ভাবতে থাকি
A সমালোচনায় বুদ্ধিজীবীঃ যদি আমাদের দেশের বুদ্ধিজিবিরা আলোচনা সমালোচনা না করে রাজনীতি করত তবে দেশের জন্য ভাল হত। আরও পরিশ্রম করতে হবে জনগনের জন্য আমাদের বুদ্ধিজিবিরা। তারা শুধু আশা করবে কেউ একজন এসে আমাদের উদ্ধার করবে আপদ থেকে। তাই ৫বছর অন্তর একটা সুযোগের অপেক্ষা না করে এখনই কাজ করা উচিৎ জনগনের জন্য। জনতার পাশে থাকার মজা বুজা উচিৎ।
আজ আপনারা বিভক্ত আওয়ামীলীগ আর বিএনপিতে অথবা যারা নিরপেক্ষ তাদের মাথার এক ভাগ বিএনপি আর অন্য ভাগ আওয়ামিলিগ। এটা নিরপেক্ষতা নয়। তবে তাদের মধ্যে যদি কেউ ৩০% ভালো আর ৭০% মন্দ করে আর অন্য দল ৬০% ভালো আর ৪০% মন্দ করে তবে এটাকে সেই নিরপেখতার বিচারে বলা হবে ৫০-৫০ আর এটা নিরপেক্ষতা নয়। । একজন মানুষকে বিচার করবেন কীভাবে? তার ভালো কাজ গ্রহন আর মন্দ কাজ বর্জন এবং পরিসেসে তার মূল্যায়ন হবে যার পরিমান বেশি তার উপর।
এটাই নিয়ম। আজ জামাত-শিবিরকে নিয়ে খুব সমালোচনা হচ্ছে, কেন এই সমালোচনা? তারাতো বাংলাদেশের কিংবা তারাতো রাজাকার না। আসলে তাদের নীতির জন্য আপনারা তাদের সমালোচনা করে চলছেন। তাদের এই নীতি বর্জনের জন্য আপনারা কাজ করা জরুরী। এটা আমাদের জাতীয় ঐক্যের প্রশ্ন।
আওয়ামীলীগ বিএনপিতে সমস্যা নেই এটা রাজনৈতিক সাময়িক বিভক্তি। তারাই লরবে দেশের জন্য কিন্তু আমাদের দেশের পরাজিত শক্তির সাথে কোন আফোস নেই। আমাদের বাংলাদেশের চেতনা মুক্তিযুদ্ধ জনক বঙ্গবন্ধু এই দুটোতে আমাদের ঐক্য জরুরী। নাহলে আমরা হব ভিত্তি হীন জাতি। দেশ প্রেমহীনরা দেশের ক্ষতি করবেই কিন্তু রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা কাম্য নয়।
শুধু রাজনৈতিক বিভক্তির জন্যে যেমন জাতির জনককে ছোট করা হচ্ছে তেমনি ছোট হচ্ছে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আর ফলাফল দেশদ্রোহীদের অপকর্মের দিকে নজর না দেয়া। আজ মনে করেন আমরা একাত্তরের কোন যুদ্ধরত মঞ্চে তবে কার পক্ষ নিবেন জামাত/ রাজাকার/ পাকিস্তান/ ভুত্ত নাকি আওয়ামীলীগ/ মুক্তিযোদ্ধা/ বাংলাদেশ/ শেখ মুজিব। মনে রাখবেন ২য় অংসেই আমাদের সব মানুষ সকল আশা আকাঙ্খা। আর এই বাংলাদেশ আছে বলেই আমাদের এত কোলাহল তার বুকে আর সম্মান দিতে হবে তার প্রাপ্যদের। নিজেদের খুবই খুদ্র স্বার্থ ভুলে যান আর মনে প্রানে বিশ্বাস করুন আমি বাঙ্গালী।
