ঢাকার হাকিম আদালতের অতিরিক্ত পিপি আনোয়ারুল কবির বাবুল জানান, দেলোয়ার ও তার স্ত্রী মাহমুদা রোববার সকালে আদালতে হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করেন এবং জামিনের আবেদন জমা দেন।
জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম তাজুল ইসলামের আদালতে এ বিষয়ে শুনানি হতে পারে বলে জানান তিনি।
দুই আসামির পক্ষে আদালতে শুনানি করবেন এটিএম গোলাম গাউস।
২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরের তাজরীন ফ্যাশনসে ওই অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ১১২ জন নিহত এবং দুই শতাধিক শ্রমিক আহত ও দগ্ধ হন।
পরদিন আশুলিয়া থানার উপ পরিদর্শক খায়রুল ইসলাম অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে।
ওই মামলায় নাশকতার পাশাপাশি অবহেলাজনিত মৃত্যুর ( দণ্ডবিধির ৩০৪ ক) ধারা যুক্ত করা হয়। গত বছর ২ জানুয়ারি সিআইডি এ মামলার তদন্ত শুরু করে।
ঘটনার পর শ্রমিকরা অভিযোগ করেন, আগুন লাগার পরও কারখানার ছয়টি ফ্লোরের কয়েকটিতে দরজা আটকে রাখা হয়েছিল, শ্রমিকদের নিচে নামতে দেয়া হয়নি। এছাড়া ওই কারখানা নির্মাণের ক্ষেত্রে ইমারাত বিধি অনুসরণ না করা এবং অবহেলারও প্রমাণ পাওয়া যায়।
ফাইল ছবি
এরপর গত ২২ ডিসেম্বর দেলোয়ার ও মাহমুদাসহ ১৩ জনকে আসামি করে এ মামলায় অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০৪ ও ৩০৪ (ক) ধারা অনুযায়ী ‘অপরাধজনক নরহত্যা’ ও ‘অবহেলার কারণে মৃত্যুর’ অভিযোগ আনা হয়, যার প্রথমটিতে তদের সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও দ্বিতীয় ধারায় সর্বোচ্চ পাঁচ বছর জেল হতে পারে।
অভিযোগপত্রের ১৩ আসামির মধ্যে প্রকৌশলী এম মাহাবুবু মোর্শেদ, ফ্যাক্টরি ম্যানেজার আব্দুর রাজ্জাক, কোয়ালিটি ম্যানেজার শহীদুজ্জামান দুলাল ও প্রোডাকশন ম্যানেজার মোবারক হোসেন মঞ্জু পলাতক।
তাজরিনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা দুলাল, স্টোর ম্যানেজার হামিদুল ইসলাম লাভলু, সিকিউরিটি সুপারভাইজার আল আমীন, নিরাপত্তারক্ষী রানা ওরফে আনারুল, স্টোর ইনচার্জ (সুতা) আল আমীন ও লোডার শামীম মিয়া জামিনে রয়েছেন।
আর কারখানার সিকিউরিটি ইনচার্জ আনিসুর রহমান রয়েছেন কারাগারে, তার পক্ষেও জামিনের আবেদন হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষে মোট ১০৪ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে এ মামলায়।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।