নাদাল, ফেদেরার, জকোভিচ কিংবা মারে। গ্র্যান্ড স্লাম উইনার বলতে পুরুষ এককে এই চারজনকেই বুঝায়। ২০০৯ সালে নাদাল, ফেদেরার ও জকোভিচের ফাঁক গলে উইনারের তালিকায় নাম তুলেছিলেন আর্জেন্টাইন হুয়ান মার্টিন দেল পুত্রোও। ফেদেরারের বিপক্ষে দেল পুত্রোর জয়টাকে অঘটন হিসেবেই চিহ্নিত করা হয়। গতকাল বিগ ফোরের রাজত্বে প্রবেশ করলেন আরও একজন বিজয়ী।
স্ট্যানিসলাস ভ্যাভরিঙ্কা। অস্ট্রেলিয়া ওপেনে পুরুষ এককের শীর্ষ বাছাই রাফায়েল নাদালকে ৬-৩, ৬-২, ৩-৬, ৬-৩ গেমে এক রকম উড়িয়েই দিলেন রজার ফেদেরারের এই স্বদেশি! দৃশ্যটা বড় করুণ। রাফায়েল নাদাল হেরে গেছেন অষ্টম বাছাই ভ্যাভরিঙ্কার কাছে! দ্বিতীয় সুইস হিসেবে গ্র্যান্ডস্লাম শিরোপা জয়ী ভ্যাভরিঙ্কার কাছেও বোধ হয় বিষয়টা কেমন খটকা লাগল। শেষ সেটটা জিতেও তাই উল্লাসে মাততে পারলেন না একজন চ্যাম্পিয়নের মতো। নাদাল তার প্রিয় বন্ধু বলেই কি! ম্যাচ শেষে কোর্ট ছাড়ার সময় নাদালকে ঘন ঘন পিঠ চাপড়ে সান্ব্তনা দিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে এসেও বেশ কিছুক্ষণ গুনগান করলেন বন্ধু নাদালেরই। এতকিছুর পরও শেষ পর্যন্ত তিনিই বিজয়ী। সত্যিটা হলো, ভ্যাভরিঙ্কা হানা দিয়েছেন নাদাল-ফেদেরার-জকোভিচ-মারেদের রাজত্বে। সেই সঙ্গে ভ্যাভরিঙ্কা সত্যি প্রমাণ করলেন রজার ফেদেরারের ভবিষ্যদ্বাণী। অস্ট্রেলিয়া ওপেন শুরুর আগে ফেদেরার বলেছিলেন, 'সেরা দশের যে কোনো তারকাই নাদাল-জকোভিচ-মারেকে হারানোর সামর্থ্য রাখে।
' টানা ষোলটি গ্র্যান্ড স্লাম ওপেনে রাজত্ব করেছেন নাদাল, জকোভিচ, ফেদেরার ও মারে। এর মধ্যে নাদাল একাই জিতেছেন ৭টি! জকোভিচ জিতেছেন ৫টি। ফেদেরার ও মারে জিতেছেন ২টি করে। ষোলটি গ্র্যান্ড স্লাম ফাইনালের পর একজন নতুন চ্যাম্পিয়নকে পেল টেনিস ভক্তরা। তবে এর মধ্যে দুঃখ দেখা দিলে নাদাল ভক্তদের জন্য।
১৪তম গ্র্যান্ড স্লাম জিতে পিট সাম্প্রাসকে স্পর্শ করতে পারতেন নাদাল! ভক্তদের মনের ব্যথা বুঝতে পেরেছেন ইনজুরি আক্রান্ত নাদাল। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বললেন, 'আমি আপনাদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি। আপনারা আমাকে সমর্থ দিয়েছেন। কিন্তু আমি পারিনি। '
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।