালিক হতে চায় কষ্টকর নিষ্ঠুর অনিশ্চয়তার অমানবিক জীবন থেকে মুক্তি পেতে। সকল মানুষের রাষ্ট্রীয় নিশ্চয়তা বৃদ্ধি ও সুসম বন্টন যাদের দায়িত্ব তারা নিজেদের নিশ্চয়তা সম্পদ বৃদ্ধি ও পাচারের জন্য এইম ইন লাইফ পূর্ণ করেন। আমাদের বর্তমানেরা সকলেই এক ও অদ্বিতীয় সম্পদের মালিক হওয়ার ক্ষেত্রে।

আমরা যদি মানুষ হই নির্বচিতরা যদি মানুষ হন তাহলে কি সম্ভব নয় নতুন সমাজ গড়ার যে সমাজে সকল নাগরিকের দায়িত্ব রাষ্ট্র গ্রহন করবে যে সমাজে সম্পদের বন্টন ও সামাজিক শাসন সম । অন্তত একটি নিয়ম প্রবর্তিত করে কল্যাণকর ইতিহাসের সুচনা করা যায় তা হলো সকল রাজনৈতিক নেতা এমপি মন্ত্রি আমলার এইম ইন লাইফ হবে টাকার মালিক না হওয়া। মানুষ যদি মানুষের জন্য হয় এটুকু করা কি অসম্ভব যে দেশের সকল মানুষের পাকা বাড়ী স্বাস্থ্যসম্মত লেট্রিন সুপেয় পানি ও মাসে দশ হাজার টাকা ভাতা পাবে। এর জন্য বিদেশী ঋণ লাগবেনা শুধু এইম ইন লাইফ করতে হবে টাকার মালিক হবো না। সব টাকা সম্পদের মালিক হবে রাষ্ট্র।



অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.