আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

খেলাঘর ৩ ও ৪

যে লেখে সে আমি নয়...

নিশা গাড়ি ড্রাইভ করছে। গাড়ি চালাতে তার খুব কষ্ট হচ্ছে। লন্ডনের রাস্তাঘাটে এই দেশের মতো যানজট নেই। কাজেই সেখানে নিশ্চিন্ত মনে গাড়ি চালানো যায়। এই দেশের ব্যাপার ভিন্ন।

এক কিলোমিটার ড্রাইভ করতে একশবার ব্রেক চাপতে হয়। ব্রেক করতে করতে নিশা ঘেমে গেছে। তারপরেও সে সাদিয়াকে ড্রাইভ করেতে দিবে না। সাদিয়া কয়েকবার বলেছে, আমি ড্রাইভ করি, তুমি আমার পাশে বসো। যানজটের মধ্যে আমার গাড়ি চালানোর অভ্যাস আছে।

নিশা কিছু বলেনি। ড্রাইভারের সিট থেকেও নড়েনি।
নিশার পাশে বসে সাদিয়া অনেক কষ্টে হাসি চাপার চেষ্টা করছে। পারছে না। তার হাসি দেখে নিশা একটু পর পর চোখ রাঙাচ্ছে।

গাড়িতে বসে আরো একজন হাসছে, তার নাম জহির। পেছনের সিটে সে জড়সড় হয়ে বসে আছে। নিশার ঘনঘন ব্রেক চাপার কারণে তার মাথা ঝিমঝিম করছে। বমি বমি ভাবও হচ্ছে। তারপরেও সে হাসছে এবং ব্রেক চাপার সঙ্গে সঙ্গে সামনের সিটের সঙ্গে ঢুস খাচ্ছে।

সাদিয়া চোখ রাঙ্গিয়ে বলল, তুমি এমন করছ কেন ? চুপচাপ শক্ত হয়ে বসে থাকতে পার না ? আরেকবার এমন করলে নামিয়ে দিব।
জহির ভয়ে ভয়ে বলল, ম্যাডাম আর হইব না।
কথা শেষ হওয়ার আগে জহির আরেকবার সামনের সিটের সঙ্গে ঢুস খেল।
সাদিয়া কঠিন গলায় বলল, জহির।
জে ম্যাডাম।


সোজা হয়ে বস।
জহির মেরুদণ্ড সোজা করে বসল।

নিশা গাড়ি সাইড করতে করতে বলল, সাদিয়া আমি আর পারছি না। তুমি চালাও।
সাদিয়া এক মুহূর্ত ভেবে বলল, আমার এখন গাড়ি চালাতে ইচ্ছে করছে না।

তুমিই চালাও।
জহির কি ড্রাইভ করতে পারবে না ?
সে গাড়ি চালানো শিখেনি।
নিশা মনে হয় খুব অবাক হল। চোখ গোল গোল করে বলল, বল কি ?
জহির গাড়ি চালাতে পারে না।
লন্ডনে তো প্রায় সবাই গাড়ি চালাতে পারে।


এটা লন্ডন না, বাংলাদেশ। এখানে অনেকে অনেক কিছু পারে না আবার অনেকে এমন কিছু পারে যা তোমরা পার না।
যেমন ?
এই দেশের অনেক মানুষ ডাস্টবিনের খাবার খেতে পারে। তোমরা পারবে ?
এমন করে কথা বলছ কেন ?
কেমন করে কথা বলছি ?
রেগে গিয়ে কথা বলছ। আমি রাগ পছন্দ করি না।


আমি এভাবেই কথা বলি।
আগে তো কখনো দেখিনি।
দেখাইনি বলে দেখনি।
আগে দেখাও নি তাহলে আজ হঠাৎ দেখাচ্ছ কেন ?
ইচ্ছে করছে তাই দেখাচ্ছি।
তোমার সমস্যাটা কি ?
কিছু না।