ত্যাগ করুন আমাদের গনশত্রু/ দেশদ্রোহীদের আর তাদের নীতির বর্জন অবশ্যই বাঞ্চনিয়। যেমন করে জামাত শিবির ভয়কট করেছেন তেমনি ভয়কট করুন যারা তাদের সুযোগ করে দিয়েছে এই দেশে। একজন বুদ্ধিজীবী বলল জুদ্ধপরাধিদের বিচার ঠিক আছে কিন্তু জামাতের রাজনীতি নিসিদ্ধ কেন? আমি আর আমার দেশের সব মানুষ তো একাত্তরে তাদের নীতির পরাজয় ঘটিয়েছে আর এদের নীতি যত দিন থাকবে তত দিন শিবির জন্ম নেবে আর তাদের রক্তে সেই রাজাকারের প্রবাহ থাকবে। একজন শিবিরকে প্রশ্ন করুন তারা কি পাকিস্তানের পক্ষে না বাংলাদেশের পক্ষে? কয়েকজন মানুষ হত্যা করলেন কিন্তু তাদের নীতি পরিহার করলেন না কিন্তু ভবিষ্যতে সেই মানুষরা অবশ্যই পুনঃ জন্ম নিবে। যতই জামাত শিবির করোনা কেন? পাকিস্তানকি তোমাদের পছন্দ করে? করে, কারন তোমরা তাদের নীতি বাঁচিয়ে রাখছ তাদের শত্রুদের স্বাধীন দেশে তাদের লজ্জা দিয়ে চলছ।
তারা প্রতিনিয়ত তোমাদের জন্য অতিতকে স্মরণ করে আর লজ্জা পায়। পাকিস্তান তোমাদের দেখেই খুশি। তোমরা আজ তাদের নীতি ছেড়ে দাও দেখবে তোমরা তাদের শত্রু হয়ে গেছ কারন তোমরা বাঙ্গালী। শিবির তোমাদের রাজাকার নেতাদের কলংকের ভার তোমরা ভয়ে নিচ্ছ। একদিন তোমরাও ক্ষমা চাইতে হবে।
আমাদের দেশের এই সময়কারের বুদ্ধিজীবীদের অবস্থান আলোচনা আর আলোচনার মহড়া নিয়ে সীমাবদ্ধ। বুদ্ধিজিবিদের বিবেচনা দেখে সাধারণ জনগনও মাঝে মাঝে হতাশ হয়। আমি বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতার উপর বুদ্ধিজিবিদের বিবেচনা দেখে অবাক হচ্ছি। তারা সরকারকে চাপ দিয়েছে এক তরপা নির্বাচন না করতে। কিন্তু এটা ভেবে দেখেনি সরকারের এই অনড় অবস্থানের কারন কি? ধরলাম আজ এক তরফা নির্বাচন না হয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে সব দলের অংশগ্রহনে নির্বাচন হল আর যদি এতে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসে তবে কোন কথা থাকতনা কারই।
আর বিএনপি তাতেও সমালোচনা করত। কারন তাদের অভিযোগ হত সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার আওয়ামীলীগের পক্ষে কাজ করেছে। এর বিপরীতে যদি বিএনপি ক্ষমতায় আসে তার পতিক্রিয়াও একই হত। এখন ধরাযাক বিএনপি সরকারের সময় শুরু। তবে আমরা কি দেখব, জামাত শাসন করছে বিএনপি নেত্রী সহ পুরা ১৮দলকে।
আর তখন পরাজিত হবে ৭১এর স্বাধীনতা। জামাত-শিবিরের প্রথম লক্ষ্য হবে আওয়ামীলীগ, মুক্তিযুদ্ধ চেতনা, মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম সহ মুক্তিযুদ্ধ চেতনার সকল প্রগতিশীল মানুষ। আর এই ক্ষতির দায় নেবে কে? তখন জামাত-শিবিরের ভয়ে মুখ খুলবে না আমাদের এসব বুদ্ধিজীবীরা। আসলে বুদ্ধিজীবীরা ভাবে আমরা পেটে ভাতে বেঁচে থাকব সব সরকারের আমলেই। রাজনীতি করতে গিয়ে কিংবা মুক্তিযুদ্ধ চেতনা লালন করতে কত জন মারা গেছে এই স্বাধীন বাংলা দেশে।
