ফিফা, আইওসিসহ সব বড় ক্রীড়া সংস্থা বা ফেডারেশনের সভাপতিরা ঢাকা এসেছেন। শুধু দেখা মিলছিল না আন্তর্জাতিক হকি ফেডারেশনের অভিভাবকের। গতবছর লিয়েন্দ্র নেগ্রের আগমনের মাধ্যমে তার অবসান ঘটে। ঢাকায় এসে হকির জনপ্রিয়তা দেখে মুগ্ধ হয়ে যান তিনি। কথা দিয়ে যান খুব শীঘ্রই পুনরায় ঢাকায় এসে হকির কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করবেন।
শেষ পর্যন্ত কথা রেখেছেন নেগ্রে। অনেক ব্যস্ততার মধ্যেও তিনি দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশ সফরে আসেন। দেশে হকির বৈরী আবহাওয়ার কথা কারো অজানা নেই। আন্দোলনের নামে মোহামেডানের মতো বিখ্যাত ক্লাব হকি লিগ বর্জন করেছে। অথচ নেগ্রে ঢাকায় এসে বললেন, সত্যিই আমি বাংলাদেশের কর্মকাণ্ড দেখে খুশি।
শনিবার মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে স্কুল হকির উদ্বোধন করতে এসে তিনি ফেডারেশনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম উচ্চারণ করে বলেন, আপনারা যে হকির উন্নয়নে পরিশ্রম করছেন তা প্রমাণ পেলাম এ কিশোর টুর্নামেন্টে। বিশ্বে অনেক প্রতিযোগিতা দেখেছি কিন্তু এতগুলো দল ও খেলোয়াড়ের অংশগ্রহণ এটাই প্রথম দেখলাম। এ চেষ্টা অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশের হকি নিঃসন্দেহে অনেক দূর এগিয়ে যাবে। গতকাল নেগ্রে বেশ ব্যস্ততার মধ্যে দিন কাটিয়েছেন। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার, বাংলাদেশ অলিম্পিক সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎকারের পাশাপাশি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
এবারও তিনি খোলাখুলি বলেছেন, বাংলাদেশের হকিকে অব্যশই সহযোগিতা করা হবে। কর্মকাণ্ডকে গতিশীল করে তুলতে যা যা সুযোগ-সুবিধা দেওয়া দরকার তা আন্তর্জাতিক হকি ফেডারেশন থেকে দেওয়া হবে। কথা হচ্ছে নেগ্রের কাছ থেকে বাংলাদেশ কি আদায় করতে পেরেছে বা পারবে। এ ব্যাপারে সাধারণ সম্পাদক খাজা রহমত উল্লাহ বলেন, নেগ্রে আমাদের কর্মকাণ্ডে সন্তুষ্ট হয়ে নিজেই সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। এবার আমাদের পক্ষ থেকে খুব একটা অনুরোধ রাখা হয়নি।
তিনি চাচ্ছেন মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে নতুন টার্ফ দিতে। সেপ্টেম্বরে তিনি আবার ঢাকা আসবেন। আমরৃা আশা করছি তার আগে টার্ফ বসানোর কাজ শুরু করতে পারব। এছাড়া স্কুলের জন্য সেন্টটার্ফ দিতে চেয়েছেন। বিকেএসপিতে তিনি এ ধরনের ৫/৬টি টার্ফ দিতে চান।
সেন্টটার্ফের মূল্য খুব বেশি নয়, তাছাড়া এ টার্ফে পানি ব্যবহার না করলেও চলে। এ ধরনের টার্ফ আসলে অবশ্যই আমরা নতুন নতুন পরিকল্পনা নিতে পারব। গতবার ফ্ল্যাড লাইটের আশ্বাস দিয়েছিলেন। রহমত উল্লাহ বললেন, এবারও ফ্ল্যাড লাইটের কথা বলেছেন। তবে তা তিনি দিতে চান টার্ফ বসানোর পর।
বাংলাদেশকে ইউরোপ থেকে ভালোমানের প্রশিক্ষক দেওয়ারও চিন্তাভাবনা করছেন নেগ্রে। হকি খেলোয়াড়দের ইউরোপ থেকে বৃত্তি দেওয়ারও কথা উঠেছে। অর্থাৎ রহমত উল্লাহ মনে করেন এবারের নেগ্রের সফরকে তারা ভালোভাবে কাজে লাগাতে পেরেছেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।