রোববার সন্ধ্যায় বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের কার্যালয়ে যান যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত। সেখানে সোয়া এক ঘণ্টা বিরোধীদলীয় নেতার সঙ্গে আলোচনা করেন তিনি।
আগামী নির্বাচন নিয়ে সরকার ও বিরোধী দলের পরস্পরবিরোধী অবস্থানের কারণে রাজনৈতিক সঙ্কটের আশঙ্কার মধ্যে রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে দেখা করছেন মজিনা।
খালেদা জিয়ার আগে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ এবং আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
ড্যান মজিনা বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে আলোচনার পর সাংবাদিকদের বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে কোনো রাজনৈতিক সহিংসতা দেখতে চায় না।
আমরা মনে করি, প্রথমে রাজনৈতিক সহিংসতা বন্ধ করতে হবে।
“এরপর প্রধান রাজনৈতিক দলের মধ্যে সংলাপ হতে হবে। এসব বিষয়ে আলোচনা করতে আমি বিরোধী দলীয় নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এসেছি। ”
এজন্য ব্যাপারে সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে সংলাপের ওপর জোর দেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত।
তিনি জানান, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত দেখতে চায় তার দেশ।
বৈঠকে থাকা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান সাংবাদিকদের বলেন, সংলাপের ক্ষেত্রে সরকারের মূল ভূমিকা রাখার কথা বলেছেন বিরোধী নেতা।
“তারা (সরকার) যদি বিরোধী দলের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন করতে থাকে, তাহলে দেশে শান্তি আসতে পারে না। বিরোধী দলের ওপর নির্যাতনের যে কৌশল সরকার অনুসরণ করছে, তা সংলাপের পরিবেশ সৃষ্টি করবে না। ”
দেশ পরিচালনায় সরকারের ‘ব্যর্থতা’ এবং গণতান্ত্রিক রীতিনীতির প্রতি ‘অশ্রদ্ধা বোধের’ কারণে দেশে রাজনৈতিক সংঘাতের সূত্রপাত ঘটেছে বলে খালেদা জিয়া যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতকে জানান।
সংলাপ শুরুর ভিত্তি তৈরি করতে রাজনৈতিক সহিংসতা বন্ধের ওপর জোর দেন মজিনা।
মঈন খান বলেন, “বিরোধীদলীয় নেতা বলেছেন, সংলাপের উদ্যোগ সরকারকেই নিতে হবে। এজন্য আগে সংলাপের পরিবেশ তৈরি করতে হবে। দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের কারাগারে বন্দি রেখে সংলাপ কীভাবে সম্ভব?
“তিনি (খালেদা জিয়া) রাষ্ট্রদূতকে বলেছেন, আগামী নির্বাচন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। ”
গত ১৭ এপ্রিল বিরোধীদলীয় নেতার সঙ্গে ১০ আরব দেশের রাষ্ট্রদূতের বৈঠকের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ভূমিকা ছিল কি না- জানতে চাইলে মজিনা বলেন, এটা তাদের বিষয়।
ওই বৈঠকে সব দলের অংশগ্রহণে আগামী নির্বাচন দেখতে চায় বলে আরব দেশের রাষ্ট্রদূতরা বিরোধীদলীয় নেতাকে বলেন।
খালেদা জিয়ার সঙ্গে মজিনার বৈঠকে সাভারের ভবন ধসের প্রসঙ্গটিও আসে।
বৈঠকে মঈন খান ছাড়াও ছিলেন সাবেক পররাষ্ট্র উপদেষ্টা রিয়াজ রহমান ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবিহ উদ্দিন আহমেদ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।