আমিতো মরে যাব চলে যাব রেখে যাব স্মৃতি.................... ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর। মুখে মুখোশ ও ঝাড়ু হাতে একদল তরুণকে নিয়ে রাস্তায় নেমেছেন দেশের বিশিষ্ট বিজ্ঞানী আবেদ চৌধুরী। তখন ভোর সাড়ে ছয়টা। এ এ টি এম উচ্চবিদ্যালয়ের সামনের রাস্তা ঝাড়ু দেওয়া শুরু করলেন তিনি। অন্যরাও হাত লাগালেন তাঁর সঙ্গে।
দেখতে দেখতে ময়লা-আবর্জনায় ভরা সড়কটি পরিচ্ছন্ন হয়ে উঠল। ধীরে ধীরে সামনে এগোতে লাগলেন তাঁরা। সকাল সাড়ে সাতটায় এসে পৌঁছালেন রেলস্টেশনের সামনের সড়কে।
এভাবে এক ঘণ্টায় আধা কিলোমিটার সড়ক ও আশপাশের ভবনের বারান্দা পরিষ্কার করলেন আবেদ চৌধুরী ও তাঁর সঙ্গে থাকা তরুণ স্বেচ্ছাসেবীরা। ‘পরিচ্ছন্ন দেশ আমাদের স্বপ্ন, ক্লিন বাংলাদেশ আমাদের স্বপ্ন’—এ স্লোগানকে সামনে রেখে ইংরেজি নববর্ষের প্রথম দিন গতকাল মঙ্গলবার শমশেরনগরে ব্যতিক্রমী এ কাজের যাত্রা শুরু করেন বিশিষ্ট এ জিন বিজ্ঞানী।
কেন এই উদ্যোগ, জানতে চাইলে আবেদ চৌধুরী বলেন, ‘প্রথম আলোর একটি স্লোগান আছে, বদলে যাও বদলে দাও। এই স্লোগানে বলা হয়েছে, আগে নিজের পরিবর্তন আনতে হবে; তারপর সমাজের। এরই অংশ হিসেবে আমি শুরু করলাম। আমাকে দেখে অন্যরাও এগিয়ে আসবে বলে বিশ্বাস করি। ’
জানা গেছে, আবেদ চৌধুরীর মায়ের নামে প্রতিষ্ঠা করা হাফিজা খাতুন ট্রাস্ট (এইচকেএমটি) ও শমশেরনগর ইনোভেটিভ এন্টারপ্রাইজের (এসএইচআইএনটি) উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
এতে শমমেরনগর বণিক কল্যাণ সমিতি, ক্রীড়াব্যক্তিত্ব শফিকুর রহমান, সাংস্কৃতিকব্যক্তিত্ব শামছুল হক, সমাজসেবক জহুর আলীসহ একদল তরুণ শামিল হন। পরিচ্ছন্ন শমশেরনগর অভিযানের অংশ হিসেবে রাস্তাঘাট পরিচ্ছন্ন রাখতে তিনজন লোক নিয়োগ করেছে এইচকেএমটি ও এসএইচআইএনটি।
আজকের প্রথম আলোতে উনার এই মহান উদ্যোগের সংবাদ পড়ে আমি অভিভূত। হাজারো সালাম এই মহান বিজ্ঞানীকে। এই মহান বিজ্ঞানীর জন্য আমার অন্তরের অন্তস্থল থেকে রইল শুভেচছা।
এই সব লোকদের পায়ে হাত দিয়ে সালাম করতে ইচ্ছা করে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।