প্রেম মানুষের জীবনের এক অনিবার্য সত্য। কখনও সফল, কখনও ব্যর্থ প্রেমের ইতিহাস। কিন্তু তথ্য প্রযুক্তির এই একবিংশ শতাব্দীতে প্রেমের স্থায়িত্ব প্রশ্নবিদ্ধ। কোনো কোনো প্রেম হতে হতেই ভেঙে যাচ্ছে, আবার কোনো কোনো প্রেম দীর্ঘদিন পার করার পর সেকেন্ডের সিদ্ধান্তে প্রেম ভেঙে যায়। সমরেশ মজুমদার 'সাতকাহন' উপন্যাসে বলেছেন, ভালোবাসা প্রতিনিয়ত প্রতিপালন করতে হয়।
তাই আসুন জেনে নেয়া যাক প্রেমের ক্ষেত্রে কী কী মনে রাখা উচিত। অন্যের সামনে সংযত থাকুনদুজনে যখন সামাজিক কোনো অনুষ্ঠান বা কোথাও ঘুরতে যাবেন তখন সংযত থাকুন। এটা খুবই স্বাভাবিক যে, ভালোবাসার মানুষ কাছে থাকলে স্পর্শ করতে ইচ্ছা করবে, জড়িয়ে ধরে থাকার আকুলতা জাগবে মনে। কিন্তু এধরনের আচরণ ব্যক্তিত্বের উজ্জ্বলতা কমিয়ে দেয়। তাই পরিবেশ বুঝে আবেগ নিয়ন্ত্রণ করুন।
মুঠোফোনে ক্ষুদ্র ক্ষুদে বার্তা পাঠানকম শব্দে অর্থবহ এসএমএস পাঠান প্রিয়জনকে। এতে বার্তাটি পেয়ে তিনি আপনার সঙ্গে কথা বলার আগ্রহ অনুভব করবে। অকারণে বা কাজের সময় ফোন করলে সঙ্গীর মনে বিরক্তি জন্মাতে পারে। ঘন ঘন দেখা না করানতুন প্রেমে প্রিয় মানুষটিকে বারবার দেকতে ইচ্ছা করে, মুখোমুখি বসে গল্প করতে ইচ্ছা করে। এটা প্রেমের ধর্ম।
কিন্তু অতি যোগাযোগে রোমাঞ্চ রং হারাতে পারে, সম্পর্কে একঘেঁয়েমি আসতে পারে। ব্যাকুল হবেন না'তোমাকে ছাড়া আমার এক সেকেন্ড চলে না' কিংবা 'তোমার অনুপস্থিতিতে আমার জীবন মূল্যহীন হয়ে যায়' এধরনের কথা সঙ্গীকে সবসময় বলবেন না। বিশ্বায়নের এই যুগে নষ্ট করার মতো সময় আমাদের হাতে একেবারেই থাকে না। তাই প্রেমের জায়গায় প্রেম রেখে নিজের পরিবার, সমাজের প্রতি দায়িত্বগুলো যথাযথভাবে পালন করুন এবং ক্যারিয়ার গঠনে অধিক মন দিন। কেননা, প্রতিযোগিতামূলক এই বিশ্বে দুই পা পিছিয়ে গেলে আবার সেখানে ফিরে আসতে অনেকটা সময় লেগে যায়।
তাই চুটিয়ে প্রেম করুন কিন্তু নিজের অবস্থান ঠিক রেখে। সবরকম গল্প করুনভালোবাসার মানুষটির সঙ্গে কেবল প্রেমময় আবেগিক কথা নয়, সাম্প্রতিক বিভিন্ন বিষয় ও গান, কবিতা, নাটক, চলচ্চিত্র ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করুন। এত পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং সমঝোতার জায়গা শক্ত হবে। সঙ্গীকে ছাড় দিনকষ্ট হলেও সঙ্গীকে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দিন। তার নিজস্ব পছন্দ বা আগ্রহের জায়গা থেকে তাকে সরে আসতে জোরাজুরি করবেন না।
তার ব্যক্তিগত জীবনকে সম্মান দেখান। সঙ্গীর পরিবার, বন্ধু বা কর্মক্ষেত্রের কোনো বিষয়ে আপনার অপছন্দ বা মনোকষ্ট থাকলে তা সরাসরি প্রকাশ না করে তার সঙ্গে আলোচনা করুন। সারপ্রাইজ দিনযান্ত্রিক সভ্যতা মানুষকে দ্রুত ক্লান্ত করে দেয়। তাই মাঝে মাঝে সঙ্গীকে সারপ্রাইজ দিন। কোনো বিশেষ দিন ছাড়াও হুটহাট তাকে উপহার দিতে পারেন।
কিংবা কাছে বা দূরে সুবিধাজনক কোনো জায়গায় বেড়ানোর ব্যবস্থা করে তাকে নিয়ে ঘুর আসুন। সঙ্গীর পছন্দের খাবারটি নিজের হাতে বানিয়ে বা রেস্টুরেন্টে নিয়ে খেতে পারেন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।