বুদ্ধিজিবিরা কি তাতে কখনও শঙ্কা প্রকাশ করেছে না তারা কিছু জানে । শুধু টিভিতে এসে কিছু ভালো কথা বলে দিলেই বুদ্ধিজিবি হওয়া যায় না। একটু ভাবুন জামাত সরকার ক্ষমতায় আসলে দেশের কি ক্ষতি হবে। পাকিস্তান উল্লাস করবে আর শহীদ আত্মা ও মুক্তিযোদ্ধারা কষ্ট পাবে। আমাদের দেশের আম জনতার দৃষ্টি এদের চেয়েও প্রখর।
আর বুদ্ধিজীবীরা রাজনৈতিক মানবদের বুঝাতে হবে যে এটা প্রতিশোধ নেয়ার মঞ্চ নয়। বিএনপি সরকার ক্ষমতায় থেকে যে অমানবিক অত্যাচার বিরোধী দলের উপর ঘটিয়েছে ( ২১ আগস্ট সহ আওয়ামী পন্থিদের হত্যা) তা আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতার দাপটে এখন বিরোধী দলের উপর নিতে চায়। আওয়ামীলীগের নেতারা বিএনপি নেতাদের বার বার উস্কে দিচ্ছে মাঠে থাকার জন্য। আমার মনে হয় বিএনপির নেতারা মাঠে থাকলে তারা ২১ আগস্টের প্রতিশোধ নেবে। আর বিএনপি নেতারা সে ভয়ে মাঠে যায় না।
তবে আমার পরামর্শ ভাড়া করা সন্ত্রাস দিয়ে জনগন পোড়াবেন না...
আমার শঙ্কার কারনঃ ১৯৭৫সালে যখন বঙ্গবন্ধু সহ তার পরিবার এবং জাতীয় ৬ নেতাকে হত্যার পর যে অনিয়ম শুরু হল তাতে বুদ্ধিজিবিদের অবদান কোথায় ছিল? এরপর জিয়াউর রহমানের কাল আইনের মাধ্যমে সব অপরাধীরা বেঁচে যায় এবং রাজনীতিতে সব একাত্তরের অপরাধীরা আত্মপ্রকাশ করে পুনরায় স্বাধীন দেশের বিজয় নস্যাৎ করতে। তখন কোথায় ছিল আমাদের সাহসী বুদ্ধিজীবীরা। সমস্যা সৃষ্টির প্রাথমিক পর্যায়ে বাধা না দিলে তা আত্তঘাত হয়ে নিজেকেই হানা দেবে। আর পরে বিস্তৃত সমস্যার মাঝে ঘা খোঁজা বোকামি আর এর সামাধান দেয়ার নামে যা করা তা হল বিশেষ পক্ষ নেয়া। আপনে একজনের অন্যায় পস্রয় দিয়ে অন্যজনের অন্যায় খুঁজে মরছেন।
আজ যদি প্রতি অন্যায় না হয় তবে বৈষম্যের আচরনে যে পরাজয় ঘটবে তার দায় কে নেবে। যারা রাজনীতি করে তারা জীবনের ঝুকি নেবে কেন? তাই আগে অপসসক্তি এবং গনদুশমন হটাও। রাজনীতির বিবেদ থাকতে পারে কিন্তু জাতির নীতি পরিপন্থী অনাকাঙ্ক্ষিত এটা সহ্য করা অন্যায়। রাজনীতি করা যায় নিতিবানদের সাথে কিন্তু নিতিহিনদের সাথে কিসের রাজনীতি। জামাত-বিএনপির নীতি কোথায়? তারা ইসলামি মূল্যবোধকে পুজি করে ব্যাবসায় নেমেছে আর জনসাধারণকে মিথ্যার জালে আটকে দিচ্ছে শুধু ভোট পেতে।
