আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে দেশের বাইরে ভ্রমণের কথা উঠলে সবার আগে উচ্চারিত হয় যে দেশটির নাম, তা হলো ভারত। পর্যটনকে কেন্দ্র করে অনেকদূর এগিয়েছে দেশটি। আর আমাদের দেশের পর্যটকরা ভারত ভ্রমণ শুরু করেন কলকাতার মাধ্যমে। কারণ যোগাযোগ মাধ্যম ও ভাষাগত সুবিধার জন্য সবার পছন্দের শীর্ষে থাকে এ শহরটি। দেখার মতো অনেক কিছুই আছে কলকাতায়।

যেমন : ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হল, বিড়লা তারামণ্ডল, নিকোপার্ক, অ্যাকুয়া পার্ক ইত্যাদি। কলকাতায় গেছেন অথচ ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ধারক ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হল দেখেননি এমন লোক খুব কমই আছেন। যেসব স্থাপনা ভারতে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের চিহ্ন বয়ে বেড়াচ্ছে তার মধ্যে এটি অন্যতম। কলকাতা ভ্রমণে গেলে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল অবশ্যই ঘুরে আসি, কখনো এটি পুরনো মনে হয় না। বার বার দেখা সত্ত্বেও ছুটে যাই সেখানে।

যে কথা বলছিলাম, প্রকৃতপক্ষে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলো রানী ভিক্টোরিয়ার স্মৃতিসৌধ। এর নির্মাণ শুরু হয় ১৯০৬ সালে। এরপর সৌধটির উদ্বোধন হয় ১৯২১ সালে। আয়ারল্যান্ডের বেলফাস্ট সিটি হলের স্থাপত্যশৈলীর আদলে এ স্মৃতিসৌধের নকশা প্রস্তুত করেন স্যার উইলিয়াম এমারসন। ব্রিটিশ সরকারের পক্ষ থেকে তাকে বলা হয়েছিল ইতালিয়ান রেনেসাঁর স্থাপত্যশৈলীতে এটি নির্মাণ করতে।

শুধু ইউরোপীয় স্থাপত্যের আদলে গড়তে বিরোধিতা করেন উইলিয়াম। তিনি তার কাজে মোগল ছাপও যুক্ত করেন। তাই এটি দেখতে অনেকটা আগ্রার তাজমহলের মতো। স্মৃতিসৌধটিকে ঘিরে তৈরি হয়েছে বিশাল এক উদ্যান। এ উদ্যানের নকশা করেছিলেন লর্ড রেডেসডেল ও জন প্রেইন।

তখন থেকে আজো উদ্যানটি ধরে রেখেছে তার সৌন্দর্য। কলকাতাবাসী সকাল-বিকালে প্রকৃতির ছোঁয়া পেতে ছুটে আসেন এখানে। বেশি ভিড় পরিলক্ষিত হয় প্রাতঃভ্রমণের সময়।

 

 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.