সোমবার লিসবনের আকাশে ঘন হয়ে উঠা মেঘ মাটিতে নেমে আসে অজস বৃষ্টির ফোঁটা হয়ে। তবে অঝোর ধারার এ বৃষ্টি বাধা হতে পারেনি একজন কিংবদন্তির রাজকীয় বিদায়ে। বেনফিকার ডি লুইজ স্টেডিয়ামে হাজারও ভক্ত অশ্রুসিক্ত নয়নে শেষ বিদায় জানালো প্রিয় তারকাকে।
ইউসেবিও দা সিলভা ফেরেইরা। পর্তুগাল এবং বেনফিকার জন্যই কেবল নয়, ফুটবল বিশ্বের জন্য একজন কিংবদন্তি।
তার কফিন কালো গাড়িতে করে নিয়ে আসা হয় বেনফিকার স্টেডিয়ামে। কফিন বাহকেরা কয়েক মিনিটের জন্য ডি লুইজ স্টেডিয়ামের ঠিক সেন্টারে স্থাপন করেন তা। এই সেই মাঠ, যেখানে তিনি এক সময় দাপটের সঙ্গে খেলেছেন। প্রতিপক্ষের চোখে বিভীষিকা হয়ে দেখা দিয়েছেন ইউসেবিও। আজ তার দেহে প্রাণ নেই।
উঠে দাঁড়াবার শক্তি নেই। ফুটবল নিয়ে কারুকার্যও দেখাতে পারলেন না। তবে শেষ বেলায় এই মাঠেই তাকে ভক্তরা জানাল শেষ শ্রদ্ধা। 'ইউসেবিও, ইউসেবিও' চিৎকার আর কান্নার চাপা আওয়াজই ছিল গত সোমবারে বেনফিকা স্টেডিয়ামের বাস্তব চিত্র। প্রিয় মাঠে কয়েক মিনিটের অবস্থান শেষে ইউসেবিওকে কবর দেওয়া হয়।
ইউসেবিওর মৃত্যুতে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে পর্তুগাল। এই ঘোষণায় পর্তুগালের প্রেসিডেন্ট আনিবাল কাবাকো সিলভা বলেছেন, 'পর্তুগাল তার সবচেয়ে প্রিয় সন্তান ইউসেবিওকে হারিয়েছে। এই দেশ তার মৃত্যুতে শোকাহত। ' বেনফিকার বর্তমান কোচ জর্জ জেসাস বলেছেন, 'ইউসেবিও ছিলেন বর্তমানের রোনালদো-মেসির মতোই অন্য জগতের ফুটবলার। তিনি বেনফিকায় রূপকথা হয়েই বেঁচে থাকবেন।
' গত সোমবার সেল্টা ভিগোর বিপক্ষে দুটি গোল করে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো তা উৎসর্গ করেছেন ইউসেবিওকে। রোনালদো বলেছেন, 'তিনি আমাকে জাতীয় দলে অনেক সাহায্য করেছেন। আর তিনি আমাদের জন্য উদাহরণ। তিনি হচ্ছেন সর্বকালের সেরাদের একজন। ' ইউসেবিও ৭৪৫ ম্যাচে ৭৩৩ গোল করেছেন ক্যারিয়ারে।
তার এই পরিসংখ্যানে বলে দেয় ইউসেবিও কেমন ফুটবলার ছিলেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।