বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মঙ্গলবার সংসদে এ মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
ফিরোজ রশীদ অভিযোগ করেন, প্রবাসীকর্মীদের বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে আইনগতসহ বিভিন্ন সহায়তা ঠিকমতো দেয়া হয় না।
বিদেশে শ্রমিক মারা যাওয়ার ঘটনায় দূতাবাসের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ারও দাবি জানান তিনি।
জবাবে মোশাররাফ বলেন, পত্রিকায় যে সংখ্যাটি এসেছে সেটি পাঁচ বছরের। পাঁচ বছরে দেশের এক কোটি মানুষ প্রবাসে ছিলেন।
সেদিক থেকে এই হার জাতীয় গড়ের চেয়েও কম।
অবশ্য দেশে গড় মৃত্যুহার বর্তমানে কতো, সে বিষয়ে কিছু বলেননি তিনি।
১০ ফেব্রুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ছয় বছরে ১৪ হাজার প্রবাসীর লাশ দেশে এসেছে।
১৫৭টি দেশে বর্তমানে এক কোটি বাংলাদেশি কর্মী অবস্থান করছেন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, পরারাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চার-পাঁচ জন লোক, আর প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের লোকজন মিলে এই কোটি মানুষের দেখভাল সম্ভব না।
“তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ভালোভাবেই তাদের দেখভাল করছেন। তারা প্রশংসা পাওয়ার দাবিদার। ”
ফিরোজ রশীদকে উদ্দেশ্য করে মোশাররফ বলেন, “বাংলাদেশি হিসাবে তাদের ওপর আপনাদের থেকে আমাদের দরদটা কোনো অংশে কম নয়। তবে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেব।
”
গোলাম দস্তগীর গাজীর এক প্রশ্নের জবাবে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী বলেন, চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বৈধভাবে ৮৭ লাখ ৫১ হাজার ২০২ জন কর্মী বিদেশে গেছেন। এদের মধ্যে ৮০ ভাগই মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে রয়েছে।
কেবল সৌদি আরবেই ২৬ লাখ ২৯ হাজার ৮১৭ কর্মী রয়েছেন বলে জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, কোনো দেশে বিদেশি কর্মীর সংখ্যা বেশি হলে সেই দেশ ভারসাম্য রক্ষার চেষ্টা করে। ফলে সৌদী আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেয়ার বিষয় কিছুটা স্থবির হয়ে পড়েছে।
“এসব দেশ বর্তমানে অদক্ষ শ্রমিকের পরিবর্তে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত জনবল নেয়ায় ক্ষেত্রে বেশি আগ্রহী। ”
বিকাল সাড়ে ৪টায় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশন শুরু হয়।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।