গার্মেন্ট শ্রমিকদের সর্বনিম্ন মজুরি ৫ হাজার ৩০০ টাকা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মজুরি বোর্ড। মজুরি বোর্ডের কার্যালয়ে সোমবার মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের এক সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মালিকপক্ষ পাসকৃত সর্বনিম্ন মজুরির বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছে এবং বলেছে, এ মজুরি কাঠামো তাদের পক্ষে বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। সর্বনিম্ন মজুরির কাঠামো ৫ হাজার ৩০০ টাকা করার সিদ্ধান্তে শ্রমিকদের একাংশের আপত্তি থাকলেও মজুরি বোর্ডে প্রতিনিধিত্বকারী তাদের দুই প্রতিনিধি এতে সম্মতি দিয়েছেন। মালিকপক্ষ মজুরি বোর্ডের অষ্টম বৈঠকে গার্মেন্ট শ্রমিকদের সর্বনিম্ন মজুরি ৪ হাজার ২৫০ টাকা করার জোর দাবি জানান। তাদের আপত্তি সত্ত্বেও বোর্ডের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে নতুন মজুরি কাঠামো গৃহীত হয়। নতুন মজুরিতে গার্মেন্ট শ্রমিকদের জীবনমান কিছুটা হলেও সহজতর হবে। ২০১০ সালের মজুরি বোর্ড গার্মেন্ট শ্রমিকদের সর্বনিম্ন মজুরি নির্ধারণ করে ৩ হাজার টাকা। এ মজুরি কাঠামোর ন্যায্যতা সম্পর্কে সে সময়ই আপত্তি উঠেছিল। নতুন মজুরি কাঠামো নির্ধারণের সময় শ্রমিকদের পক্ষ থেকে দাবি তোলা হয়েছিল ৮ হাজার টাকার নিচে সর্বনিম্ন মজুরি ধরা হলে তা তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। শ্রমিকদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ নতুন মজুরি কাঠামো সম্পর্কে নমনীয় হলেও একাংশ তাতে আপত্তি জানিয়ে ইতোমধ্যে বিক্ষোভ দেখিয়েছে। মালিকপক্ষের অনুদার মনোভাব অর্থাৎ ঘোষিত মজুরি কাঠামো মেনে নিতে তারা যে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে তা অব্যাহত থাকলে গার্মেন্ট শিল্পে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি দানা বেঁধে উঠতে পারে। নতুন মজুরি কাঠামো সম্পর্কে শ্রমিকদের মধ্যে যে নমনীয়তা রয়েছে তা হঠাৎ করেই পাল্টে যেতে পারে। সর্বনিম্ন মজুরি কাঠামো ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার ৩০০ টাকা নির্ধারিত হওয়ায় মালিকপক্ষের মুনাফা কিছুটা কমবে। তারপরও এ মজুরিকে ন্যায্য বলার কোনো সুযোগ নেই। দুনিয়ার কোথাও গার্মেন্ট শ্রমিকদের এত কম মজুরি দিয়ে পোষা যায় না। মজুরি কাঠামো মেনে নিতে যে টালবাহানা চলছে তা মালিকপক্ষের অনুদারতারই প্রতিফলন। এর ফলে গার্মেন্ট শিল্পে অস্থিতিশীলতার বিপদ দেখা দিলে তার দায় তাদের ওপর বর্তাবে কিনা সময় থাকতে ভাবতে হবে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।