চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় কোরিয়ান ইপিজেডে (কেইপিজেড) পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। এতে এক নারী শ্রমিক নিহত ও অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। কর্ণফুলী স্পোর্টস ওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিজ (কেএসওআই) কারখানায় গতকাল দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, ইয়ং ওয়ান গ্রুপের এ প্রতিষ্ঠানে এদিন শ্রমিকদের নতুন স্কেলে বেতন দেওয়া হচ্ছিল। দুপুরে ২০-২৫ জন শ্রমিক কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ করেন, তাদের বিভিন্ন ভাতা ও সুবিধা কমানো হয়েছে। শ্রমিকদের সঙ্গে এ সময় কর্মকর্তাদের বাকবিতণ্ডা হয়। কারখানা কর্তৃপক্ষ একপর্যায়ে কর্ণফুলী থানা পুলিশকে খবর দেয়। চট্টগ্রামে শিল্পপুলিশের গোয়েন্দা শাখার পরিদর্শক আরিফুর রহমান বলেন, 'পুলিশ দেখে শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। তারা ইটপাটকেল ছুড়লে পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ার গ্যাস শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। শ্রমিকরা তখন কেইপিজেডের ভেতরে ভাঙচুর চালিয়ে বিভিন্ন কাঁচামালে আগুন ধরিয়ে দেন।' প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ ও ভাঙচুর হয়। পুরো এলাকা পরিণত হয় রণক্ষেত্রে। এতে পারভিন আক্তার (১৮) নামে এক শ্রমিক নিহত ও পুলিশসহ প্রায় ২০ জন আহত হন। প্রায় তিন ঘণ্টা পর বিকাল ৪টার দিকে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চমেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জহিরুল আলম জানান, পারভিনকে হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আনোয়ারা উপজেলার বটতলী ইউনিয়নের গুন্দুকপাড়া গ্রামে তার বাড়ি। কেএসওআইয়ের প্রকৌশল বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, 'নতুন স্কেল দিলেও অন্যান্য খাতে টাকা কমিয়ে দেওয়ায় উল্টো বেতন আগের চেয়ে কমে যায়। এ কারণে শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে। তারা ভাঙচুর শুরু করেন।' শ্রমিকরা অভিযোগ করেন, 'যাতায়াত ভাতা ৪০০ টাকা থেকে কমিয়ে ২০০ টাকা করা হয়েছে। দুপুরের খাবারের বিলও বেশি কাটা হচ্ছে।'
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।