মনে রাখা উচিৎ গণতন্ত্রের বোকামি হচ্ছে ভোটাধিকার। কারন একজন বিবেকহীনের ভোটের মূল্য যা একজন বিবেকবানের ভোটের মূল্যও তাই। একজন বুদ্ধিজিবির ভোটের মূল্য যা একজন ভোট বিক্রেতার ভোটের মূল্যও তাই। মিথ্যে কথায় আবেগের কাছে বিবেকের পরাজয় ঘটিয়ে ভোট পাওয়া সহজ। কিন্তু শক্তিমান নিতিবান মিথ্যাচারে বিবেক হারায় না।
তাই আগে রাজনীতিবিদদের নীতি ঠিক রাখতে হবে। একটা উদারন দেয়া যাকঃ গোপালগঞ্জ নাম বদলে দেব। আল্লার গজব পড়বে আপনারা যা শুরু করেছেন এতগুলো আলেমকে হত্যা করেছেন। এই বক্তব্যে প্রথম অংশ ধমকের সুরে করেছেন এবং এটা খারাপ বাক্য। কিন্তু মানুষের দৃষ্টি অন্য দিকে ঘোরানর জন্য একই সাথে আবেগ সৃষ্টির জন্য পরের অংশ ব্যাবহার করেছেন।
যদিও পরের অংশ সত্য কি মিথ্যা উনি নিজেই সন্দিহান তারপরও এটা ধর্মীয় ব্যাপার এবং আবেগ আবেদনময়। এখন যারা একই সাথে দুটো বাক্য শুনবে তারা আর উনার অন্যায়কে দেখবেন না। বরং সাবাস বলবেন। এই নীতি কি রাজনীতির আদর্শ বহন করে! বুদ্ধিজিবিদের জন্য পরামর্শ, মৌলিক বিষয় ভাবুন। অপরাদের সুত্রপাত প্রতিহত করুন।
আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধের অপপ্রচারে সজাগ হন। বর্তমানে খালেদা জিয়া জুদ্ধাপরাদিদের বিচার প্রসঙ্গে বুদ্দিজিবিদের বোকা বানানোর চেষ্টা করে চলছে। তিনি বলছে, সরকার পারত জাতীয় ঐক্য করে এই বিচারের সামাধা করতে। আসলে অতীত থেকে দেখলে কি তাই মনে হয়, জিয়াউর রহমান তাদের রাজনীতি করার সুযোগ করেছে বিচার ও বদ্ধ করেছে। তাদের সাথে জামাতের সম্পর্ক আত্মার।
তারা কখনও জাতীয় ঐক্যের সাথে মিলবে না। তাদের রাজনীতির কারনে একটা বিশাল জনগোষ্ঠী এই বিচারের পক্ষ নিচ্ছেন না।
আমেরিকা কেন গণশত্রুদের পক্ষেঃ একটা দেশের ভেতর জাতিগত বিভেদ ভয়াবহ। এর মাধ্যমে লাগা দাঙ্গা দিয়ে ঐ দেশ অস্থির হয়ে পরে। আর সাহায্যের নামে আমেরিকা এসে তাদের দেশ দখল করে।
তাই আমেরিকা সবসময় পক্ষ নেয় অপসক্তির হয়ে। আর বাংলাদেশের অপসক্তি কে সবাই জানে? তাই আমেরিকা ভয় পায় গনজাগরনের মুক্তিযুদ্ধ চেতনা।
বঙ্গবন্ধুর হত্যার পেছনে আমেরিকার হাত আছে। কারন বঙ্গবন্ধু থাকলে তাদের সাম্রাজ্যবাদের সুবিধা পেত না। আর তার বিপরিথ নীতি আমেরিকারই সৃষ্টি।
আজ অনেক বুদ্ধিজিবিরা জামাত-শিবিরের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা ও তাদের অতীত নিয়ে আলোচনা করে এবং তাদের ঘৃণা করার জন্য জাতিকে আদেশ করে। এটা উচিৎ ছিল আরও আগে করা। কি ভাবে এসব কথা বলা সম্বব হয়েছে। তাদের বুঝতে হবে। গনজাগরন থেকে তারা শিক্ষা পেয়েছে।
