আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিদগ্ধ আত্মার আর্তনাদ ।

আমৃত্যু তারুন্যের সাধনা করে যেতে চাই । তারুন্যের ঝংকারে পঁচা-দুর্গন্ধময় সমাজের আবর্জনা দূর করে সুন্দর আগামী আমার অনুজদের উপহার দিতে চাই ।

তারুন্যের অনলে জ্বলে পুড়ে ছারখার সচেতন প্রান
বাঁধা-নিষেধের বেড়াজালে, অনবরত রোষের যোগান ।
উন্মত্ত রাগে চাঁপা ক্রোধে যবে ফুঁসে উঠে প্রান
বারবার দৃষ্টিপানে আঘাত হানে মায়া-মমতা পিছুটান ।
বিদ্রোহের তপ্ত আগুন আর স্বজনের ভালবাসার মানা
আপোষে আসে না কোনমতে, থামে না দগ্ধ হৃদয়-যাতনা ।



তিলে তিলে সমাজের অবক্ষয়, দানবরুপী মানবের মুঠিতলে
সভ্য-শালীন সমাজ আজ বিলীন, দানবীয় হিংস্রতার ছোবলে ।
পিশাচরুপী শাসকসমাজের পৈশাচিক কামনার বলি,
নিঠুর বিধির বিধানে গলিপথ-রাজপথে ভায়ে-ভায়ে রক্তের হোলি ।
রক্তশুষার মনোবাসনা পূরনে লাঠি আর বুটের পেষনে পিষ্ট মুক্তকণ্ঠ
অতৃপ্ত রক্তপিপাসু, বুলেট নৃত্যে রক্তের উৎসবে ক্ষ্যান্ত নয় ; আরো অশান্ত ।
চর্মচক্ষে অপলক চেয়ে প্রতিনিয়ত বিদ্রোহী হয়ে উঠে প্রান
চায়, অনাচার অবসানে বিপ্লবে সংগ্রামে আপনারে দিতে বলিদান ।
অটুট সংকল্পে চিড় ধরায় শুভাকাংখী হতে উৎসুখ উদগ্রীব বারণ-মানা
উত্তপ্ত অনলে দগ্ধ হৃদয়ে ভর করে দ্বন্ধ-হাহাকার যাতনা ।



শেকলাবদ্ধ স্বাধিকার ডান্ডাবেড়ীতে লুন্ঠিত মানবধিকার
কারার ঐ লৌহ খাচা যেন অত্যাচারীর পীড়ন কারাগার ।
অমানুষিক অমানবিক নির্যাতনে ভূলুন্ঠিত ভূপাতিত মানবতা
অনাচার অবগাহনে আন্দোলন দমনে শাসকের অনমনীয় কঠোরতা ।
লাঠিয়ালদের লেলিয়ে দিয়ে দর্শকের ভূমিকায় স্বেচ্ছাচারী অধিপতি,
ক্ষয়ে যাওয়া সমাজে স্নেহ-মায়া প্রীতি যেন বিরল প্রজাতি,
রুঢ় মানবিকতার আবরনে ভদ্রতা-শিষ্টাচার বিলুপ্ত প্রায় ;
দানবীয় পৈশাচিকতার আভায় সর্বত্র নিষ্ঠুর নির্মমতা ছায় ।
দ্রোহের দহনে দগ্ধ প্রানে তপ্ত হয়ে কেঁপে উঠে বারবার
তখনি নিষেধ ধ্বনি কর্ণে তোলে উত্তপ্ত শীসার ঝংকার ;
বিয়োগ বেদনার ভয়ে স্বজনের অনুরোধ মেশানো মানা
নির্ভীক সোচ্চারতা ত্যাগে অন্যায় সনে আপোষ মেনে জীবন্মৃত বাঁচার স্বান্তনা ।

সত্যের অপলাপ বিকৃতরুপ দেখে কিছু বলতে মানা,
আড়ষ্ঠতাহীন মিথ্যা শ্রবনে প্রতিবাদ করা যাবে না,
কিছু বলা যাবে না অন্যয্যা অযৌক্তিক দাবীর বিপক্ষে,
নিরীহ জনগনে নির্মম নিপীড়ন চেয়ে থাকি নির্বাক অপলকে ;
মাজলুমের আর্ত-চিৎকার ধ্বমনি জুড়ে হুংকার তোলে
বিদ্রোহ করে প্রান ; তবে পরক্ষনে নিশপিশ হাতে চেয়ে রয় শূন্য দৃষ্টি মেলে ।



নিজ অক্ষমতায় অনুতপ্ত হয়ে কেঁদে উঠে প্রান
কাপুরুষতায় সুপ্ত পৌরুষত্ব, ভীরুতারই জয়গান ;
ক্ষনে ক্ষনে ক্লীব অপবাদের অপঘাতে ক্ষত-বিক্ষত অন্তঃপুর
অগ্রহনযোগ্য মৌনতায়, আপনারে ধিক্কারে আপনাতেই ভেঙ্গে চুর ।
গুরুজনের নিষেধের শৃংখল ভেঙ্গে উচ্ছৃংখল হতে পারিনি,
অত্যাচারী জনে আপোষ না মেনে আপোষহীন হয়ে উঠা হয়নি ।
দগ্ধতার জ্বালা বয়ে আর্তনাদ-হাহাকারে প্রানখানি পুড়ে অঙ্গার
অন্তর্দ্বন্ধের জেরে হতাশায় মুষড়ে বুকে জমে বেদনার পাহাড় ।
ছাইচাপা রোষের আগুনে দগ্ধ হওয়ার কি যে যন্ত্রনা !
বুঝত যদি স্বজন ; তবে দিত না কভু নিষেধ-মানা'র যাতনা ।


_________######___________



অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.