ছাগলা দাড়িওয়ালার সঙ্গে ঝগড়া হয়েছে ?
সাদিয়া হেসে বলল, হ্যাঁ।
নিশা গম্ভীর মুখে বলল, ওর রাগ তুমি আমার উপর ঝাড়ছ এটা ঠিক না।
সাদিয়া চুপ করে রইল।
নিশা গাড়ি স্টার্ট দিলো। গাড়ি আবার চলতে শুরু করেছে।

সাদিয়া মুখ গোল করে বসে আছে। নিশা আড়চোখে ব্যাকভিউ মিররে দেখল জহির অন্যদিকে তাকিয়ে মুচকি মুচকি হাসছে। মিচকা হাসির মানুষ খুব পিছলা হয়। এই লোকও মনে হয় পিছলা টাইপ। সুযোগ মতোলোকটাকে চরম একটা শিক্ষা দিতে হবে।







কাকডাকা ভোরে ঘুম থেকে উঠে নিশা বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিল। পশ্চিমের আকাশ লাল হয়ে আছে। দিগন্তের আড়াল থেকে ধীরে ধীরে সূর্য বেরিয়ে আসছে। দেখতে দেখতে রক্তের মতো লাল সূর্য উঠে গেল আকাশে। কি সুন্দর ! কি সুন্দর ! ভোরবেলার এক টুকরো নরম রোদ এসে পড়ল নিশার গায়।

আশ্চর্য, রোদ কেমন যেন ঠাণ্ডা মনে হচ্ছে। নিশা তাকিয়ে দেখল সমস্ত এলাকা জুড়ে অসম্ভব কোমল রোদ ছড়িয়ে পড়েছে। ভোরবেলার রোদেরও যে আলাদা সৌন্দর্য আছে নিশা এই প্রথম জানলো। জীবনানন্দ দাশভোরবেলার এই রৌদ্রকোমল রূপে মুগ্ধ হয়েই হয়তো লিখেছেন, সকালবেলার রোদ পাখি হয়ে যায়।
ম্যাডাম, স্মৃতিসৌধ কেমন দেখলেন ?
নিশা চমকে তাকাল।

সিগারেটের প্যাকেট হাতে নিয়ে জহির দাঁড়িয়ে আছে।
জহির !
জে ম্যাডাম।
অনুমতি না নিয়ে তুমি আমার ঘরে ঢুকেছ কেন ?
জহির থতমত খেয়ে বলল, রাইতে সিগারেট আনতে বলেছিলেন, দোকান বন্ধ ছিল। এখন নিয়া আসলাম।
সিগারেট এনেছ ভাল কথা, ঘরে ঢোকার আগে দরজায় শব্দ করো নি কেন ?
ভুল হইছে, আর হইব না।


সিগারেট দাও।
নিশার হাতে সিগারেট দিয়ে জহির মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে রইল।
দাঁড়িয়ে আছ কেন ?
ম্যাডাম, কানে ধরে উঠবস করব ?
নিশা অবাক হয়ে বলল, কি ?
বলতেছি আমি কি কানে ধরে উঠবস করবো ?
কেন ?
অনুমতি ছাড়া আপনের ঘরে ঢুকছি এইজন্যে।
কানে ধরতে হবে না। এখন সামনে থেকে যাও।


ম্যাডাম, আমার প্রশ্নের উত্তর তো দিলেন না।
মানে ?
স্মৃতিসৌধ কেমন দেখলেন ?
নিশা কঠিন গলায় বলল, তুমি ভালো করেই জানো স্মৃতিসৌধ কেমন দেখেছি। বাজে কথা বলার সময় আমার নেই।
এমন চ্যাটাং চ্যাটাং করে কথা বলতেছেন কেন ?
নিশা ধমক দিয়ে বলল, চুপ কর, স্টুপিড।
গালি দিতেছেন কেন ?
নিশা জবাব দিলো না, কঠিন চোখে তাকাল।