কিন্তু আজও সব তারা সিখতে পারেনি। কেননা মাহমুদুর রহমানের পরচনায় পরে যখন হেপাজতের সৃষ্টি হল তখন দৃঢ় জবাব দিতে পারেনি আমাদের বুদ্ধিজীবীরা। তার তখন মুখ লুকিয়েছে আর তার মুকাবেলা আওয়ামীলীগ কেই করতে হল আর আওয়ামীলীগ তার বিনিময়ে ক্ষতি উপহার পেল। মিথ্যে গুজবের পালক জামাত-বিএনপি-শিবিরের মুকাবেলাও তাদের করতে হল। সাথে আমেরিকা জাতিসংঘ ..................।
জামাত-বিএনপির নেতৃত্বঃ গত বিএনপি সরকার ক্ষমতায় ছিল আর বাংলাদেশ দুর্নীতিতে প্রতিবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আর সব ছেয়ে লজ্জার বিষয় তাদের দলের নেত্রীর ছেলেই এই অপকর্মের সাথে জড়িত। আর দেশের জন্য ভালো কাজ তো হয়ই নি। তারেক কোকো মনে হয় তখন দেশের রাজা ছিল। আর আরও লজ্জার বিষয় তারা মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস পর্যন্ত তুলে ধরেনি। কারন সম্ববত তাদের সঠিক মুখোশ উন্মোচন হত।
জামাতের অবদান পুরপুরি পাল্টে দিল বিএনপি সরকার। তাদের দেশ প্রেম নিয়ে প্রশ্ন একটা হাস্যকর? আর রাজাকার নিজামির শিল্প মন্ত্রণালয় কেমন ছিলঃ দেশের সব শিল্প দেশ প্রেমহীন লোকদের হাতে তুলে দিয়েছে আর তারা মনের সুখে দুর্নীতি করেছে। আর রাজাকার নিজামি বোকা সরকারকে দেখিয়েছে শিল্প লোকসান হচ্ছে। আর তাদের অনুগত সরকার বদ্ধ করে দিয়েছে বাংলার শিল্প। আর মহান বুদ্দিজিবিরা কিছুই বুজতে পারেনি।
আর সমাজ কল্যানের নামে তৈরি পাঠাগার শিবির ক্লাব। তাই বলি জামাতের কাছে শিখতে হবে কৌশল বুদ্দিজিবিদের।
প্রথম আলোর জরিফের ব্যাখ্যা অনেকেই টানছেন। আসলে এই জরিফ এমন কিছু না। এটা হল জামাত-বিএনপির লবিং এর ফল।
ভোট দিয়েছে কত জন আর প্রথম আলোর পাঠকের সংখ্যা কত? আপনেকি কাদের মোল্লার বিচার চান? উত্তরঃ হ্যাঁ ২৫%, না ৭৫%। আর এটা জাতিসংঘ, আমেরিকা, হিউম্যান রাইটস ও স্বীকৃত। জামাত-শিবিরের লবিং জাতিসংঘ যায় প্রথম আলো পত্রিকায় যেতে বাধা কোথায়? এর আরও উদারন চ্যানেল আই এর গ্রামীণ ফোন তৃতীয় মাত্রা। এসব জেনেও তারা কেন আলোচনা করে তাদের উদ্দেশ্য পরিষ্কার।
যদি আজ আওয়ামীলীগের অবস্থানে বিএনপি থাকত তবে আমার বক্তব্য কি? যদি আওয়ামীলীগের সাথে জামাতের আত্মিক সম্পর্ক থাকত তবে বিএনপির জন্যও এসব লেখা হত।
কারন মুক্তিযুদ্ধ চেতনায় দেশদ্রোহীদের স্থান নেই।
আজ সুযোগ সন্ধানিরা হেপাজতের মঞ্চ, প্রেসক্লাব, সুপ্রিম কোর্ট হতে বোমা, উস্কানি বক্তব্য, ডিল ছুড়বেন প্রতিপক্ষ এর উপর আর তখন যদি প্রতিপক্ষ পাল্টা জবাব দেয় তা হবে অন্যায়। আসলে আমরা অন্যায় চেনাই ভুলে গেছি। আগে পাপের মুলে আঘাত করা জরুরী। কৌশলে অন্যায় করলে পাপ হয় না, এই কথা আমরা আদর্শ শিক্ষায় পাই নি।
