কমলা খাতুন, ওসমান, রাহেলা বেগম ও আবদুল কুদ্দুস উপজেলার চলতি অতিদরিদ্রদের কর্মসংস্থান প্রকল্প কর্মসূচির শ্রমিক। ইতোমধ্যে ব্যাংক থেকে প্রথম কিস্তির মজুরির টাকা উত্তোলন করে অর্ধেক প্রকল্পের সভাপতিকে দিতে হয়েছে তাদের। প্রতিবাদ করলে দ্বিতীয় কিস্তি দেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন প্রকল্পের সভাপতিরা। অভিযোগ উঠেছে, এই টাকার কমিশন বাবদ একটি অংশ চলে গেছে ইউপি চেয়ারম্যান হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রেজাউল বারী, পিআইও মোকারম হোসেন ও সুপারভাইজার খবির উদ্দিনের পকেটে। কমিশন নিতে বাদ থাকেননি সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের ম্যানেজাররাও। ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার ১৫ ইউনিয়নে চলতি ৪০ দিনের কর্মসৃজন প্রকল্পে ২০২টি গ্রামের ৫৩ প্রকল্পের ৫ হাজার ৯৮৭ জন অতিদরিদ্র শ্রমিকের ৪ কোটি ৭৮ লাখ ৯৬ হাজার বরাদ্দের মজুরির টাকা থেকে কমিশন বাবদ প্রায় ২০ লাখ টাকা ঘুষ হিসেবে জমা হয় প্রকল্পের সুপারভাইজার খবির উদ্দিনের কাছে। পরে এ টাকা ভাগ-বাটোয়ারা হয়েছে। নিগুয়ারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সাহাব উদ্দিন খান জানান, ইউএনওর কমিশনের টাকা ইতোমধ্যে তিনি সংশ্লিষ্ট অফিসে পেঁৗছে দিয়েছেন। মাত্র তিন হাজার টাকা কম দিতে চাইলে সংশ্লিষ্ট তদারকি কর্মকর্তা উপজেলা সমবায় অফিসার তা গ্রহণ করতে চাননি। এ ব্যাপারে উপজেলা সমবায় অফিসার জাহাঙ্গীর আলম খান এই প্রতিবেদককে বলেন, কমিশনের টাকা কে নেয়, কীভাবে নেয়_ তা আপনাদের জানার কথা। উস্থি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম তোতা ইউএনও অফিসে তার ইউনিয়নের প্রকল্পের কমিশনের টাকা জমা দেওয়ার কথা স্বীকার করেন। রাওনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন সংবাদটি না ছাপানোর অনুরোধ করে জানান, প্রথম কিস্তির কমিশনের টাকা এখনো জমা দিতে পারেননি তার ইউনিয়নের প্রকল্পের সভাপতিরা। অতিদরিদ্র শ্রমিকদের কাছ থেকে কমিশন আদায় করা হয় বলে ইউএনও অফিসের টাকা দিতে একটু বিলম্ব হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ইউপি চেয়ারম্যান জানান, কমিশনের টাকা কম দিয়েছেন বলে তাকে নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। প্রকল্পের সুপারভাইজার খবির উদ্দিন জানান, তাদের বিরুদ্ধে পত্রিকায় লেখলে কী হবে, এ টাকা চলে যাচ্ছে উপর মহলে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রেজাউল বারী মুঠোফোনে কমিশনের টাকা নেওয়ার অভিযোগ অসত্য দাবি করে উল্টো এই প্রতিনিধির কাছে কোন কোন ইউপি চেয়ারম্যান তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, তা জানতে চান।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।