আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দলগুলোকে সমঝোতার পথে আসতেই হবে

নির্বাচনোত্তর পরিস্থিতি দেশের সংকট উত্তরণে পরিবেশ সৃষ্টিতে সহায়তা করতে পারে বলে মনে করেন নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) এম এ রশীদ। তিনি গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, সংকট না কমার কোনো কারণ নেই। দেশের জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে, তাদেরকে জিম্মি অবস্থা থেকে মুক্তি দিতে, সহিংসতার পথ ছেড়ে শান্তির পথে ফিরে আসতে রাজনৈতিক দলগুলোকে সমঝোতার পথে আসতেই হবে।

তিনি বলেন, সরকারের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনার জন্য খুব বেশি সময় নেওয়া ঠিক হবে না। এ বছরেই এটি করতে হবে।

না হলে জনগণ সেটি মেনে নেবে না। আলোচনার ব্যাপারে সরকার এবং বিরোধী দলের পক্ষ থেকে যদিও ইতিবাচক মনোভাব দেখানো হয়েছে, তবে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় যেটা সেই সমঝোতার ভিত্তি এখনো স্থাপন হয়নি। গণতন্ত্রের স্বার্থে এটিই সবার আগে দরকার। তিনি বলেন, যেহেতু সংকট এখনো চলছে, তাই রাজনৈতিক দলগুলোকে এমন একটি পর্যায়ে পৌঁছাতে হবে যেখানে গেলে দ্রুততম সময়ে সমঝোতার ভিত্তি প্রতিষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের পর সরকারের ভূমিকা সম্পর্কে তিনি বলেন, সরকারের সামনে এখন কঠিন চ্যালেঞ্জ।

প্রধান চ্যালেঞ্জ হচ্ছে জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। পাশাপাশি গণতান্ত্রিক পরিবেশ অব্যাহত রাখতে হবে। এ জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার পরিবেশ তৈরি করতে হবে। এসব বিষয়ে সরকার যত আন্তরিক হবে দেশের মানুষের জন্য ততই মঙ্গল বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বিরোধী দলের ভূমিকা প্রসঙ্গে এই নিরাপত্তা বিশ্লেষক বলেন, বিরোধী দলকে বুঝতে হবে বর্জন, হরতাল-অবরোধের সংস্কৃতি গণতন্ত্রের জন্য সহায়ক নয়।

মানুষকে জিম্মি অবস্থা থেকে মুক্তি দিতে হবে। আলাপ-আলোচনা ও সংলাপের মধ্য দিয়েই সমঝোতার পথ তৈরি করতে হবে। তিনি বলেন, এরই মধ্যে বেগম খালেদা জিয়া অবশ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনায় রাজি হয়েছেন। এটিকে ইতিবাচক বলেও মন্তব্য করেন।

নির্বাচনের পরও সহিংসতা, সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা সম্পর্কে রশীদ বলেন, আমার কাছে সংখ্যালঘু বলে কোনো শব্দ নেই।

তারাও রাষ্ট্রের নাগরিক। রাষ্ট্রের সব নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের যা যা করা দরকার তাই করতে হবে। হামলা ও সহিংসতার জন্য তিনি জামায়াত-শিবিরকে দোষারোপ করে বলেন, গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে হলে আগে সাম্প্রদায়িকতার রাজনীতি থেকে দেশকে মুক্ত করতে হবে।

 

 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.