এই লেখাটি মূলত রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ছাত্র-শিক্ষকদের প্রতি অনুরোধের ঢেঁকিতে পাড়া দেয়া। কিছুদিন আগে জামাল হাসান নামে একজন বাংলাদেশী-আমেরিকান রাষ্ট্রবিজ্ঞানীর কাছ থেকে আমি একটি ইমেইল পাই। তিনি এই মুহুর্তে কুয়েতে আমেরিকান আর্মীর হয়ে কাজ করছেন। আমার একটি লেখার সাথে প্রাসংগিক মনে হওয়ায় তিনি তার আশির দশকের শেষে লেখা একটি প্রবন্ধের সূত্র দিয়েছেন। মান, বিষয়ের ব্যাপ্তি আর গভীরতা সব দিক দিয়েই ওনার লেখা অনেক অনেক বেশি ভাল।
সেটির একটি ব্যাপার আমার খুব নজর কেড়েছে। সেটি হল তিনি দেখিয়েছেন আমেরিকা আফগানিস্তানে তাদের অভিযান চালানোর সময় সেই দেশটির মানুষরা কি চায় সেটি কখনও মাথায় রাখে নি। ওনার এই লেখা আবার আমেরিকান সরকারের কিছু লোক আগ্রহ নিয়ে পড়েছেন এবং তাদের একাধিক ব্যক্তিও ওনার সাথে একমত। এটি অনেকটা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় আমেরিকার নেয়া নীতির মত।
সচলায়তনে যারা রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ছাত্র তারা কি একটু ভাল করে ভেবে দেখে আমাদের জানাবেন এখনকার আমেরিকান সরকারের বাংলাদেশের ব্যাপারে চিন্তাভাবনা কেমন? আমরা নিজেরাও চেষ্টা করতে পারি।
কিন্তু আমার লেখা মান আর জামাল হাসানের লেখার মানের পার্থক্যটি দেখুন। আপনাদের পেশাগত আগ্রহের মধ্যে পড়বে বলে লেখাও অনেক ভাল হবে। বিশেষ করে গত এক বছরে আমেরিকান দূতাবাসের বক্তব্যগুলো বিশ্লেষণ করে, প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে তাদের ও আমাদের সম্পর্কের উপর ভিত্তি করে একটু যদি দেখাতে পারেন ভবিষ্যতে এই সম্পর্কের রুপটি কেমন হতে পারে খুব ভাল হয়।
জামাল হাসানের লেখাটি পড়ে আমার আরেকটি জিনিস মাথায় আসল। কয়েকদিন আগে সুশীল বুদ্ধিসমাজকে দেয়া জাফর স্যারের এই ঝাড়িটি দেখতে পারেন।
স্যার বলেছেন বাংলাদেশে থাকা বিদেশীদের পাকনামির মূল ফোকাস থাকতে হবে বাংলাদেশের মানুষেরা। আমেরিকান দূতাবাসের এখন তথ্য জানার ও প্রচারের অনেক মাধ্যম আছে। কাজেই তারা আগের চেয়ে বেশি জানে দেশের মানুষ কি চায়। নিশ্চয়ই ১৯৭১ সালের ভুল থেকেও কিছুনা কিছু শিখছে। বিশেষজ্ঞরা কি একটু দেখবেন একটু বড় ভূরাজনৈতিক (সত্যিকারের ভূরাজনীতি, হাঁটুপানির জলদস্যুর ভূরাজনীতি না!) প্রেক্ষাপট থেকে বাংলাদেশ আমেরিকান সম্পর্কটি কোন দিকে যাচ্ছে?
আমরা খুব সম্ভবত: পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়েও একই কাজ করেছি।
একটি পাহাড় আমাদের কাছে শুধুই সেগুনবাগান করার সম্ভাব্য জায়গা। আমরা কখনও ভাবিনি সেটি হয়তো কোন পাহাড়ীর ছোটবেলার খেলার জায়গা, তার পরিবারের জীবিকার ক্ষেত্র।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।