জহির চুপ করে গেল; কিন্তু দাঁড়িয়ে রইল।
নিশা সিগারেট ধরাতে ধরাতে বলল, সাদিয়া কোথায় ?
জহির মাথা নিচু করে বলল, ম্যাডাম বাইর হইছেন।
কোথায় গেছে বলতে পারো ?
জে না।
গাধার মতো দাঁড়িয়ে আছ কেন, নিজের কাজ করো গিয়ে। যাও।


জহির চলে গেল।

জহির বের হয়ে যাওয়ার পর নিশা দরজা খোলা রেখে ডায়রি নিয়ে বসলো। সাদিয়া বাসায় নেই, কাজেই দরজা খোলা রেখে ডায়রি লিখতে কোনো সমস্যা নেই। এই ঘরে সাদিয়া ছাড়া কেউ আসে না। মাঝে মাঝে মামি আসেন।

অতি ভদ্র টাইপ মহিলা। লেখাপড়া খুব একটা জানেন না বলে ডায়রি দেখলেও সমস্যা নেই। কিছু পড়বেন না, শুধু অবাক চোখে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে জিগ্যেস করবেন, মা, ডায়রিতে কি লিখছ ? তখন পাশ কাটানো কোনো উত্তর দিলেই হবে। জহির বলা-কওয়া ছাড়া ঘরে ঢোকার স্পর্ধা দেখানো শুরু করেছে। নিশার এতে তেমন কোনো আপত্তি নেই।

সমস্যা হচ্ছে, মানুষ হিসেবে জহির খুব গভীর জলের মাছ। তার কথাবার্তা শুনে মনে হয় সে অশিক্ষিত। নিশার কেন জানি মনে হয় জহির খুব চালাক। এই বাড়িতে সে মুর্খ চাকরের অভিনয় করছে।
নিশা মাথা নিচু করে ডায়রি লিখছে—

১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে।

আমার প্রকৃতিপাগল বাবা স্বাধীনতার যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। ঠাকুরগাঁয়ে এক সম্মুখযুদ্ধে তাঁর বাঁ হাতে গুলি লেগেছিল। ছোটবেলায় গুলির দাগ দেখে বাবাকে যখন জিগ্যেস করতাম, তোমার হাতে কি হয়েছিল ? বাবা হেসে বলতেন, একজন মুমূর্ষু রোগীর রক্তের প্রয়োজন ছিল, তাকে রক্ত দিয়েছি।
রক্ত দিলে তো এত বড় দাগ হয় না।
রোগীর খুব খারাপ অবস্থা ছিল তো এইজন্যে অনেক রক্ত দিতে হয়েছে।


অনেক রক্ত দিলেও তো এতো বড় দাগ হয় না বাবা।
এটা তো অনেক ছোট দাগ, অনেকের তো প্রাণ দিতে হয়েছে—বড় হলে বুঝবে।
আমি বড় হয়েছি কিনা জানি না। কিন্তু এখন বুঝি বাবা কোন মুমূর্ষু রোগীকে রক্ত দিয়েছিলেন। এবং রক্ত দেয়াটা কতো প্রয়োজন ছিল।

আমার বাবা একজন মুক্তিযোদ্ধা—আমার জীবন ধন্য আমি তাঁর ঘরে জন্মেছি এবং লন্ডনে বড় হয়েও নিজের দেশকে ভালবাসতে শিখেছি।

এতটুকু লিখে নিশা হঠাৎ লক্ষ্য করলো ডায়রির উপর একজন মানুষের ছায়া পড়েছে। পেছনে কেউ একজন দাঁড়িয়ে আছে। সে হয়তো খুব মনোযোগ দিয়ে তার ডায়রি পড়ছে। কারণ যে ডায়রি পড়তে পারে না সে কখনো দীর্ঘ ছায়া ফেলে পেছনে নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে থাকবে না।


