আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভালোবাসা ডট কম. . . . পহেলা ফাল্গুনে আসছে বইমেলায়...



ভালোবাসা ডট কম। প্রকাশিত হচ্ছে বাংলাদেশ রাইটার্স গিল্ড থেকে। ২০১২তে প্রকাশিত হওয়ার কথা ছিল। প্রচ্ছদ রেডি, কিন্তু অনিবার্য কারণ বশত: প্রকাশিত হলো না। ভালোবাসা ডট কম, এবার আসছে, বইমেলায়, ১৩ ফেব্রুয়ারি,ফাগুনের প্রথম দিনে ।

২০১২, এর ভ্যালেন্টাইনস ডে-তে প্রকাশিত হয়েছিল আত্মদহন, আর এবার ভালোবাসা ডট কম।
সামুর বন্ধুদের জন্য নির্বাচিত কিছু অংশ .....

আশিক থাকে খুলনা মেডিকেল কলেজের ছাত্র হলে। এটাই কলেজের সবচেয়ে পুরোনো হল। রাতে শুয়ে শুয়ে রাসেলের কথা ভাবছিল। আশ্চর্য ব্যাপার স্কুল লাইফের স্মৃতি তার কিছুই মনে পড়ছে না।

রাসেলকে নিয়ে তার কোনো স্মৃতি নেই। তার স্মৃতি শক্তির উপরে তার আস্থা ছিল সব সময়। কিন্তু আজকের ঘটনা তার সব বিশ্বাস ভেঙ্গে দিচ্ছে। স্কুলে তো এতো আন্তরিক কোন বন্ধু ছিল না। স্কুলে আন্তরিকতা না থাকলেও পরে অনেকের সাথে আন্তরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

তেমনই হবে। সায়মার সাথে তার প্রেমের বিষয়টা একটু অন্যভাবেই গড়ায়। সায়মার বাবা-মায়ের ইচ্ছা ছিল মেয়েকে ডাক্তারি পড়াবে। তাদের আন্তরিক ইচ্ছাও ছিল। আশিকের খালার বাসা খুলনায়।

সায়মাদের বাড়িটা তার খালার বাড়ির পাশেই। দুই পরিবারের মধ্যে হৃদ্যতাও আছে। সায়মার মা মেয়েকে স্পেশালি কোচিং করাতে চাচ্ছিলেন, আশিকের খালা-ই তখন আশিকের কথা জানায়। আশিক দেখতে খুবই লাজুক আর ভদ্র গোছের। কিশোরী একটা মেয়েকে পড়াতে হবে জেনে তার একটু ভয় ভয় লাগছিল আবার মনের মধ্যে অজানা শিহরণের দোলাও লাগছিল।

খালার কথার অবাধ্য না হয়ে রাজি হয়ে গিয়েছিল। প্রথম প্রথম মুখ তুলে তাকাতে তার লজ্জা করত। সায়মাই প্রথম তার লজ্জা ভাঙ্গিয়েছিল।
আপনার অবস্থা দেখলে মনে হচ্ছে জীবনে কখনো মুখ তুলে তাকাননি?
আশিক অপ্রস্তুত হয়ে বলে
না না তাকাবো না কেন?
তাহলে এমন করছেন কেন?
কেমন?
আমার দিকে চোখ তুলে তাকাচ্ছেন না কেন?
কই তাকাচ্ছি তো।
আপনার পরিবারে কি কোনো মা বোন নেই?
মা আছে তো।


বোন নেই?
না।
চাচাতো মামাতো ফুপাতো তিন কুলে কোনো বোন নেই?
আছে।
তা হলে মেয়ে তো আর প্রথম দেখছেন না।
না। প্রথম দেখব কেন?
তা হলে আমার দিকে চোখ তুলে তাকাচ্ছেন না কেন?
আশিক প্রথম বারের মত চোখ তুলে তাকালো এবং প্রচণ্ড অবাক হলো।

সায়মার মুখাবয়বকে সে কোনো তুলনা করতে পারে না। আশিক লাজুক প্রকৃতির ছেলে হলেও প্রচুর ফিল্ম দেখার অভ্যাস ছিল তার। বিশেষ করে, পরীক্ষার পরের ছুটিতে সে শ’খানেক ইংরেজি-হিন্দি ছবি দেখেছে। ছবিগুলোতে নায়িকার দেহ সৌষ্ঠব থাকে কৃত্রিম, মেকাপ করা। কিন্তু সায়মার মুখাবয়ব দেশী বিদেশী এমনকি প্রতিবেশী কোন দেশের নায়িকার সাথে মেলে না।

সে যেন অন্য সবার চেয়ে আলাদা। ভীন্ন রূপ ভীন্ন বৈশিষ্ঠ, এমন কোন নারীর মুখ আগে সে আর দেখেনি। আপাত লাজুক প্রকৃতির আশিক সিনেমাতে ভালো দখল তার। সিনেমার যে কোন নায়িকার চেয়ে সে সুন্দর। এই মেয়েটি যদি সিনেমা করত, বাংলাদেশের চলচ্চিত্র হলিউডি মানের একজন নায়িকা পেত, অভিনয়ে কতদূর যাবে সে জানে না, তবে চেহারায় যে সবাইকে ছাড়িয়ে যাবে তা নিশ্চিত।


দেখতে দেখতে ১৪ ফেব্র“য়ারি চলে এলো। রাসেলের সেই কাঙ্ক্ষিত দিন। নিউমার্কেটের সামনে রাসেল আগে থেকেই অপেক্ষা করতে থাকলো। সায়মা এলো বাসন্তি রং শাড়ি পরে। বাংলাদেশে ফাগুন মাস যেন উৎসবের উপলক্ষ।

পহেলা ফাল্পুন বসন্তের শুরু। দ্বিতীয় ফাল্গুনে ভ্যালেন্টাইনস ডে। পর পর দু’দিন। তরুণ-তরুণীদের ভেসে যাওয়ার দিন। সায়মা এলো বাসন্তী রং শাড়ি পরে।

বিশেষভাবে ডিজাইন করা ব্লাউজ। হাতাটা হাফ স্লিভ আর স্লিভলেসের মাঝামাঝি। পিছন দিক থেকে তাকালে ধবধবে শাদা পিঠের অনেকখানিই উন্মুক্ত। বাটনলেস ব্লাউজ। পিঠের ওপাশে একটা রশি দিয়ে বাঁধা।

মেয়েদের যৌবন খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখা রাসেলের একটা অভ্যাস। বন্ধুরা বলে বদ অভ্যাস।
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.