আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সমকামিতা কি কোনো মানসিক ব্যাধি ?



দেশে এক শ্রেনীর সুশীলেরা মিলে ঢাকায় ঘটা করে রূপবান নামের গে ম্যাগাজিনের প্রকাশনা চালু করলো গতকাল। ৯০% মুসলিমের দেশে প্রকাশ্যে সমকামি পত্রিকার প্রকাশনা চালু হলো। দেশের পত্রিকাগুলো ঘটা করে রিপোর্টও করলো।

সামাজিক পরিবেশ মানুষকে সভ্যতা শেখায়, শালীনতা শেখায়, কার সাথে কি সম্প থাকতে হবে সেটা শেখায়। যারা সঠিক সামাজিক শিক্ষা ও পারিবারিক মূল্যবোধ নিয়ে বেড়ে উঠে তারা স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠে এর যাদের বেড়ে উঠা দুঃসহ তারা সমাজের মেইনষ্ট্রিম থেকে আলাদা হয়ে যায়।

সাইকোলোজিকাল নানা টানাপোড়েন নিয়ে বেড়ে উঠার কারনে দেশে প্রচুর গে , বাইসেক্সুয়াল, লেসবিয়ান আছে সেটাও মানলাম কিন্তু তাই বলে সমাজের এই কুৎসিত চেহারাটাকে জায়েজ করার জন্য গে ম্যাগাজিন বের করতে হবে এমন ধারনা নিয়ে থাকা অসুস্থ সুশীলদের সঠিক চিকিৎসা প্রয়োজন।

আমি আমার জীবনের একটা ঘটনা আজ শেয়ার করছি। আমার এক ফ্রেন্ড ছিলো / আছে। একদিন আমি তার সাথে কথা বলছিলাম। সে আমার দিকে চেয়ে চেয়ে কথা শুনছিলো।

হঠাৎ সে আমার জিন্স প্যান্টে হাত রাখলো। আমি ব্যাপারটাকে প্রথমে ইগনোর করলো। কিছুক্ষন পড়ে তার হাত আমার জিপারের উপর রাখার চেষ্টা করলো। আমি তখন বললাম , ওই হারামজাদা তুই কি করছ। সে আমাকে কিস করতে চাইলো।

সে বলে , দোস্ত জানিস, তুই না খুব সুন্দর, এত কিউট ছেলে। একটা কিস দিতে ইচ্ছা করছে। এই কথা শুনে আমি সাথে সাথে সেখান থেকে উঠে গিয়ে বলি আজকের পর থেকে তুই আমার সাথে কোনো কনটাক্ট করবি না। এই কথা বলে চলে আসি। অনেকদিন পরে একদিন সে আমাকে ফোন দিয়ে বলে , সে খুব সরি।

ঐদিন নাকি সে খুব ডিপ্রেসড ছিলো। তাই মুখে যা এসেছে সেটাই বলে দিয়েছে। সে লজ্জিত। আমি কিছুটা স্বাভাবিকভাবে রিপ্লাই দিলাম। তার সাথে সরাসরি কথা হলো।

তাকে জিজ্ঞেস করলাম, তুই যে হোমো তোর স্বভাব চরিত্রে সেটা বুঝার কোনো উপায় নাই। তুই কি ছোটবেলা থেকেই এমন। সে বললো, সে নাকি ছেলে ও মেয়ে দুই লিঙ্গের প্রতিই আকর্ষনবোধ করে তবে ছেলেদের প্রতি বেশি। আমি শুনে বললাম, তুই ডাক্তার দেখা। সে বললো, তার নাকি লজ্জা লাগে এইসব ডাক্তারের কাছে বলতে।

আমি বললাম, আমার এক ফ্রেন্ডের পরিচিত এক মহিলা নিউরোলোজিস্ট আছে। অনেক ভালো ডাক্তার। অ্যাপোয়েন্টমেন্ট নিয়ে তাকে নিয়ে গেলাম। নিউরোলোজিস্টের কাছে আমিই সব কিছু খুলে বললাম। ডাক্তার সবকিছু শুনে, পরে একা তার সাথে কথা বলে বলে আমার এই ফ্রেন্ডের নাকি কোনো সমস্যাই নেই।

সে বাইসেক্সুয়াল কিন্তু তার প্রেফারেন্স হচ্ছে হোমোসেক্সুয়ালিটি। এটা নাকি কোনো মানসিক ব্যাধি না। কিন্তু এই ফ্রেন্ড যে হোমো / বাই সেটা জানার পর ও ডাক্তারের কাছে নেয়ার পরেও আমি তাকে এর আগের মতো দেখি না। একটা দুরত্ব বজায় রাখি। বলা যায় না, কোন মুহূর্তে সে আবার ঐ কান্ড করতে চায়।

তবে আমি তাকে ঘৃনা করি না। হয়তো আগের মতো আড্ডা দিই না কিন্তু যতটুকু বন্ধুত্বপূর্ন সম্পর্ক বজায় রাখা দরকার ততটা রাখি।


আমি বুঝি না, ইসলাম ও খ্রিষ্ট ধর্মে কেনো হোমোসেক্সুয়ালদের হত্যার বিধান আছে। কোরআন শরীফে সরাসরি না থাকলেও হাদীস শরীফে পাওয়া যায় মহানবী (সাঃ) বলেছেন, যারা সুডোমি (হোমোসেক্স) তে জড়িত উভয়কেই হত্যা করো। আবার বাইবেলে ঈশ্বর বলেন, যদি দুই পুরুষ বা দুই নারীকে একসাথে শোয়া অবস্থায় পাওয়া যায় তাদের দুইজনকেই হত্যা করো।

এখানে শোয়া অবস্থায় বলতে হোমোসেক্সকে বুঝানো হয়েছে।

ডাক্তারদের কথা অনুযায়ী সেক্সুয়াল ওরিয়েন্টেশনের উপর নাকি কোনো মানুষের নিয়ন্ত্রন নেই। যেই জিনিসের উপরে মানুষের নিয়ন্ত্রন নেই সেই জিনিসের জন্য তাকে মেরে ফেলতে হবে এটা মানতে পারলাম না।

দ্যাখেন, বাংলাদেশে কি পরিমান গে, বাইসেক্সুয়াল , লেসবিয়ান আছে। আমি তো পুরা শকড।

এই ডকুমেন্টারী ছবি নাকি ২০১২ সালে আন্তর্জাতিক পুরষ্কার পেয়েছে।



এর অ্যামেলিয়া ম্যালটেপের খবর নিশ্চয়ই ফেসবুকের কল্যানে জেনেছেন। বাংলাদেশি এক যুবক 'আদেশ' কানাডায় গিয়ে সেক্সচেঞ্জ সার্জারী করে এখন নারীতে পরিনত হয়েছে। তার স্বপ্ন এখন মিস ওয়ার্ল্ড হওয়ার।

আসলেই আমাদের পৃথিবীটা খুব অদ্ভুত।

প্রতিনিয়ত কত ধরনের অপ্রিয় খবরের মুখোমুখি হতে হয়।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ৪০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।