নিশা চকিতে পিছনে তাকিয়ে দেখল সাদিয়া দাঁড়িয়ে আছে। তার ঠোঁটের কোনায় মৃদু হাসি। মনে হয় সে অনেকক্ষণ ধরেই পেছনে দাঁড়িয়ে আছে এবং তার সবটুকু লেখা সে পড়েছে।
কি লিখছিলে ?
নিশা চোখ বড় বড় করে বলল, তুমি না বাইরে গেছ ?
কে বলল ?
জহির বলল তুমি অনেক আগেই বের হয়েছ।
সাদিয়া চোখ সরু করে জিগ্যেস করল, কি লিখছিলে ?
কিছু না।


কিছু একটা তো অবশ্যই লিখছিলে, দেখি। সাদিয়া হাত বাড়িয়ে নিশার কোল থেকে ডায়রি নিতে গেল, নিশা ব্যস্ত ভঙ্গিতে ডায়রি সরিয়ে বলল, এটা দেখা যাবে না।
কেন ?
এম্নি। আরেকজনের ডায়রি পড়া ঠিক না।
গোপন কিছু লিখেছ মনে হচ্ছে।


লিখতেও পারি।
দেখি কি লিখেছ।
দেখা যাবে না।
তুমি কি কারো প্রেমে পড়েছ নাকি ?
মানে ?
মানে আমি যেমন টাকমাথাওয়ালার প্রেমে পড়েছি সেরকম কিছু।
নিশা গলার স্বর স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করে বলল, আমি কারো প্রেমে পড়িনি।

কথাটা বলার সঙ্গে সঙ্গে তার মনে হল সে মিথ্যা বলেছে। সে কারো প্রেমে পড়েনি এটা ঠিক না। ধীরে ধীরে একজনকে তার ভাল লাগতে শুরু করেছে। তার ভালোলাগার মানুষটি অতি সাধারণ একজন মানুষ। তারপরেও এই মানুষটিকে তার কাছে অসাধারণ মনে হয়।

কে জানে, ভালোলাগা ব্যাপারটাই হয়তো এমন।
কি ভাবছ ?
নিশা সহজ গলায় বলল, কিছু না।
ডায়রিটা তুমি তাহলে আমাকে পড়তে দিবে না।
না।
আচ্ছা ঠিক আছে।


সাদিয়া উঠে গেল। নিশা অতি যত্নে ডায়রিটা ব্যাগের ভেতর ঢুকিয়ে রাখল যাতে তার অনুপস্থিতিতে সাদিয়া কখনো খুঁজে না পায়।

জহির বাজারের ব্যাগ নামিয়ে রাখতে রাখতে বলল, মামি ইলিশ মাছ পাই নাই।
শাহেদা অবাক হয়ে বললেন, ইলিশ মাছ পাওনি মানে ? বাজার ভর্তি ইলিশ মাছ আর তুমি বলছ ইলিশ মাছ পাওনি।
জহির মাথা চুলকাতে চুলকাতে বলল, আপনি ঠিক বলেছেন মামি, বাজার ভর্তি ইলিশ মাছ।

সমস্যা হইল তাজা মাছ নাই। যেই দোকানেই যাই মরা মাছ। আপনেই বলেন, মরা মাছ কিন্যা আনব ?
বিস্ময়ে শাহেদা চোখ কপালে উঠে গেল। ছেলেটা বলে কি ? মরা মাছ মানে ? ইলিশ মাছ আবার জেতা পাওয়া যায় নাকি। ইলিশ মাছ তো মরাই থাকবে।


গত দুইদিন ধরে ঘরের বাজার সদাইয়ের দায়িত্ব জহিরকে দেয়া হয়েছে। সাইদ সাহেব তার ষোল বছরের পুরনো কর্মচারী মতিন মিয়ার কাছ থেকে এই দায়িত্ব নিয়ে জহিরকে দিয়েছেন। ইদানিং জহির তাঁর খুব বিশ্বস্ত হয়ে উঠেছে। কাজেই ষোল বছর যেই পুরনো কর্মচারী অতি আমানতদারীর সঙ্গে বাজার সদাই করেছে এখন আর তাকে বিশ্বাস করতে পারছেন না। জহির অবশ্যি শুরু থেকেই বাজারের দায়িত্ব নিতে চায়নি।

