আজ সকালে দৈনিক সমকাল পত্রিকায় একটি সংবাদ পড়ে থাকতে পারলাম না। কিছু লেখার ইচ্ছে জাগলো বলে ব্লগিং করছি। সংবাদটির শিরোনাম হচ্ছে,নবীগঞ্জে প্রতিবন্ধী শিশু আঁখিকে বাঁচাতে অসহায় বাবা-মার আকুল আবেদন। সংবাদে বলা হয়েছে,
প্রবাসী অধ্যুষিত নবীগঞ্জে প্রতিবন্ধী ২ বছরের শিশু আঁখি উন্নত চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে। দিনমজুর পিতা তার চিকিৎসাভার বহন করতে না পারায় সাহায্যের জন্য হাত পেতেছে।
শুক্রবার নবীগঞ্জ উপজেলা পানিউমদা ইউনিয়নের চকশংকরপুর গ্রামে বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রতিবন্ধী আঁখির বাবা দিনমজুর গৌরাঙ্গ কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, টাকার অভাবে মেয়ের ভালো চিকিৎসা করাতে পারছি না। সংসারে নুন আনতে পান্থাফুরায় অবস্থা। ৪ সদস্যের পরিবার নিয়ে বহু কষ্টে দিনাতিপাত করছি। আঁখির অপারেশনে কয়েক লাখ টাকা দরকার। তিনি মেয়ের জীবন বাঁচাতে ধনাঢ্য ব্যক্তিদের সাহায্য কামনা করেন।
২ বছর বয়সী শিশু কন্যা আঁখির জন্মের পর থেকেই তার পায়খানার রাস্তা বন্ধ রয়েছে। একই রাস্তা দিয়ে সে প্রশাব-পায়খানা করছে। তার পায়খানার রাস্তার জন্য একটি অপারেশনের দরকার। কিন্তু টাকার অভাবে সেটি করাতে পারছেন না। প্রতিবন্ধী শিশুর মা নমিতা জানান মেয়েটি ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর থেকেই নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে ভূগছে।
একই অপারেশনে তাকে বাঁচাতে পারে। সে জন্য দরকার কয়েক লাখ টাকার টাকার চিন্তায় ঘুম আসে না। অসহায় বাবা-মা প্রবাসী অধ্যুষিত নবীগঞ্জসহ দেশবাসীর কাছে এই অবুঝ শিশুটির চিকিৎসার জন্য আর্শিবাদ ও আর্থিক সহযোগীতা কামনা করছেন। সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা: গৌরাঙ্গ নমসুদ্র, সাং-চক শংকরপুর, পো-পানিউন্দা বাজার থানা-নবীগঞ্জ, জেলা- হবিগঞ্জ।
ব্লগারদের উদ্দেশ্যে কিছু কথা: সংশ্লিষ্ট ব্লগের অনেক ব্লগার প্রবাসে সম্মানজনক চাকুরি করছে।
তাঁরা সহযোগিতার হাত বাড়াতে পারে। বাংলাদেশে যেসব ধনাঢ্য পরিবার রয়েছে তাঁরাও এ মহৎ কাজে শরীক হতে পারেন। আমরা ইতোপূর্বে দেখেছি, কৃষ্ণা এবং তৃষ্ণাকে এক অষ্ট্রেলিয়ান সহযোগিতা করে বাঁচার পথ করে দিয়েছেন। এই প্রতিবন্ধী শিশুটিকেও বাঁচাতে পারেন। আপনাদের অনেকের যাকাত-সাদকা, বা যে কোন প্রকারের অর্থ দিয়েও হলে সহযোগিতা করুন।
মহান আল্লাহ কিয়ামতের দিন বলবে, হে মানুষ তোমরা আমার সেবা করো নি। বান্দা বলবেন, হে প্রভু! কিভাবে আপনার সেবা করবো। আল্লাহ বলবেন, যদি কোন রুগ্ন ব্যক্তিকে সেবা করতে তবে আমাকে সেবা করা হতো। আসা করি আপনারা ওই প্রতিবন্ধী শিশুটির প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়াবেন।
একটি কথা না বলে পারছি না যে, শত শত এনজিও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উন্নয়নে কাজ করছে।
কিন্তু তাঁরা এসব বিষয় দেখেও না দেখার ভান করে। অথচ তাঁরা সভা-সেমিনারে গলার স্বর উঁচু করে বড় বড় বুলি আওড়ায়। আসুন আমরা প্রতিবন্ধী শিশুটির জীবন বাচিয়েঁ মহৎ কাজে নিজেরা অংশ্লীদারিত্ব অর্জন করি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।