প্রতিবছর জানুয়ারিতেই ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী ব্যক্তিদের ভোটার তালিকাভুক্ত করার বিধান রয়েছে। কিন্তু এবার উপজেলা নির্বাচন থাকায় ‘সুবিধাজনক’ সময়ে এ কাজে হাত দিচ্ছে ইসি।
ইসির জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অণুবিভাগের তত্ত্বাবধানে ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন ও জাতীয় পরিচয়পত্র দেয়া হয়। ২০১৪ সালের ১ জানুয়ারি যাদের বয়স ১৮ পেরিয়েছে এবং আগে বাদ পড়াদের অন্তর্ভুক্তির পাশাপাশি স্থানান্তর, সংশোধন ও মৃতদের বাদ দিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হবে।
নির্বাচন কমিশনার আবদুল মোবারক গত ২২ জানুয়ারি প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে পাঠানো এক অনানুষ্ঠানিক নোটে জানান, এবার ১৫ মে থেকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে হালনাগাদের কাজ শেষ করা যেতে পারে।
সে অনুযায়ীই ভোটার তালিকা হালনাগাদের পরিকল্পনা নেয়া হবে বলে ইসি সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম জানান।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “একটা নোট পেয়েছি আমরা। তিন ধাপে কাজ শেষ করার কথা রয়েছে। এ সংক্রান্ত প্রস্তাব কমিশন সভায় ওঠার পর তা পর্যালোচনা করা হবে। ”
ইসি কর্মকর্তারা জানান, বর্ষা মৌসুমকে সামনে রেখে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রথম ধাপে উপকূল ও হাওর এলাকা, দ্বিতীয় ধাপে মফস্বল শহর এলাকা ও শেষ ধাপে সিটি করপোরেশন এলাকায় হালনাগাদের কাজ চলতে পারে।
এক্ষেত্রে ভোটারদের তথ্য সংগ্রহ, ছবিতোলা ও আঙুলের ছাপ নেয়া, তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের সময় নির্ধারণ করা এবং খসড়া তালিকা তৈরির পর তা চূড়ান্ত করা হবে।
ভোটার তালিকা প্রকল্পের কর্মকর্তারা জানান, এমনিতে সারা বছরই ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সুযোগ রয়েছে। প্রবাসীরাও দেশে এসে ভোটার হতে পারেন। তবে ভোটের সময়ে এ কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়।
১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩ মে পর্যন্ত ছয় ধাপে উপজেলা নির্বাচনের পর আবার নিয়মিত নিবন্ধন ও সংশোধনের কাজ শুরু হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে ২০০৭ সালে ছবিসহ ভোটার তালিকা তৈরির কাজ শুরু হয়। ২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনে ভোটার তালিকায় নাম ছিল আট কোটি দশ লাখ ৫৮ হাজার ৬৯৮ জনের। আর ২০১১-২০১৩ তিন বছরের হালনাগাদে প্রায় ৭০ লাখ ১৭ হাজার ৫২১ জন নতুন ভোটার অন্তর্ভুক্ত হয়, বাদ পড়ে ৭ লাখ ৪১ হাজার ৬৯ জনের নাম।
বর্তমান তালিকা অনুযায়ী, দেশে ভোটারের সংখ্যা ৯ কোটি ১৯ লাখের বেশি।
ইসি কর্মকর্তাদের ধারণা, বছরওয়ারি হিসাবে প্রতিবারের মতো এবারও ২০ লাখের বেশি নতুন ভোটার তালিকাভুক্ত হতে পারেন।
তবে সংশোধিত আইন অনুযায়ী এবার হালনাগাদের সময় একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডিত অপরাধী ও দালালদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেয়া হবে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।