আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হয়ে উঠুন আত্মবিশ্বাসী!



হ্যাঁ বোধক যেকোনো কাজ, কথা, শব্দ শুনতে কার না ভাল লাগে? কিন্তু, জীবনাচরণের বাস্তবতা হল, অনেকক্ষেত্রে, অনেকসময় আপনি আপনার আশানুরূপ সাফল্য অর্জনে ব্যর্থ হন। তখন সামান্য হলেও চিড় ধরে আপনার আত্মবিশ্বাসে, দীর্ঘদিন এইরকম চলতে থাকলে আপনার আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি পরতেই পারে। তাইবোলে, হতাশ হলে চলবে না, জীবনে নানা কারনেই হতাশা আসতে পারে। আর মনে হতাশা ভর করলে ধীরে ধীরে কমে যায় আত্মবিশ্বাস। যে কেউ এই সমস্যার সম্মুখীন হতে পাড়েন, কিন্তু আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেললে হতাশা কমে না, বরং আরও বেড়ে যায়।

আত্মবিশ্বাসবিহীন মানুষ সকলের কাছেই করুণার পাত্র। এছাড়াও আত্মবিশ্বাস না থাকলে মানুষ নিজেকে অনেক অসহায় মনে করে। কোন কাজে মনোযোগী হতে পারে না। সব সময় নিজেকে ছোট ভাবে। জীবনের ব্যর্থতার গ্লানিতে ডুবে থাকে।

নিজের ডেকে আনা এসব দুঃখ ও হতাশাকে দূর করতে বাড়ানো দরকার আত্মবিশ্বাস। মানুষ অনেক সমস্যার সমাধান শুধুমাত্র নিজের মনের জোরেই করে ফেলতে পারে যা আত্মবিশ্বাসহীন মানুষ যোগ্যতা থাকলেও করতে পারে না। তাই সবার জন্যই আত্মবিশ্বাসী হওয়া অনেক জরুরী।



জীবনে সব সময়ই যে সুখ থাকবে তা কিন্তু নয়। জীবন সুখ দুঃখ মিলিয়েই।

আপনার কিছু অপূর্ণতার জন্য হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়লে আত্মবিশ্বাস কমে যাবে। দুঃখ যাবে না। ‘আমাকে দিয়ে কিছু হবে না, কিছুই করতে পারলাম না’ তাহলে শুধু নিজেকে কষ্টই দেয়া হবে। আজকে থেকে ইতিবাচক চিন্তা শুরু করুন। ‘কিছুই হবে না আমাকে দিয়ে’ এই ধরনের চিন্তার বদলে ‘আমাকে দিয়ে অনেক কিছুই হওয়া সম্ভব’ এই ধরনের চিন্তা করুন।

নেতিবাচক ঘটনাকেও ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখার চেষ্টা করুন। আত্মবিশ্বাস বাড়বে। তখন সবকিছুই মনে হবে ইতিবাচক।



কুয়োর ব্যাঙের মত জীবন যাপন করলে আত্মবিশ্বাসহীনতায় ভুগতে পারেন অনেকেই। নিজের গণ্ডির বাইরে চিন্তা করুন।

নিজের আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর সব চাইতে ভালো উপায় হচ্ছে নিজের জ্ঞান বাড়ানো। গবেষণা করে নতুন নতুন জিনিষ জানার চেষ্টা করুন। নিজেকে যত বেশি জ্ঞানী করে তুলতে পারবেন ততই আত্মবিশ্বাস বাড়বে। নিজেকে আত্মবিশ্বাসে ভরপুর করে পৃথিবীর মুখোমুখি হতে পারবেন। শুধু নির্মল জ্ঞানের চর্চা আপনাকে অনেকদূর পর্যন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে করে তুলতে পারে আত্মবিশ্বাসী।







সুবিধাবঞ্চিত কিংবা বিপদে পড়া মানুষকে সাহায্য করার মনোভাব তৈরি করুন। আত্মবিশ্বাস পুনরায় ফিরে পেতে অথবা আত্মবিশ্বাস বাড়াতে এটি অনেক কার্যকরী একটি উপায়। সুবিধাবঞ্চিত কিংবা দুর্যোগ/ দুর্ঘটনার শিকার বিপদে পড়া মানুষকে সাহায্য করলে মন থেকে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী হওয়া যায়। মনের ভেতরে নিজেকে নিয়ে গর্ব সৃষ্টি হয়। এইরকম স্বেচ্ছাসেবা মূলক কাজে নিয়োজিত করেই দেখুন না নিজেকে কতটা আত্মবিশ্বাসী লাগে।







নিজের দৈনন্দিন কিছু কাজে পরিবর্তন এনেও আপনি নিজেকে আরও আত্মবিশ্বাসী করতে পারেন। প্রতিদিনের রুটিন বদলে ফেলুন। গৎবাঁধা কাজ গুলোতে পরিবর্তন আনুন। প্রতিজ্ঞা করুন দিনে অন্তত একটি ভালো কাজ করবেন, অথবা অন্তত একজনকে সাহায্য করবেন নিজের সাধ্য অনুযায়ী। এমনকি কারো সাথে কিছুক্ষণ হাসিমুখে কথা বললেও নিজেকে অন্যরকম মনে হবে।

মুখের হাসি যেন কখনও হয় না অমলিন।





সকাল শুরু করুন স্নিগ্ধ আলোয় শারীরিক কিংবা যোগ ব্যায়ামের মাধ্যমে। সারাদিনের কাজের জন্য নিজেকে কর্মক্ষম করে নিলে পুরো দিনেই নিজেকে আত্মবিশ্বাসী পাবেন। ডাক্তারদেরও একই অভিমত। সকালে মাত্র ১০/১৫ মিনিটের যোগ ব্যায়াম মানুষের মনকে প্রফুল্ল রাখে ও আত্মবিশ্বাসী করে তুলতে সাহায্য করে।

সকালে ঘুম থেকে উঠে ব্যায়ামের অভ্যাস করুন। মনের গ্লানি অনেকাংশেই দূর হবে।







সবথেকে বড় ব্যাপার হল, আত্মবিশ্বাসী হওয়ার জন্য দরকার আপনার ইচ্ছা, আপনি যদি আজ থেকে সিদ্ধান্ত নেন, তবে, নিমেষেই আপনি হয়ে উঠতে পারেন আত্মবিশ্বাসী।




অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.