কোনো পত্রিকায় সংবাদ ছাপা হলে তার জন্য দায়ী থাকেন সম্পাদক-প্রকাশক। ভুল সংবাদের জন্য জবাবদিহি করতে হয় তাদের। সংবাদপত্র নীতিমালায় এটাই আছে। এর জন্য সাংবাদিক দায়ী নয়। ইনকিলাবের সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সরকার যে ব্যবস্থা নিয়েছে তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন নিউ এজ পত্রিকার সম্পাদক নূরুল কবীর।
মঙ্গলবার বাংলাভিশনে নিউজ অ্যান্ড ভিউজ টকশোতে অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। গোলাম মোর্তোজার সঞ্চালনায় টকশোতে আরও অংশ নেন অধ্যাপক মেসবাহ কামাল। সঞ্চালকের প্রশ্নের জবাবে নূরুল কবীর বলেন, ইনকিলাবের বিরুদ্ধে যে প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য বন্ধ করা হয়েছে সেই ডকুমেন্টগুলো ৮/১০ দিন আগে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। দেশের লাখ লাখ মানুষ এটি দেখেছেন। রাষ্ট্রীয় কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে প্রযুক্তি মাধ্যমে প্রকাশিত হলে বিটিআরসি পর্যবেক্ষণ করার কথা।
৮/১০ দিন পর একটি পত্রিকা ছেপেছে। সেই প্রতিবেদনে বিএনপি নেতাদের বক্তব্য ছিল। সেখানে তারা যা বলেছেন, সরকারের খতিয়ে দেখা উচিত। ইনকিলাব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কথাও উল্লেখ করেছে। তিনি বলেন, প্রকাশিত বিষয়টি পত্রিকায় প্রকাশ করলে তারা কোনোভাবেই দায়ী হতে পারেন না।
এদেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একজন ব্যক্তি সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করলে পুলিশ-র্যাব গ্রেফতার করে শাস্তি দেয়। সেই দেশে এতদিন বসে বিটিআরসি কী করেছে? তারা এখানে কেন দায়িত্ব পালন করেনি? তিনি আরও বলেন, কোনো পত্রিকায় প্রতিবেদনে কিছু ভুল হলে তার জন্য সম্পাদক, প্রকাশককে দায়ী করতে হবে। কোনোভাবেই সাংবাদিককে নয়। এরপরেও কেউ দায়ী হলে সে জন্য পত্রিকা বন্ধ করে দিতে হবে কেন? এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। নূরুল কবীর বলেন, এই ইনকিলাব একসময় আওয়ামী লীগকে সার্ভিস দিয়েছে।
তাদের পক্ষে অনেক অযৌক্তিক পক্ষপাতিত্ব করেছে। ঝামেলাটা হয়েছে মতিঝিলের হেফাজতে ইসলামের সমাবেশকে কেন্দ্র করে। তারপর থেকেই ইনকিলাবের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সম্পর্কে ফাটল ধরে।
নিউ এজ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি নেত্রী তাদের দুই ছেলেকে রাজনীতিতে আনতে চেষ্টা করছেন। দুই নেত্রীকে তাদের পূর্বসূরিরা নিয়োজিত করেনি।
বাধ্য হয়ে রাজনীতিতে এসেছে পূর্বসূরিদের সিম্বল হিসেবে। সর্বশেষ নির্বাচনের আগে ও পরে তারেক ও জয়ের মন্তব্য একই ধরনের। তারেক বলেছেন, এই সরকার অবৈধ তাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা নয়। আবার জয় বলেছেন বিএনপিকে নিষিদ্ধ করে দেওয়া উচিত। দুজনই যে দেশের বাস্তবতা মানেন না বা বোঝেন না এটা পরিষ্কার।
দুইজনের উত্থান সম্পর্কে সবাইকে সচেতন হওয়া উচিত।
তিনি বলেন, ভারত আমাদের কাছে থেকে সুবিধা নেয় কিন্তু বাংলাদেশের জন্য কিছুই করে না। রাষ্ট্র হিসেবে ভারতে সঙ্গে এদেশের মানুষের কোনো সম্পর্ক নেই। তবে আওয়ামী লীগের আছে। বর্ডার, নদী, সীমান্ত বিরোধ নিয়ে কোনো সমাধান আমরা পাইনি।
ভারতের দিক থেকে সুবিধা আওয়ামী লীগ ভোগ করছে। জনগণের স্বাধীনতার সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই।
তিনি বলেন, আসাদুজ্জামানের গাড়িবহরে হামলাকারী অভিযুক্তদের লাশ পাওয়া আমাদের আইনের শাসনের জন্য ভয়াবহ ইঙ্গিত। এটা কোথায় গিয়ে শেষ হয় তা নিয়ে শঙ্কার বিষয় আছে। আজকে যারা শাসক তারাও এই ঘটনার শিকার হতে পারেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।