এই দায়িত্ব তাকে অনেকটা জোর করেই দেয়া হয়েছে। আজ থেকে ষোল বছর আগের নিয়ম অনুযায়ী কে বাজার করবে এটা শাহেদা ঠিক করে দিতেন। ষোল বছর পর সাইদ সাহেব সেই নিয়ম ভেঙ্গে নিজেই দায়িত্ব বদলেছেন যেটা শাহেদা পছন্দ করেনি। স্বামীর এই কাজটা তাঁর কাছে ঘোড়া ডিঙিয়ে ঘাস খাওয়ার মতো মনে হয়েছে। যার ফল এখন ফলছে।

বাজারের লিস্টে যেসব সদাইয়ের কথা লেখা হয় তার প্রায়গুলিই জহিরের বোকামির কারণে আনা হয় না। যে কয়টা আনা হয় তার মধ্যেও প্রায়ই নষ্ট জিনিস থাকে। বাজার ঠিকমতো না হলে রান্নাবান্নাও ঠিকমতো হয় না। শাহেদা ঠিক করে রেখেছেন রান্নার অসঙ্গতির ব্যাপারটা যেদিন স্বামীর চোখে পড়বে সেদিন স্বামীকে তিনি দুই কথা শুনিয়ে দিবেন। সংসারের সব ব্যাপারেই যে পুরুষের নাক গলানো উচিত না এটা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিবেন।


মজার ব্যাপার হচ্ছে, জহির আজ বাজারে জেতা ইলিশ মাছ পায়নি বলে শাক সবজি নিয়ে এসেছে কিন্তু মাছ আনেনি। এই জহির গাধাটাই কয়েকদিন আগে মরা মুরগি কিনে নিয়ে এসেছিল। শাহেদা যখন জিগ্যেস করেছেন, মরা মুরগি নিয়ে এসেছ কেন ?
জহির চোখমুখ উজ্জ্বল করে বলেছে, অর্ধেকের চাইতে কম দামে কিনছি, অনেক টাকা বেঁচে গেছে।
শাহেদা ধমক দিয়ে বলেছেন, মরা মুরগি মানুষে খায় ? গাধা কোথাকার।
জহির মাথা নিচু করে বলেছে, এই বিষয়টা চিন্তা কইরা দেখি নাই।

কথার ভঙ্গি দেখে মনে হয় চিন্তা না করে সে কিছু করে না। সব বিষয়েই যেন চিন্তা করে কাজ করে। গাধা কোথাকার। এদের পাছায় সকাল বিকাল দুইবেলা লাত্থি দিতে হয়।
বাজারের দায়িত্ব পাওয়ার পর জহিরের মনে হয়েছিল টাকার হিসাব নিয়ে খুব ঝামেলা হবে।

এখন দেখছে ঝামেলা বলতে গেলে কিছুই নাই। বেঁচে যাওয়া পয়সারও পাই টু পাই হিসেব দিতে হয় না। ইচ্ছা করলেই পঞ্চাশ একশ টাকা সরিয়ে ফেলা যায়। জহির বাজারের টাকা চুরি করে অসীম সাহসের একটা কাজ করে ফেলল। একশ সত্তর টাকা দিয়ে এক প্যাকেট বেন্সন কিনে ফেলল।

তার গোপন ইচ্ছা, এই প্যাকেট সে নিশাকে দিবে।
( লেখাটি আরো বড়। সম্পূর্ণ লেখা ব্লগে প্রকাশ করতে ইচ্ছে করছে না। কেন ইচ্ছে করছে না জানি না। )


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।