Click This Link
নারী উত্ত্যক্ত নামক ব্যাধির আসল কারণ যতদিন চিহ্নিত না করা যাবে ততদিন ইহা বন্ধ করা যাবে না।
যে কারনগুলো দায়ী হতে পারে তা নিম্নরূপঃ
Click This Link
১. বেকারত্বঃ একটু চোখ বুলালেই দেখা যাবে যারা এই রোগে রোগাগ্রস্থ তারা বেশিরভাগই বেকার অথবা ঠিকাদারী লাইসেন্স বিহীন ঠিকাদার। এক কথায় এরাও বেকার। কাজেই সবার আগে বেকারত্ব লাগব করতে হবে।
২. সন্ত্রাসীঃ এই শ্রেণীর ছেলেরা দেখা যায় এলাকার কোন রাজনৈতিক ব্যক্তির ছত্রছায়ায় অথবা তার বাবা/বড় ভাই প্রভাবশালী কোন লোক।
কাজেই নারী উত্ত্যক্ত করা তার কাছে একধরনের ক্রেডিট মনে করে। এই ক্ষেত্রে রাজনৈতিক নেতাদের কখনই এই ধরনের সন্ত্রাসীদের প্রশ্রয় দেয়া উচিত নয়। অন্যদিকে এলাকার প্রভাবশালী বাবা বা বড় ভাইদের মাথায় রাখা উচিত যে তার ছেলে বা ছোট ভাই কে প্রশ্রয় দিয়ে তার মঙ্গল নয় বরং ভবিষ্যৎ নষ্ট করা হচ্ছে।
৩. পড়াশুনার শেসন জটঃ আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় দেখা যায় যে, যে সিলেবাস শেষ হতে ৬-১২ মাস দরকার হয় তা শেষ করতে সরকার ১৫-২৪ মাস লাগিয়ে দেয়। তাই স্কুল কলেজের ছাত্ররা পড়াশুনা ছেড়ে দিয়ে পর্যাপ্ত সময় পায় নারী উত্ত্যক্ত করার।
যদি ঠিক সময় সরকার সিলেবাস শেষ করতে পারত তাহলে ছাত্ররা পড়াশুনার চাপে নারী উত্ত্যক্ত করার সময় পেত না।
৪. মেয়েদের অশ্লীল অঙ্গভঙ্গীঃ এ জন্য দায়ী মূলত হিন্দি চ্যানেলসহ বিদেশী মিডিয়া। এদের অনুকরণে ইদানিং কিছু মেয়েরা অশ্লীল ড্রেস ও অশ্লীল অঙ্গভঙ্গী অনুকরণ করে থাকে। যা কোন ভদ্র ছেলের কাছে স্বাভাবিক থাকা প্রায় অসম্ভব।
৫. পারিবারিক অবক্ষয়ঃ কিছু পরিবারের বাবা মা তাদের কর্মব্যস্ততা অথবা উদার মন-মানসিকতার জন্য ছেলে-মেয়েদের দিকে নজর দেন না।
অনেক ক্ষেত্রে দেখেও না দেখার ভান করেন। যা সমাজের জন্য ক্ষতির কারন হয়ে দাঁড়ায়।
৬. গুটি কয়েক মেয়েদের মানসিক অবক্ষয়ঃ কিছু মেয়েদের উচ্চাকাংখার জন্য তাদের চাহিদা দিন দিন বেড়ে যায়। যা তার পরিবারের আয়ের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। তাই তারা স্বেচ্ছায় ছেলেদের সাথে অশ্লীল ও অবৈধ কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়ে পড়ে।
কোন ক্ষেত্রে ছেলেদের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে স্বেচ্ছায় অশ্লীল ও অবৈধ কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়। যা অন্য মেয়েদের জন্যও ভোগান্তির কারন হয়ে দাঁড়ায়।
৭. হোস্টেল বা ছাত্র/ছাত্রী নিবাসে থাকাঃ অনেক অবিভাবক মনে করেন তার সন্তান শহরের কলেজে দিলেই ভাল পড়াশুনা করবে। তাই তারা তার সন্তানকে শহরের স্কুল কলেজে দিয়ে হোস্টেলে বা ছাত্র/ছাত্রী নিবাসে রেখে দেন। ফলে সে অবিভাকের অনুপস্থিতে অনেক ধরনের বেপরোয়া কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়।
কাজের অবিভাবকদের উচিত যথাসম্ভব তার সন্তানকে কাছে রাখা।
৮. মেয়েদের প্রতিবাদহীনতাঃ কিছু মেয়েরা উত্ত্যক্ত হলেও নিরব ভূমিকা পালন করে। একসময় দেখা যায় খারাপ ছেলেদের পাল্লায় পড়ে যায়। ফলে অন্য ছেলেরাও তাই দেখে অনুপ্রাণিত হয়।
৯. সমাজের অবিভাবকদের উট পাখির মত মাথা গোঁজাঃ কিছু ভাল ও ভদ্র লোক নামক অভদ্র লোক সমাজে বাস করে যারা অন্যায় দেখেও সেখান থেকে কেটে পড়ে।
অযথা ঝামেলায় নিজেদেরকে জড়ায় না। তখন নারী উত্ত্যক্তকারীরা মনে করে তাদের উপর কথা বলার মত কেউ নাই।
১০. মিডিয়ার ভূমিকাঃ মিডিয়া মাঝে মাঝে এমনভাবে নারী উত্যক্তকারীদের উপস্থাপন করে যেন সে একজন জাতীয় হিরো। ফলে আমাদের রাজনৈতিক ব্যবস্থায় সে আরো ভাল পজিশনে চলে যায়।
১১. আইনের সুষ্ঠ প্রয়োগের অভাবঃ এই আজব দেশে আইনের সুষ্ঠ প্রয়োগের চেয়ে অপপ্রয়োগ বেশি হয়।
ফলে উত্ত্যক্তকারীরা সহজেই পার পেয়ে যায়। এমন আইন থাকা দরকার যার ফলে নারী উত্ত্যক্তকারীদের বিচার সরকার পাবলিক প্লেসে করবে। ফলে সব উত্ত্যক্তকরী ভয় পেয়ে উত্ত্যক্ত করা থেকে বিরত থাকবে।
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।