আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সম্প্রতি দেখা ৪ টি হরর মুভিঃ

আমি দুয়ার খুলে বের হয়ে জোছনা ধরতে যাই। আমার হাত ভরতি চাঁদের আলো ধরতে গেলে নাই!


রোমান্টিক, ফ্যান্টাসি, যুদ্ধের মুভিগুলোর সাথে সাথে “হরর” মুভিও সবসময় ভালো লাগে। সেই ধারাবাহিকতায় দেখে ফেললাম চারটি মুভি। সবগুলোই ভালো লেগেছে। এখনও না দেখে থাকলে শুরু করে দিতে পারেন।


১. গ্রেভ এনকাউণ্টারঃ [২০১১]
২০১১ সালে মুক্তি পাওয়া কানাডিয়ান-আমেরিকান হরর মুভি। মুভিটি মূলত “ফাউণ্ড ফুটেজ”
জেনারের। গ্রেভ এনকাউণ্টার নামে একটি ভৌতিক রিয়ালিটি শো এর ষষ্ঠ পর্ব ধারণের জন্য এর সদস্যরা বেছে নেয় ১৯৬৩ সালে বন্ধ হয়ে যাওয়া একটি মানসিক হাসপাতালকে। এই হাসপাতালটিতে বন্ধ হবার পূর্ব পর্যন্ত প্রায় ৮০০০০ মানসিক রোগীকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছিলো। এবং বন্ধ হয়ে যাবার পর থেকে এখানে অনেক ভৌতিক কর্মকাণ্ডের গুজব শোনা যেতো।

নির্দিষ্ট দিনে ঐ দলের সবাইকে সেই হাসপাতালের কেয়ারটেকার দলের নির্দেশমতো একদিনের জন্য তাদের ঐ বিশাল হাসপাতালে বন্ধ করে রেখে যায়। শুরু হয় তাদের ঐ হাসপাতালে অলৌকিক জিনিসের খোজে এগিয়ে যাওয়া। কিন্তু কিছুক্ষণ পর থেকেই শুরু হতে থাকে ভয়াবহ সব ঘটনা। অনেক বেশি ভয় পেয়েছিলাম মুভিটা দেখে। শেষ পর্যন্ত না দেখে উঠতে পারবেন না।

এখনই বসে পড়ুন।



২. গ্রেভ এনকাউণ্টার ২ঃ [২০১২]
পূর্বের মুভির দ্বিতীয় পর্ব। যথারীতি এইটাও “ফাউণ্ড ফুটেজ” জেনারের। ঘটনাস্থল একই মানসিক হাসপাতাল। গ্রেভ এনকাউণ্টার দলের পরিণতির কথা কি সত্য নাকি নিছক বানানো কোনও মুভি? শুধুমাত্র এইটা পরীক্ষা করবার জন্যই একদল চলচ্চিত্র বিষয়ে অধ্যয়নরত ছাত্রছাত্রী সেই অশুভ মানসিক হাসপাতালে ক্যামেরা সহ অন্যান্য সরঞ্জাম নিয়ে অনেকটা মজা করবার জন্যই ঢুকে যায় সেইখানে।

কিন্তু কিছুক্ষণ পড়েই ঘটনা অন্যদিকে মোড় নেয়। এটাও যথারীতি প্রথমটার মতো এক বসায় দেখে ফেলবার মতো। তবে এই মুভির শেষের টুইস্টটা মারাত্মক ছিল।



৩. ডেভিলঃ [২০১০]
২০১০ এ মুক্তি পাওয়া আরেকটি অসাধারণ টুইস্ট হরর মুভি। মুভির শুরুতেই স্ক্রিনে বাইবেলের একটি লেখা ভেসে ঊঠে ঃ “Be sober, be vigilant; because your adversary the Devil walks about like a roaring lion, seeking whom he may devour.”
ফিলাডেলফিয়ার একটি বাণিজ্যিক ভবনে সকালের সকালের কর্মব্যাস্ততায় ভবনের লিফট এ ৫ জন মানুষ উঠে।

যার মধ্যে তিনজন পুরুষ, একজন নারী এবং একজন বৃদ্ধা। কিছুক্ষণ পড়েই লিফট এ যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা দেয় এবং একসময় পুরো লিফট অন্ধকারে ঢেকে যায়। ঠিক সেই মুহূর্তেই একজন খুন হয়। এরপর কিছুক্ষণ বিরতির পড়েই একজন একজন করে খুন হতে থাকে। কে খুনগুলো করেছিল? কেন করেছিল? আরেকটি উপভোগ্য টুইস্ট হরর মুভি।




৪. দ্যা ব্লেয়ার উইচ প্রজেক্ট ঃ [১৯৯৯]
এখন যে “ফাউণ্ড ফুটেজ” হরর মুভিগুলো দেখা যায় তার শুরু মূলত হয়েছিল ১৯৯৯ সালে মুক্তি পাওয়া “দ্যা ব্লেয়ার উইচ প্রজেক্ট” এর মাধ্যমে। ১৯৯৪ সালে চলচ্চিত্রের বিষয়ে অধ্যয়নরত হিদার দোনাহ, জশুয়া লিওনারড এবং মাইকেল উইলিয়ামস মেরিল্যান্ড এর বারকেটসভিল নামক এক ছোট্ট নির্জন শহরে “ব্লেয়ার উইচ” নামক স্থানীয় উপকথার উপর ডকুমেন্টারি ফিল্ম বানাতে আসে। একসময় তারা স্থানীয়দের সাক্ষাৎকার নেবার পরে ব্ল্যাক হিল নামক এক নির্জন বনে নিজেরাই এর সত্যতা খুঁজতে যায় এবং তাদের পথ হারিয়ে ফেলে। এরপর কি হয়? তারা কি ফিরে আসতে পেরেছিল? ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট এর এই মুভিও এক বসায় দেখে ফেলবার মতো।




 


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.