সব যায়গায় জামাত-শিবির ডুকে অপবিত্র করে চলছে আর আমাদের বুদ্ধিজীবীরা নিরুত্তাপ। তাই বুদ্ধিজিরাও চাটাই করতে হবে তাদের ভেতর হতে অপকর্মকারীদের। বিদায় জানাতে হবে প্রকাশ্যে। সাংবাদিক আইনজীবী সহ বিশ্ববিদ্যালয়ে জামাত শিবিরের আধিপত্য কীভাবে বেড়ে চলছে ভাবা যায়? কোন বুদ্ধিজীবীদের মাথা বাথা নেই। একজন দেশদ্রোহী, দুর্নীতিবাজ সন্ত্রাস, আয়কর ফাকির পক্ষে কীভাবে কাজ করে আইনজীবী? কোনও দায়িত্ববোধের প্রশ্ন নেই?
আওয়ামীলীগের হাল যদি শেখ হাসিনা না ধরতেনঃ ।
৭৫ সালেই তবে আওয়ামীলীগ শেষ হয়ে যেত। তখন আজীবন ক্ষমতায় থাকত স্বৈরাচার কিংবা স্বাধীনতা বিরোধীদের চেতনা। মুক্তিযুদ্ধের কথা বাঙালিদের ভুলে যেতে হত অথবা আমরা এক সময় স্বীকার করে নিতাম আমাদের মুক্তিঝুদ্ধারা ভুল করেছে পাকিস্তান থেকে বের হয়ে আর ইতিহাসের সব ছেয়ে বড় খল নায়ক শেখ মুজিব। কারন আমরা এভাবেই ইতিহাস আমাদের চারপাশ থেকে শুনে আসছি। আমাদের বলা হত, হিন্দু রাষ্ট্র ইন্ডিয়ার ষড়যন্ত্রে পা দিয়ে শেখ মুজিব দেশ ভাগ করার জন্য যুদ্ধের ডাক দিয়েছে।
আর তাতেই আমাদের মুসলিম দেশটা দুভাগ হয়ে গেছে। আমরা এতদিনে ইসলামি দেশে থাকতাম। কিন্তু সত্যিকার ইতিহাস কি? তার আগে বলে নিই আমাদের মুক্তিযুদ্ধই ইসলাম সরিয়াহ মোতাবেক সঠিক। আর এই যুদ্ধই জিহাদের সমতুল্য। মানবতার, মজলুমদের পক্ষে, অন্যায়ের প্রতিবাদ, বৈষম্যের প্রতিপক্ষ, নারী ইজ্জত রক্ষায়, ন্যায্য অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে।
পক্ষান্তরে তারা ইসলামের দোহাই দিয়ে অন্যায় প্রতিষ্ঠিত করেছে। আর চেয়েছে ইসলামের অজুহাতে ইসলামকেই বিতর্কিত করতে। কিন্তু আমাদের মুক্তি সেনারা তা করেনি। তারাই ইসলামের পক্ষ। আমাদের মুক্তিঝুদ্ধারা বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করে আমাদের স্বাধীন জাতি উপহার দিয়েছে।
আমাদের মাথা উচু করে বিশ্বের বুকে জাতি হিসেবে দাড় করিয়েছে। আর বঙ্গবন্ধু এমন এক নেতা যে কোন কালের নয় যে কোন জাতির নয় যে মানবতার যে উদার যে ক্ষণজন্মা। এমন নেতা বাঙ্গালির ভাগ্যে ছিল বাঙ্গালী কৃতজ্ঞ হলে তাকে বুঝত। আর বঙ্গবন্ধুকে বুঝতে বাঙালিদের আরও শত বছর লাগবে। তাই কৃতজ্ঞ জাতির জন্য আমাদের অপেক্ষা আরও শত বছর।
কে আছে যে মনে করে বঙ্গবন্ধুর সামনে তার সমালোচনা করার যোগ্যতা আছে। আজ একটা খুদে শিশু যে ঐ দেশদ্রোহীদের দ্বারা মগজ দোলাই হওয়া সে এমন দুঃসাহস করতে চায়! কে করে দিয়েছে এই সুযোগ ঐ পরাজিতদের। স্বাধীন বাংলার রক্তাক্ত পতাকা পরাজিত শত্রুর হাতে!
কে এই দুঃসাহস করেছে। সে কি সব শহিদের অনুমতি নিয়েছে? সে কি বাঙ্গালী জাতির আকাঙ্খা বুঝে না? সে একাত্তরের ইতিহাস কি অনুধাবন করেনি? ঐ বিরাঙ্গনার ইজ্জতের সাথে কে বেঈমানি করেছে?
যে যোদ্ধা
পরাজিত নীতির নিয়ে
পরাজিত শক্তির সাথে আফোস করেছে।
সে মুক্তির জন্য নয়
সে যুদ্ধ করেছে আত্মরক্ষার জন্য।
আলেমদের প্রতি নির্দেশনাঃ আল্লাহ্ পবিত্র কুরআন নাযিল করেছে সমগ্র মানব জাতির জন্য। শুধু মুসলমানের জন্য নয় কিংবা ইসলাম শুধু মুসলমানদের অধিকার দিয়েছে তাই নয়। এই ধর্ম গ্রন্থ কোন বিশেষ গোষ্ঠীর জন্য নয় এটা সমগ্র মানব জাতির কল্যাণের জন্য মহান আল্লাহ্ পাঠিয়েছেন। কিন্তু আজ জামাতি মাওলানারা কার জন্য ওয়াজ করছে। কাকে খুশি করার জন্য এই অভিরাম তাদের প্রচেষ্টা।
কিয়ামতের দিন আল্লাহ্ সব মহলের এক দলকে ডাকবে। আর তাদের উদ্দেশ্য জানতে চাইবে। মহান আল্লাহ্তো সব জানেনই। আর কুরআন নিয়ে পক্ষপাত করার জন্য আর কাটা ছেড়া ব্যাখ্যার মাধ্যমে বিশেষ শ্রেণীর উপকার করার উপলব্ধি আপনারাই ভালো জানেন। আপনারা ব্যাখ্যা সরাসরি কুরআনের আলোকে করেন না করেন ঐ সময়ের নবী-রাসুলদের ইতিহাস থেকে মনে রাখবেন ব্যাখ্যা আপনি আপনার স্বার্থের জন্য খুসিমত করতে পারেন।
কিন্তু তার সাথে কুরআনের সঠিক ব্যাখ্যা মিলিয়ে দেখবেন। কেউ আমাকে নাস্তিক বলল আমি তাতে নাজেহাল নয় কারন আমি আর আমার সৃষ্টিকর্তা জানি আমি কি? কুরআন মানে আলো যে আলো উৎস ছাড়া। যা ছড়িয়ে পড়ে সব দিকে সুষমভাবে। যে আড়ালে থাকতে চায় সে অন্ধকারে হারাবে। সেটা তার জন্য দুঃখজনক।
তাকে আলেমদের বুজাতে হবে। না বুজলে আমার নয় তার পরাজয়। আর আলেমই হল এই আলোর বাহক। জীবনের প্রতিটি পদ মিলিয়ে নেবে কুরআনের আলোয় তখন আর পথ হারাবেন না ধোকামিতে/ বিভ্রান্তে। স্বার্থবাজ জামাত-শিবির শুধু এই দেশের শত্রু নয় তারা ইসলামেরও শত্রু।
যদি মাওলানারা সত্যি সুষম ওয়াজ করত তবে জামাতিরা এত দেশদ্রোহী কাজ করতে পারত না যুদ্ধঅপরাধীদের বিচার কেন্দ্র করে। শিবির মনে করে জামাতই ইসলামের নির্দেশক। এই শিবিররা অতি সরল প্রানের ধর্মভীরু বাঙ্গালী সন্তান ছিল আজ তারা জামাতের/ পাকিস্তানের/ রাজাকারের/ পাপীর মিথ্যের খোলসে আবৃত হয়ে পথ হারা দুষ্ট বালকে পরিণত হল। আজ শিবির বাঙালিদের জন্য আতঙ্ক কিন্তু যদি শিবির নিধনের নামে এদের হত্যা করেন তবে তা তো আমাদেরই ক্ষতি। তাই ইসলামের সত্যিকার আলো দিয়ে শিবিরদের বের করে আনতে হবে আর এই গুরু দায়িত্ব আলেমদের।
শেখ হাসিনার প্রতিঃ শেখ হাসিনা বুদ্দিজিবিদের কটাক্ষ করার দরকার নেই পারলে তাদের বুজিয়ে দিবেন। আপনারা মুক্তিযুদ্ধের শক্তি কিন্তু আপনাদের সময়ের দুর্নীতি কেন হবে? কেন সমালোচনা করার জন্য অন্নকে সুযোগ করে দেবেন। আর ১৪ই ডিসেম্বর ১৯৭১, আমরা হারিয়েছি আমাদের শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্দিজিবিদের তারাই প্রয়োজনে দেশের হাল ধরে। আর এখনও জামাত শিবির সুযোগ পেলে তাদের উত্তর সুরিদের কাজটি তারা করে নেবে। যে সব দুর্নীতিবাজ লুটরাজ তারা কিন্তু খন্দকার মুস্তাকের উত্তর সুরি।
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ কি তারা বুঝে কিন্তু সম্মান করে না। আর মুজিব আদর্শ নামধারি লুটেরা সেই খুনিদের মত। তারাতো চিরকাল স্বার্থের জন্য কাজ করে জনতার জন্য নয়। শেখ মুজিব ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় সমালোচনা করেছে নিজ দলের দুর্নীতিবাজদের। আর বঙ্গবন্ধুর সেই আদর্শ প্রত্যাখ্যান করে তারা বিদ্রহ করে খুন করে বাঙ্গালির শ্রেষ্ঠ সন্তানটিকে।
আর পরে তারাই উল্টো বঙ্গবন্ধুর নামে মিথ্যে অপবাদ তোলে। শেখ হাসিনার মত অন্য কেউ হলে হয়ত আজীবন অভিমান করে থাকতেন। যারা শোকে আহত, সত্যি কথা বলে কিংবা অন্যায় সহ্য করতে পারে না তারা ক্ষুব্ধ মেজাজেই তার সমালোচনা করে এটা স্বাভাবিক আর শেখ হাসিনা এসবের পরও নানা সমস্যায় পড়েছেন। যদি ২১আগস্ট শেখ হাসিনার কিছু হত তবে আজীবন ক্ষমতায় থাকত ঐ দেশদ্রোহী পরাজিত শত্রুরা। তখন আলোচনা হয়নি এসব নিয়ে বুদ্ধিজীবী মহলে।
শেখ হাসিনা সব হারিয়েও হাল ধরেছে বাঙ্গালী জাতির এটাই মুজিব আদর্শ ।
আর খালেদা জিয়া একজন বীরাঙ্গনা এর কথা বুজতে হবে। দেশের সব বীরাঙ্গনা আজ তাদের ইজ্জত হরণকারীদের বিপক্ষে। তাই নারী হিসেবে আপনার ছেয়ে ভালো কেউ বুজতে পারে না তাদের বাথা। আর অতীত স্মরণ করে জাতির জনককে সম্মান করেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।